গত বছর টি-২০ বিশ্বকাপ জিতে দেশের হয়ে ২০ ওভারের ক্রিকেট খেলা ছেড়েছেন বলেই মনে করা হচ্ছিল যে, চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির পরে ওয়ান ডে ক্রিকেট থেকেও অবসর নিতে পারেন রোহিত শর্মা। যদিও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে যেভাবে দলের জয়ের মঞ্চ গড়ে দেন হিটম্যান, তাতে ২টি বিষয় স্পষ্ট।
প্রথমত, রোহিত শর্মার পারফর্ম্যান্স গ্রাফ মোটেও পড়তির দিকে নয়। তিনি এখনও ভালো খেলছেন। যেভাবে দাপটের সঙ্গে ব্যাট করছেন, তাতে এখনও বিস্তর ক্রিকেট অবশিষ্ট হয়েছে রোহিতের মধ্যে।
দ্বিতীয়ত, টি-২০ বিশ্বকাপের পরে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে যেভাবে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন রোহিত, তাতে তাঁর ক্যাপ্টেন্সি স্কিলের যথার্থ প্রমাণ মেলে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালের মতো বড় মঞ্চে দলনায়ক ব্যাট হাতে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন মানে, দলকে প্রয়োজনীয় ভরসা জুগিয়ে চলেছেন হিটম্যান।
আরও পড়ুন:- CT 2025: চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের ১২ জন তারকার ব্যক্তিগত পারফর্ম্যান্স কেমন?
সুতরাং, রোহিতের অবসর নিয়ে জল্পনা যে নিছক তাঁর বয়সের কারণে, সেটা বোঝা যাচ্ছে স্পষ্ট। ৩৭ বছরের রোহিত ২০২৭ সালের ওয়ান ডে বিশ্বকাপের সময় ৩৯ ছাড়াবেন। সেই বয়সে সীমিত ওভারের ক্রিকেট খেলা জারি রাখবেন কিনা, সেই জল্পনা থেকেই উঠে আসে রোহিতের অবসর নেওয়ার সম্ভাবনা।
প্রাক্তন অজি দলনায়ক রিকি পন্টিংয়ের মত, কোনও ক্রিকেটার কেরিয়ারের এই পর্যায়ে পৌঁছনোর পরেই সবাই ধরে নিতে থাকেন তিনি অবসর নেবেন। সবাই যেন অপেক্ষা করতে থাকেন কখন সেই ক্রিকেটার খেলা ছাড়বেন। এই প্রসঙ্গে আইসিসিকে পন্টিং বলেন, ‘যখন আপনি কেরিয়ারের এই পর্যায়ে এসে পৌঁছন, সকলে আপনার অবসরের অপেক্ষায় থাকে। জানিনা এমনটা কেন হয়। বিশেষ করে আপনি যখন এমন পারফর্ম্যান্স (চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালের মতো) মেলে ধরতে পারছেন।’
India vs World XI: দুবাইয়ে ভারত বনাম বিশ্ব একাদশ ম্য়াচে কারা জিতবে, চমকে দেওয়া ভবিষ্যদ্বাণী আফ্রিদির
পন্টিং পরক্ষণেই বলেন, ‘আমার মনে হয়, ও হয়তো এই সব প্রশ্নগুলোকে দূরে সরিয়ে বলতে চাইছিল যে, না, আমি এখনও যথেষ্ট ভালো খেলছি। এই দলের হয়ে খেলতে ভালোবাসি। এই দলকে নেতৃত্ব দিতে ভালোবাসি।’
২০২৭ বিশ্বকাপে খেলবেন রোহিত?
পন্টিং এটাও মেনে নেন যে, রোহিতের মাথায় সম্ভবত ২০২৭ বিশ্বকাপে মাঠে নামার ভাবনা রয়েছে। অজি তারকার কথায়, ‘ও যে কথা বলেছে, তাতে আমার মনে হয় ওর সেই লক্ষ্য (২০২৭ বিশ্বকাপে খেলার) রয়েছে। সম্ভবত একটা বিশ্বকাপ ফাইনালে ওকে হারতে হয়েছে, যেখানে ও নেতৃত্ব দেয়, এই বিষয়টাই ওর জেদ বাড়িয়েছে। বিশ্বকাপ জয়ের আরও একটা চেষ্টা করার ভাবনা হয়তো ওর মধ্যে কাজ করছে। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে যে রকম খেলে, তাতে আপনি কখনও বলতে পারেন না যে, ওর সময় শেষ হয়ে গিয়েছে।’