পার্থ টেস্টে ভারতের কাছে হারের পরে অ্যাডিলেডের দ্বিতীয় টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার সামনে ঘুরে দাঁড়ানোর চ্যালেঞ্জ। যদিও অ্যাডিলেডের ডে-নাইট টেস্টে ডাকাবুকো হওয়ার উপায় ছিল না অজিদের সামনে। সচরাচর গোলাপি বলে টেস্ট খেলা হলে পিচে উল্লেখযোগ্যভাবে সবুজ ঘাসের উপস্থিতি টের পাওয়া যায়। তবে এমন পিচ যে অজি ব্যাটারদের কাছে বুমেরাং হয়ে ফিরতে পারে, সেটা বুঝতে বিশেষ অসুবিধা হয়নি ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার।
তাই অ্যাডিলেডের পিচে ঘাস ছাড়া থাকলেও তা অনেকটাই শুকনো। ম্যাচের দৈর্ঘ্য যত বাড়বে, পিচ আরও শুকনো হবে বলে মনে করা হচ্ছে। সব মিলিয়ে অ্যাডিলেডের বাইশগজ দেখেই বিশেষজ্ঞরা বলা-কওয়া শুরু করেছেন যে, অস্ট্রেলিয়া শুরুতেই এক পা পিছনে সরিয়ে নিয়েছে।
তার উপর অ্যাডিলেড টেস্টে টস-ভাগ্য সঙ্গ দেয় ভারতকে। ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা টস জিতে শুরুতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন। অস্ট্রেলিয়া দলকে এদিন কালো আর্মব্যান্ড পরে মাঠে নামতে দেখা যায়। স্বাভাবিকভাবেই ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে আগ্রহ জাগে কারণ জানার।
কেন কালো আর্মব্যান্ড পরেন অজি ক্রিকেটাররা
আসলে ফিল হিউজের ক্রিকেট মাঠে বল লেগে মৃত্যুর ১০ বছর পূর্ণ হয় সম্প্রতি। তাই হিউজের স্মরণে হাতে কালো ব্যান্ড পরে মাঠে নামার সিদ্ধান্ত নেন অজি ক্রিকেটাররা। তাছাড়া গত ১ ডিসেম্বর প্রয়াত হন প্রাক্তন অজি তারকা ইয়ান রেডপাথ। তাই প্রয়াত ক্রিকেটারকে শ্রদ্ধা জানাতেও প্যাট কামিন্সরা এই উদ্যোগ নেন।
২০১৪ সালের ২৫ নভেম্বর সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে শেফিল্ড শিল্ডের ম্যাচ চলাকালীন শন অ্যাবটের বলে মাথায় চোট পান ফিল হিউজ। চোট পাওয়ার পরেই মাটিতে লুটিয়ে পড়েন তারকা ক্রিকেটার। হাসপাতালে ২ দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই চালিয়ে শেষমেশ হার মানেন হিউজ। ২৭ নভেম্বর হাসপাতালেই প্রয়াত হন তিনি।
হিউজের মৃত্যু নাড়িয়ে দেয় সারা ক্রিকেটবিশ্বকে। ক্রিকেটারদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে একাধিক সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে আইসিসি। দুর্ঘটনার সময় হিউজ ব্যক্তিগত ৬৩ রানে ব্যাট করছিলেন। সেই ম্যাচের স্কোরবুকে লেখা থাকে হিউজ ৬৩ নট-আউট।
অন্যদিকে ইয়ান রেডপাথ ১৯৬৪ থেকে ১৯৭৬ সালের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৬৬টি টেস্ট ও ৫টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে মাঠে নামেন। টেস্টে ৮টি শতরান ও ৩১টি অর্ধশতরান-সহ ৪৭৩৭ রান সংগ্রহ করেন তিনি। টেস্ট ক্রিকেটে ইয়ানের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস ১৭১ রানের। ওয়ান ডে ক্রিকেটে তাঁর সংগ্রহ মোটে ৪৬ রান।