আইপিএল ২০২৪-এ চোখ ধাঁধানো পারফর্ম্যান্স উপহার দেন ফিল সল্ট। তা সত্ত্বেও ব্রিটিশ উইকেটকিপার-ব্যাটারকে এবছর স্কোয়াডে ধরে রাখেনি কলকাতা নাইট রাইডার্স। রিটেনশনের পরে প্রথমবার টি-২০ ক্রিকেটে মাঠে নেমেই সল্ট বুঝিয়ে দিলেন, তাঁকে স্কোয়াড থেকে ছেড়ে দিয়ে ভুল করেছে কেকেআর।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম টি-২০ ম্যাচে সল্ট যে রকম ধ্বংসাত্মক পারফর্ম্যান্স উপহার দিলেন, তাতে এটা নিশ্চিত যে, আইপিএল নিলামে তাঁকে নিয়ে রীতিমতো ঝড় উঠবে। কেননা ক্যারিবিয়ানদের বিরুদ্ধে সিরিজের প্রথম টি-২০ ম্যাচে বিধ্বংসী শতরান করে ইংল্যান্ডকে জেতালেন সল্ট।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ওয়ান ডে সিরিজে হারতে হয়েছে ইংল্যান্ডকে। তবে বাটলারের নেতৃত্বে এবার জয় দিয়ে টি-২০ সিরিজ শুরু করল ব্রিটিশরা। ব্রিজটাউনে ক্যারিবিয়ানদের ঝুলিয়ে দেওয়া চ্যালেঞ্জিং টার্গেটে অনায়াসে পৌঁছে যায় ইংল্যান্ড।
টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ১৮২ রানের বড়সড় ইনিংস গড়ে তোলে। যদিও এক্ষেত্রে কোনও একজনের পারফর্ম্যান্সে ভর করে নয়, বরং ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলগত পারফর্ম্যান্সে ভর করে লড়াইয়ের রসদ সংগ্রহ করে।
২৯ বলে ৩৮ রান করেন নিকোলাস পুরান। তিনি ২টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন। ১৭ বলে ৩০ রান করেন আন্দ্রে রাসেল। তিনি ৪টি ছক্কা মারেন। ২২ বলে ৩৫ রান করে অপরাজিত থাকেন রোমারিও শেফার্ড। তিনি ৩টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। ১৪ বলে ৩৩ রানের আগ্রাসী ইনিংস খেলেন গুড়াকেশ মোতি। তিনি ৪টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। এভিন লুইস ১৩ ও ক্যাপ্টেন রোভম্যান পাওয়েল ১৮ রানের যোগদান রাখেন।
ইংল্যান্ডের হয়ে ৪ ওভারে ৩৪ রান খরচ করে ৪টি উইকেট নেন সাকিব মাহমুদ। ৪ ওভারে ৩২ রান খরচ করে ৩টি উইকেট নেন আদিল রশিদ। ১টি করে উইকেট সংগ্রহ করেন জেমি ওভার্টন ও লিয়াম লিভিংস্টোন।
পালটা ব্যাট করতে নেমে ইংল্যান্ড ১৬.৫ ওভারে ২ উইকেটের বিনিময়ে ১৮৩ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। ১৯ বল বাকি থাকতে ৮ উইকেটে ম্যাচ জিতে ৫ ম্যাচের সিরিজে ১-০ লিড নেয় ব্রিটিশরা।
মারকাটারি সেঞ্চুরি ফিল সল্টের
ওপেন করতে নেমে ৫টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে ২৫ বলে ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন ফিল সল্ট। তিনি ব্যক্তিগত শতরানের গণ্ডি টপকান ৫৩ বলে। সাহায্য নেন ৯টি চার ও ৬টি ছক্কার। শেষমেশ ৫৪ বলে ১০৩ রান করে অপরাজিত থাকেন সল্ট।
৩৬ বলে ৫৮ রান করে নট-আউট থাকেন জেকব বেথেল। তিনি ৫টি চার ও ২টি ছক্কা মারেন। ১ বলেই আউট হয়ে বসেন ক্যাপ্টেন জোস বাটলার। সঙ্গত কারণেই ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন ফিল সল্ট।