দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে জিতে সিরিজে সমতা ফেরাল পাকিস্তান। তিন ম্যাচের সিরিজের ফল আপাতত ১-১। এদিন পাকিস্তানকে জেতাতে মুখ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন মহম্মদ রিজওয়ান। তিনি দলকে জিতিয়ে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন। আর ম্যাচের পর বিরাট কোহলি প্রসঙ্গ উঠতেই, রিজওয়ান একেবারে প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়ে ওঠেন। তিনি পরিষ্কার বলে দেন, কোহলির চেয়ে অনেক কিছু শিখেছেন তাঁরা।
কোহলিতে মুগ্ধ রিজওয়ান
কোহলির টি-টোয়েন্টিতে গড় ৫১.৮। আর ওডিআই-এ তাঁর গড় ৫৮.৭। রিজওয়ানের আবার টি-টোয়েন্টিতে গড় ৫০.৪। যাইহোক টি-টোয়েন্টি কোহলির মতো ৫০-এর উপর তাঁর গড় নিয়ে প্রশ্ন করা হলে, রিজওয়ান বলেন, ‘আমার দর্শন সহজ, আপনি যদি গড় সম্পর্কে চিন্তা করেন, তবে আপনি একজন গড় খেলোয়াড়। আমি রেকর্ডে খুব একটা মনোযোগ দিই না। আপনি যদি পরিস্থিতি দেখেন এবং পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলতে পারেন, তবে এটি আপনাকে আরও ভালো খেলোয়াড় হতে সাহায্য করবে। আপনি যদি আমাকে বিরাট কোহলি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন, তবে বলব, তিনি একজন দুর্দান্ত খেলোয়াড় এবং আমরা ওঁর কাছ থেকে অনেক কিছু শিখেছি।’
কোহলির স্ট্রাইকরেট নিয়ে সমালোচনা
বিরাট কোহলির এই মুহূর্তে আইপিএলে সর্বোচ্চ স্কোরার। বেশ ভালো ছন্দে রয়েছেন তিনি। তবু তাঁর স্ট্রাইকরেট নিয়ে সমালোচনার ঝড় বয়ে চলেছে। কোহলির স্ট্রাইকরেট কিন্তু এই মুহূর্তে আইপিএলে খুব খারাপও নয়। ১৩ ম্যাচে কোহলির সংগ্রহ ৬৬১ রান। গড় ৬৬.১০। স্ট্রাইক রেট ১৫৫.১৬। সর্বোচ্চ স্কোর অপরাজিত ১১৩। পাঁচটি হাফসেঞ্চুরি এবং একটি শতরান রয়েছে কোহলির। তবু সমালোচনা চলছে।
দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি জিতল পাকিস্তান
আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে বাবরের ঠুকঠুকে ব্যাটিংয়ের মাশুল দিয়ে আয়ারল্যান্ডের কাছে হেরে বসেছিল পাকিস্তান। এবার দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ফের ব্যাট হাতে ধারাবাহিকতা বজায় রাখে আয়ারল্যান্ড। তবে রিজওয়ান-ফখর জুটির সৌজন্যে দাপুটে জয়ে সিরিজে ১-১ সমতা ফেরায় পাকিস্তান।
আরও পড়ুন: শুধু বেঙ্গালুরুর হয়েই IPL-এ ২৫০ ম্যাচ খেলে ফেললেন কোহলি, লিখলেন ইতিহাস
ডাবলিনে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে আয়ারল্যান্ড। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ১৯৩ রান তুলে ফেলে। উইকেটকিপার লরকান টাকার লড়াকু হাফসেঞ্চুরি করেন। তিনি ৫টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৩৪ বলে ৫১ রান করে সাজঘরে ফেরেন। জবাবে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান ১৬.৫ ওভারে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ১৯৫ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। ১৯ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটে ম্যাচ জেতে পাকিস্তান। মহম্মদ রিজওয়ান ৪৬ বলে ৭৫ রান করে অপরাজিত থাকেন। তিনি ৬টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন। ৪০ বলে ৭৮ রানের অনবদ্য একটি ইনিংস খেলেন ফখর জামান। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল ৬টি চার এবং ৬টি ছক্কায়।