প্রথমত, ঋষভ পন্ত জাতীয় দলে ফিরেছেন। তিন ফর্ম্যাটেই ভারতীয় দলের প্রথম পছন্দের কিপার হওয়ার দৌড়ে সবার আগে রয়েছেন তিনি। পন্ত ছন্দে থাকলে ভারতীয় দলের দ্বিতীয় কিপার হয়েও লাভ নেই। রিজার্ভ বেঞ্চে পাকাপাকি জায়গা হতে পারে ইশান কিষান, সঞ্জু স্যামসনদের।
দ্বিতীয়ত, ভারতের হেড কোচ হিসেবে গৌতম গম্ভীরের জমানা শুরু হতেই টিম ইন্ডিয়ায় নতুন একটি ট্রেন্ড দেখা যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞ ব্যাটার বলে আলাদা কিছু থাকছে না আর। রিঙ্কু সিং, সূর্যকুমার যাদব এমনকি রোহিত শর্মাকেও আন্তর্জাতিক ম্যাচে হাত ঘোরাতে দেখা যাচ্ছে। টিম ম্যানেজমেন্টের তরফে সকলকে স্পষ্ট নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যে, যখন যেখানে সুযোগ পাওয়া যাবে, সকলে যেন হাত ঘোরানো অভ্যাস করে রাখেন।
ক'দিন আগে ভারতীয় দলের নেটে ঋষভ পন্তকে হাত ঘোরাতে দেখা যায়। এমনকি দিল্লি প্রিমিয়র লিগের ম্যাচেও পন্ত বল করেন। এবার ইশান কিষানকেও দেখা গেল প্রতিযোগিতামূলক ম্যাচে বল করতে। পন্তের উপস্থিতিতে কিপার-ব্যাটার হিসেবে পিছনের সারিতে চলে যেতে হবে বুঝেই কি নিজেকে থ্রি-ডি ক্রিকেটারে পরিণত করতে চাইছেন ইশান?
আরও পড়ুন:- রাহুলের চ্যারিটি নিলামে সব থেকে দামি কোহলির জার্সি, কতয় বিকোল রোহিতের ব্যাট?
হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে বুচি বাবু আমন্ত্রণী টুর্নামেন্টের ম্যাচে ইশান কিষানকে বল করতে দেখা যায়। হায়দরাবাদের প্রথম ইনিংসে ২ ওভার বল করেন ইশান। কোনও উইকেট না পেলেও মোটে ৫ রান খরচ করেন তিনি। এই ম্যাচে ঝাড়খণ্ডের হয়ে উইকেটকিপিং করেন পঙ্কজ কুমার। যদিও ইশান ম্যাচে ক্যাপ্টেন্সি করেন।
অবশ্য ব্যাট হাতে এই ম্যাচে পুরোপুরি ব্যর্থ হন ইশান কিষান। প্রথম ইনিংসে ইশান ১১ বলে মাত্র ১ রান করে সাজঘরে ফেরেন। দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি ২২ বলে ৫ রান করেন। মারেন ১টি চার। ম্যাচে ৩টি ক্যাচ ধরেন টিম ইন্ডিয়ার তরুণ তুর্কি।
ঝাড়খণ্ড এই ম্যাচে কার্যত গোহারান হারে হায়দরাবাদের কাছে। টস জিতে শুরুতে ব্যাট করতে নামে ঝাড়খণ্ড। তারা প্রথম ইনিংসে মাত্র ১৭৮ রানে অল-আউট হয়ে যায়। পালটা ব্যাট করতে নেমে হায়দরাবাদ তাদের প্রথম ইনিংসে তোলে ২৯৩ রান।
প্রথম ইনিংসের নিরিখে ১১৫ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় দফায় ব্যাট করতে নামে ঝাড়খণ্ড। তারা দ্বিতীয় ইনিংসে অল-আউট হয় মাত্র ১৪০ রানে। প্রথম ইনিংসের লিড বাদ দিয়ে জয়ের জন্য শেষ ইনিংসে হায়দরাবাদের সামনে লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় মাত্র ২৬ রানের। তারা ৩.২ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ২৬ রান সংগ্রহ করে নেয়।