নাগপুরে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ওডিআই সিরিজের প্রথম ম্যাচে জয় পেয়েছে ভারত। এদিন টিম ইন্ডিয়ার হয়ে ডেবিউ হয় দুই ক্রিকেটার - যশস্বী জসওয়াল এবং হর্ষিত রানার। বল হাতে নজর কাড়েন হর্ষিত। অন্যদিকে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হলেও ফিল্ডিংয়ে নজর কেড়েছেন যশস্বী। বিশেষ করে বেন ডাকেটের ক্যাচটি। হর্ষিত রানার বলে শট খেলতে গিয়ে ঠিক মতো সংযোগ করতে না পারায় তা হাওয়ায় উঠে যায়। সেই সময় মিড উইকেটে ফিল্ডিং করছিলেন যশস্বী। তিনি বলকে নজরে রেখে পেছন দিকে দৌড়াতে থাকেন। এরপর শূন্যে শরীর ছুড়ে দিয়ে দুরন্ত ক্যাচ লোফেন তিনি। যশস্বীর এই অসাধারণ ক্যাচ সম্পর্কে তাঁর সতীর্থরা কী বলছেন তাঁর একটা ভিডিয়ো প্রকাশ করে বিসিসিআই।
সেখানে দেখা যাচ্ছে শুরুতে হর্ষিত রানা এবং অক্ষর প্যাটেল ক্যাচ নিয়ে কথোপকথন করছেন। দু'জনে বেশ মজা করেন বিষয়টা নিয়ে। সেই সময় তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন ফিল্ডিং কোচ টি দিলীপ। এরপর আর্শদীপ সিং মজা করে বলেন, ‘ও যদি আগে থেকে এবং আমার মতো জোরে দৌড়াতো তাহলে হয়তো এক হাতেই ক্যাচ ধরতে পারতো।’ তাপর তিনি প্রশংসা করে বলেন, ‘ও অসাধারণ ক্যাচ ধরেছে। ফিল্ডিংয়ে তার প্রয়াসকে কুর্নিশ।’ এরপর অক্ষর প্যাটেল বলেন, ‘আমি সেই সময় সামনেই ছিলাম। আমি দেখলাম ও দৌড়ে আসছে। একবার দেখলাম নিচের দিকে তাকালো। আমি ভাবলাম হয়তো ওর ফোকাস চলে গেছে। ও যেই ভাবে স্ট্রেচ করে ক্যাচ ধরেছে সেটার প্রশংসা করতেই হবে।’
অন্যদিকে ফিল্ডিং কোচ টি- দিলীপ বলেন, ‘আমি দেখলাম বল হাওয়ায় যাচ্ছে। দেখি বল এগিয়ে যাচ্ছে। জসওয়ালও পেছনে দৌড়াচ্ছে। আমি ভাবলাম ধরে না বাবা…উইকেটও গুরুত্বপূর্ণ। তবে জানতাম জসওয়ালের হাত খুবই ভালো। বিশ্বাস ছিল পৌঁছে গেলে ও বল ধরে নেবে।’ হর্ষিত এরপর মজা করে বলে, ‘যখন দৌড়াচ্ছিল তখন বিশ্বাস হচ্ছিল না, তবে যখন ধরে নেয় তখন পুরো বিশ্বাস এসেছিল (হাসি)।’ তারপর বলেন, ‘না, না, স্যার- এরকম কিছু না। সে অসাধারণ ক্যাচ ধরেছে।’ অক্ষর শেষে বলে, ‘ডেবিউ ম্যাচে এরকম ক্যাচ ধরা বিরাট বিষয়। আমরা ব্রিলিয়ান্ট ফিল্ডিং-এর কথা বলি। এটা সেরকমই। আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন উইকেটের মূল্য।’ উল্লেখ্য, নাগপুরে টসে জিতে ইংল্যান্ড ব্যাটিং নিয়েছিল। প্রথমে তারা ৪৭.৪ ওভারে ১০ উইকেট হারিয়ে ২৪৮ রান তোলে। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৩৮.৪ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় রান তুলে ফেলে ভারত।