ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে সিরিজের প্রথম টেস্টে কার্যত একতরফাভাবে হারতে হয় বাংলাদেশকে। তবে দ্বিতীয় টেস্টে ক্যারিবিয়ানদের হারিয়ে সিরিজ ড্র করলেন মেহেদি হাসান মিরাজরা। টানা ৫টি টেস্টে পরাজিত হওয়ার পরে অবশেষে লাল বলের ক্রিকেটে জয়ের মুখ দেখল বাংলাদেশ।
কিংস্টোনে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে দাপটের সঙ্গে পরাজিত করে বাংলাদেশে। সৌজন্যে দ্বিতীয় ইনিংসে তাইজুল ইসলামের অনবদ্য বোলিং। যদিও ম্যাচে ব্যাট হাতে বাংলাদেশের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখেন শাদমান ইসলাম, জাকের আলিরা। শাদমান দুই ইনিংসেই বড় রানের মুখ দেখেন। জাকের দ্বিতীয় ইনিংসে নিশ্চিত শতরান মাঠে ফেলে আসেন।
বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস
কিংস্টোনে টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে বাংলাদেশ। তারা প্রথম ইনিংসে ১৬৪ রানে অল-আউট হয়ে যায়। শাদমান ৬৪ ও মেহেদি হাসান মিরাজ ৩৬ রান করেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের জয়ডেন সিলস প্রথম ইনিংসে ৪টি উইকেট দখল করেন। ৩টি উইকেট নেন শামার জোসেফ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের প্রথম ইনিংস
পালটা ব্যাট করতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাদের প্রথম ইনিংসে তোলে মাত্র ১৪৬ রান। অর্থাৎ, ছোটখাটো ইনিংস গড়েও বাংলাদেশ প্রথম ইনিংসের নিরিখে ১৮ রানের লিড পেয়ে যায়। ক্রেগ ব্রাথওয়েট ৩৯, মিকাইল লুইস ১২ ও কেসি কার্টি ৪০ ছাড়া আর কেউ দুই অঙ্কের রান করতে পারেননি।
নাহিদ রানা প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের হয়ে ৫টি উইকেট দখল করেন। ২টি উইকেট নেন হাসান মাহমুদ। ১টি করে উইকেট দখল করেন তাসকিন আহমেদ, তাইজুল ইসলাম ও মেহেদি হাসান মিরাজ।
বাংলাদেশের দ্বিতীয় ইনিংস
বাংলাদেশ তাদের দ্বিতীয় ইনিংসে তোলে ২৬৮ রান। জাকের আলি ৯১, শাদমান ইসলাম ৪৬, শাহাদত হোসেন ২৮, মেহেদি হাসান মিরাজ ৪২, লিটন দাস ২৫ ও তাইজুল ইসলাম ১৪ রান করেন। দ্বিতীয় ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের হয়ে আলজারি জোসেফ ও কেমার রোচ ৩টি করে উইকেট দখল করেন। ২টি উইকেট নেন শামার জোসেফ।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় ইনিংস
প্রথম ইনিংসের খামতি মিলিয়ে জয়ের জন্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ২৮৭ রানের। ক্যারিবিয়ান দল শেষ ইনিংসে অল-আউট হয় ১৮৫ রানে। অর্থাৎ, ১০১ রানের বড় ব্যবধানে কিংস্টোন টেস্টে জয় তুলে নেয় বাংলাদেশ।
সেই সুবাদে তারা ২ টেস্টের সিরিজে ১-১ সমতা ফেরায়। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, শাকিব আল হাসান, নাজমুল হোসেন শান্ত ও মুশফিকুর রহিমের মতো সিনিয়র তারকাদের ছাড়াই কিংস্টোন টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে পরাজিত করে বাংলাদেশ।
শেষ ইনিংসে ক্যারিবিয়ানদের হয়ে ৫৫ রান করেন কেভাম হজ। ৪৩ রান করেন ক্রেগ ব্রাথওয়েট। বাংলাদেশের তাইজুল ইসলাম দ্বিতীয় ইনিংসে ৫টি উইকেট দখল করেন। ম্যাচের সেরা হন তিনিই। যুগ্মভাবে সিরিজ সেরা হন তাসকিন আহমেদ ও জয়ডেন সিলস।