সিরিজের প্রথম ২টি ওয়ান ডে ম্যাচ হেরে বাংলাদেশ আগেই সিরিজ হার নিশ্চিত করেছিল। এবার নিয়মরক্ষার তৃতীয় ওয়ান ডে ম্যাচে ৩০০ টপকে বড় রানের ইনিংস গড়েও হারের মুখ দেখতে হয় মেহেদি হাসান মিরাজদের। ফলে তিন ম্যাচের ওয়ান ডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশের লজ্জায় পড়তে হয় বাংলাদেশকে।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ে ব্যাট হাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন এমন একজন, যিনি প্রথমবার ক্যারিবিয়ান দলের জার্সিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে নামেন। দুর্দান্ত শতরান করে নিজের অভিষেক ম্যাচ স্মরণীয় করে রাখেন আমির জাঙ্গু।
সেন্ট কিটসের ওয়ার্নার পার্কে সিরিজের তৃতীয় তথা শেষ ওয়ান ডে ম্যাচে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। তারা নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৫ উইকেটের বিনিময়ে ৩২১ রান তোলে। দাপুটে হাফ-সেঞ্চুরি করেন বাংলাদেশের চার ব্যাটার সৌম্য সরকার, মেহেদি হাসান মিরাজ, মহমুদুল্লাহ ও জাকের আলি।
সৌম্য ৭৩ বলে ৭৩ রান করেন। মারেন ৬টি চার ও ৪টি ছক্কা। ৭৩ বলে ৭৭ রান করেন মেহেদি হাসান মিরাজ। তিনি ৮টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। ৬৩ বলে ৮৪ রান করে অপরাজিত থাকেন মাহমুদুল্লাহ। তিনি ৭টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন। ৫৭ বলে ৬২ রান করে নট-আউট থাকেন জাকের আলি। তিনি ৫টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। খাতা খুলতে পারেননি লিটন দাস।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে ১০ ওভারে ৪৩ রান খরচ করে ২টি উইকেট নেন আলজারি জোসেফ। ৬৪ রানে ১টি উইকেট নেন গুড়াকেশ মোতি। ৩৭ রানে ১টি উইকেট নেন শেরফান রাদারফোর্ড।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৪৫.৫ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ৩২৫ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। অর্থাৎ, ২৫ বল বাকি থকাতে ৪ উইকেটে ম্যাচ জেতে ক্যারিবিয়ান দল। কেসি কার্টি নিশ্চিত শতরান মাঠে ফেলে আসেন। তিনি ৮৮ বলে ৯৫ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে সাজঘরে ফেরেন। তিনি ১০টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন।
আরও পড়ুন:- গুগলে সার্চ করা সেরা ১০ খেলোয়াড়ের তালিকায় হার্দিকের সঙ্গে এক আনকোরা ভারতীয়
অভিষেককারী আমির ৮৩ বলে ১০৪ রানে বিধ্বসী ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন। তিনি ৬টি চার ও ৪টি ছক্কা মারেন। ৩১ বলে ৪৪ রান করে নট-আউট থাকেন গুড়াকেশ মোতি। তিনি ৩টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন। বাংলাদেশের হয়ে ৬৯ রানে ২টি উইকেট নেন রিশাদ হোসেন। ম্যাচের সেরা হন আমির। সিরিজ সেরা হন রাদারফোর্ড।