কার্যত অসম্ভব টার্গেট ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজের মহিলা ক্রিকেট দলের সামনে। তা সত্ত্বেও হাল ছাড়েননি হেইলি ম্যাথিউজরা। ক্যাপ্টেনের ব্যাটে ভর করে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বেনজির তাণ্ডব চালায় লাহোরে। থাইল্যান্ডকে খড়কুটোর মতো উড়িয়ে দিয়েও শেষরক্ষা হয়নি ক্যারিবিয়ানদের।
শনিবার উইমেন্স ওয়ার্ল্ড কাপ কোয়ালিফায়ারের শেষ ম্যাচে জয়ের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে টার্গেট ছিল ১৬৭ রানের। তবে নেট রান-রেটে বাংলাদেশকে টপকে বিশ্বকাপের টিকিট পেতে হলে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ম্যাচ জিততে হতো ১০.১ ওভারে।
যদি তারা স্কোর লেভেল করে, তার পরে একটি ছক্কা হাঁকিয়ে ম্যাচ জিততে পারত, তাহলে বিশ্বকাপের টিকিট অর্জন করার জন্য বাড়তি ৫টি বল হাতে পেতেন হেইলি ম্যাথিউজরা। যদি থাইল্যান্ডের ১৬৬ রানের জবাবে ১৭২ রান তুলে ম্যাচ জিতত ওয়েস্ট ইন্ডিজ, সেক্ষেত্রে ১১ ওভার পর্যন্ত খরচ করার সুযোগ থাকত তাদের হাতে। অর্থাৎ, ১০.১ ওভারে ১৬৬ টপকাতে না পারলেও ১১ ওভারের মধ্যে ১৭২ রান তুলে ম্যাচ জিতলেও নেট রান-রেটে বাংলাদেশকে পিছনে ফেলে দিত তারা।
আরও পড়ুন:- IPL 2025-এর মাঝেই ‘চ্যাম্পিয়ন দলের’ আরও এক তারকাকে দলে ফেরাল KKR, ভাগ্য ফিরবে?
মরিয়া হয়ে চেষ্টা চালায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তারা বেনজির তাণ্ডব চালিয়ে ম্যাচ জেতে ১০.৫ ওভারে। অর্থাৎ, মাত্র ৪ বলের জন্য জিতেও বিশ্বকাপের টিকিট অধরা রয়ে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের। পাকিস্তানের সঙ্গে দ্বিতীয় দল হিসেবে বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করল বাংলাদেশ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ এক্ষেত্রে নিজেদের ভুলের মাশুল দেয়। ১০.৪ ওভারে ওয়েস্ট ইন্ডিজের স্কোর ছিল ৪ উইকেটে ১৬২ রান। পরের বলে (১০.৫ ওভারে) একটি চার মারলেই স্কোর লেভেল হয়ে যেত। তার পরের বলে (১০.৬ ওভারে) ছয় মারলেই লক্ষ্যে পৌঁছে যেত ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
আরও পড়ুন:- ম্যাচ জয়ের শতকরা হারে IPL-এর সেরা ক্যাপ্টেন কে? ধোনিকে তাড়া করছেন হার্দিক-শ্রেয়স
তবে ১৬২ রানে দাঁড়িয়ে চার মারার বদলে ১১তম ওভারের পঞ্চম বলে (১০.৫ ওভারে) ছক্কা হাঁকিয়ে বসেন স্টেফানি টেলর। ফলে অল্পের জন্য বিশ্বকাপের টিকিট হাতছাড়া হয় ক্যারিবিয়ানদের। স্বাভাবিকভাবেই দুর্দান্ত জয়ের পরেও বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করতে না পারায় কান্নায় ভেঙে পড়েন ক্যারিবিয়ান ক্রিকেটাররা। শেষে একটি চারের বদলে ছক্কা হাঁকিয়ে বসায় বিশ্বকাপের টিকিট চোখের সামনে দিয়ে বেরিয়ে যায় ক্যারিবিয়ানদের।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ৯টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে মাত্র ২১ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ক্যাপ্টেন হেইলি ম্যাথিউজ। তিনি ২৯ বলে ৭০ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন। মারেন ১১টি চার ও ২টি ছক্কা। ১৭ বলে ৪৮ রান করেন শিনেলে হেনরি। তিনি ৩টি চার ও ৫টি ছক্কা মারেন।