বর্তমানে ওডিআই ক্রিকেটে ব়্যাঙ্কিং তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তারা। এবার এশিয়া কাপ সহ আসন্ন বিশ্বকাপের অন্যতম ফেভারিট দল। বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম সেরা ব্যাটার রয়েছেন তাদের দলেই। তবে ভারতের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের যে অবস্থা হল তাতে এই বিষয়গুলি মিলিয়ে দেখা খুব মুশকিল হয়ে উঠছে। সুপার ফোরের প্রথম দিনের ম্যাচ বৃষ্টির কারণে ভেস্তে যায়। তবে প্রথম দিন অর্থাৎ রবিবারেই ভারতীয় ওপেনার রোহিত শর্মা এবং শুভমন গিল আক্রমনাত্মক ভঙ্গিতে শুরু করেন। দু'জনেই অর্ধশতরান করে আউট হন। এরপরে বৃষ্টি আসায় খেলা বন্ধ করে দিতে হয়। তখনই পাকিস্তানের তারকা পেস বোলিং আক্রমণের ওপর রোহিতের তাণ্ডব নিয়ে চর্চা হতে থাকে।
প্রথম দিনের ম্যাচ যেখানে শেষ হয় সেখান থেকেই দ্বিতীয় দিন রিজার্ভ ডের খেলা শুরু করে ভারত। দুই ওপেনার আউট হয়ে যাওয়ার পর ব্যাট করতে আসেন বিরাট কোহলি এবং দীর্ঘদিন পরে জাতীয় দলে ফিরে আসা কেএল রাহুল। পাক বোলারদেরকে নিয়ে তাঁরা কার্যত ছিনিমিনি খেলেন। দু'জনের শতরানের উপর ভর করে ভারত ৩৫৭ রানের বিশাল লক্ষ্য মাত্রা সেট করে পাকিস্তানের সামনে। এই রানের বোঝা নিয়ে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই খোড়াতে থাকে পাকিস্তানের।
(এশিয়া কাপের পয়েন্ট তালিকা দেখার জন্য ক্লিক করুন এখানে)
চোট সারিয়ে জাতীয় দলে আসা জসপ্রীত বুমরাহ ও মহম্মদ সিরাজের বোলিংয়ের সামনে দিশেহারা দেখায় তাদের। একের পর এক উইকেট পড়তে থাকে। এদিনের ম্যাচেও ফের নিজেকে প্রমাণ করেন স্পিনার কুলদীপ যাদব। একাই তুলে নেন পাঁচটি উইকেট। একটি করে উইকেট পান বুমরাহ, শার্দুল এবং হার্দিক পান্ডিয়া। পাকিস্তানের বাকি ২ ব্যাটার চোটের কারণে ব্যাট করতে পারেননি। এর ফলে মাত্র ১২৮ টানে গুটিয়ে যায় তারা। ম্যাচের শেষে পাকিস্তান অধিনায়ক বাবর আজম বলেন, ‘আবহাওয়া আমাদের হাতে নেই। সেক্ষেত্রে একটা অসুবিধাটা হয়েছেই। তবে আমাদের বোলিং এবং ব্যাটিং উভয় ক্ষেত্রেই আমরা ভালো করতে পারেনি ফলে হেরেছি। ম্যাচের প্রথমদিকে রোহিত শর্মা এবং শুভমনকে যেভাবে আমাদের বোলারদের আক্রমণ করছিল তাতেই বোঝা যাচ্ছিল ওদের স্পষ্ট একটা পরিকল্পনা রয়েছে। ওরা আউট হয়ে যাওয়ার পর বিরাট কোহলি এবং কেএল রাহুল এই ধারাটিকেই এগিয়ে নিয়ে যায়।’
(এশিয়া কাপে কার কবে খেলা জানার জন্য ক্লিক করুন এখানে)
ভারতীয় বোলারদের প্রশংসা করে পাক অধিনায়ক বলেন, 'জসপ্রীত এবং সিরাজ প্রথম ১০ ওভার অসাধারণ বোলিং করে যায়। দুদিকেই বল সুইং করার ছিল ওরা। আমরা পরপর উইকেট হারাতে থাকি। কোনও পার্টনারশিপ গড়ে তুলতে পারেনি তার ফলেই ম্যাচ আমাদের হাতের বাইরে চলে যায়।'