হরিয়ানাকে মাত্র ১৫৭ রানে অল-আউট করেও রঞ্জির প্রথম ইনিংসে লিড নিতে পারল না বাংলা। নিজেদের ডেরায় নিতান্ত কম রানে গুটিয়ে যায় বাংলার প্রথম ইনিংস। ফলে ছোটখাটো পুঁজি নিয়েও প্রথম ইনিংসের নিরিখে এগিয়ে থাকে হরিয়ানা।
অথচ পালটা ব্যাট করতে নেমে বাংলা একসময় ২ উইকেটে ৫৯ রান তুলে ফেলেছিল। তার পরেই নিয়মিত অন্তরে উইকেট খোয়াতে থাকে তারা। ফলে একশো রানের গণ্ডি টপকেই থামতে হয় অনুষ্টুপ মজুমদারদের। উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, হরিয়ানা ছোটখাটো ইনিংস গড়ে তোলায় তেমন একটা চাপ ছিল না বাংলার ব্যাটারদের উপরে। তা সত্ত্বেও লড়াই চালাতে ব্যর্থ হন ঋদ্ধিমান সাহারা।
হরিয়ানার ১৫৭ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলা প্রথম দিনের শেষে তাদের প্রথম ইনিংসে ১ উইকেটের বিনিময়ে ১০ রান তোলে। তারা ৫ ওভার ব্যাট করে। ৯ বলে ১ রান করে আউট হন ঋত্বিক চট্টোপাধ্যায়। ১টি বাউন্ডারির সাহায্যে ২০ বলে ৫ রান করে অপরাজিত থাকেন অভিষেককারী অঙ্কিত চট্টোপাধ্যায়।
দ্বিতীয় দিনে তার পর থেকে খেলতে নেমে বাংলা তাদের প্রথম ইনিংসে অল-আউট হয় ১২৫ রানে। তাদের ইনিংস স্থায়ী হয় ৪০.২ ওভার। সুতরাং, ৩২ রানের ছোটখাটো লিড পেয়ে যায় হরিয়ানা।
অঙ্কিত ৭৭ বলে ২৯ রান করে আউট হন। তিনি ৬টি চার মারেন। ১৭ বলে ৩১ রানের সংক্ষিপ্ত অথচ আগ্রাসী ইনিংস খেলেন অভিষেক পোড়েল। তিনি ৪টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। সুদীপ ঘরামি ৫২ বলে ২০ রান করে মাঠ ছাড়েন। তিনি ৩টি চার মারেন। ২৩ বলে ১৩ রান করেন সুরজ জসওয়াল। তিনি ২টি চার মারেন।
বলার মতো রান করতে পারেননি বাংলার আর কোনও ব্যাটার। খাতা খুলতে পারেননি রোহিত কুমার। ক্যাপ্টেন অনুষ্টুপ ২ রান করে ক্রিজ ছাড়েন। ২৯ বলে ৮ রান করেন ঋদ্ধিমান সাহা। তিনি ১টি চার মারেন। ৩ রান করেন প্রদীপ্ত প্রামানিক। মহম্মদ কাইফের অবদান ৮ রানের। শূন্য রানে নট-আউট থাকেন মুকেশ কুমার।
হরিয়ানার হয়ে ৩১ রানে ৬ উইকেট দখল করেন পেসার অনূজ ঠাকরাল। ১৫ রানে ২টি উইকেট নেন সুমির কুমার। অংশুল কাম্বোজ ৪৭ রানে ১টি উইকেট দখল করেন। ২২ রানে ১টি উইকেট পকেটে পোরেন অজিত চাহাল।