অশ্বিন-জাদেজার কৌশল কাজে লাগিয়েই ভারতীয় শিবিরেই পালটা আঘাত হানতে মরিয়া শোয়েব বশির। রাঁচি টেস্টের তৃতীয় দিনের শেষে ইংল্যান্ডের নবাগত স্পিনারকে দৃঢ়প্রত্যয়ী শোনায় চতুর্থ দিনে রোহিতদের সামনে কড়া চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেওয়ার বিষয়ে। প্রথম ইনিংসে যে রকম বল করেছেন, তাতে টিম ইন্ডিয়া নিশ্চিতভাবেই সতর্ক থাকবে দুই ব্রিটিশ স্পিনারকে নিয়ে।
কেরিয়ারের দ্বিতীয় টেস্টে মাঠে নেমে প্রথমবার ইনিংসে ৫ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেছেন শোয়েব বশির। তিনি রাঁচির প্রথম ইনিংসে ৫ উইকেট নিয়ে ভারতীয় ব্যাটিং লাইনআপকে কোণঠাসা করেন। টেস্ট খেলার বিস্তর অভিজ্ঞতা নেই টম হার্টলিরও। তিনি মাঠে নেমেছেন কেরিয়ারের চতুর্থ টেস্টে। তবু দুই অনভিজ্ঞ স্পিনারের দাপটেই প্রথম ইনিংসের নিরিখে পিছিয়ে পড়ে টিম ইন্ডিয়া।
যদিও রাঁচি টেস্টে পরিস্থিতি যেখানে দাঁড়িয়ে, তাতে সহজ হবে না বশিরদের কাজ। কেননা, জয়ের জন্য ভারতের দরকার আরও ১৫২ রান। বাকি রয়েছে ম্যাচে ২টি দিন। ধারাবাহিকভাবে উইকেট তুলতে না পারলে ম্যাচ হাতের বাইরে বেরিয়ে যেতে বিশেষ সময় লাগবে না। একটি বড় পার্টনারশিপ মানেই ভারত শুধু রাঁচি টেস্টের নয়, বরং সিরিজেরও দখল নেবে। এই অবস্থায় বশিরের দাবি, রাঁচির পিচে চতুর্থ দিনে ১০টি উইকেট নেওয়ার সুযোগ তৈরি অসম্ভব নয়।
বশির বলেন, ‘দেখুন, তৃতীয় দিনের শেষ বেলায় একটি বা দু'টি উইকেট নিতে পারলে ভালো হতো। সেটা সম্ভব হয়নি। আমি আর হার্টস (টম হার্টলি) জানি যে, চতুর্থ দিনে আমাদের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ অপেক্ষা করে রয়েছে। ১০টি উইকেট নেওয়ার মতো সুযোগ তৈরি করতে হবে আমাদের। এই পিচে কোনও কিছুই অসম্ভব নয়।'
শোয়েব পরক্ষণেই বলেন, ‘আমি আর হার্টলি এই চ্যালেঞ্জ নিতে মুখিয়ে রয়েছি। আমরা দেখেছি অশ্বিন আর জাদেজা এই পিচে কীভাবে বল করেছে। তা থেকে আমরা বিস্তর আত্মবিশ্বাস পেয়েছি। অনেক ছোটবেলা থেকেই আমি এই দু’জনের বোলিং মন দিয়ে দেখে আসছি। ওরা বিশ্বমানের স্পিনার। আমরা দু'জনেই (বশির ও হার্টলি) জানি (চতুর্থ দিনে) আমাদের বিশ্বামানের ব্যাটিং আক্রমণের মোকাবিলা করতে হবে। তবে আমাদের সামনে সুযোগ রয়েছে হিরো হওয়ার।'
রাঁচি টেস্টের প্রথম ইনিংসে নিজের পাঁচ উইকেট নিয়ে তৃপ্ত শোনায় বশিরকে। তিনি বলেন, ‘আমার ক্রিকেটার জীবনের এটি অত্যন্ত বিশেষ মুহূর্ত। এমন কিছু ঘটতে পারে বলে আমি বছর দু’য়েক আগেও ভাবতে পারিনি।'