চলতি টি-২০ বিশ্বকাপে পরপর ২টি ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন জসপ্রীত বুমরাহ। প্রথমে আয়ারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতের জয়ে বল হাতে মুখ্য ভূমিকা নেন বুমরাহ। পরে পাকিস্তানকে বিধ্বস্ত করে টিম ইন্ডিয়ার জয় নিশ্চিত করেন জসপ্রীত।
রবিবার নিউ ইয়র্কের নাসাউ কাউন্টি ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে পাকিস্তানকে হারিয়ে ওঠার পরেই বুমরাহকে মুখোমুখি হতে হয় স্ত্রী সঞ্জনা গণেশনের। সঞ্জনা এক্ষেত্রে আইসিসি ডিজিটালের প্রেজেন্টার হিসেবে সাক্ষাৎকার নেন বুমরাহর। প্রশ্নোত্তর পর্বে ক্রিকেটীয় বিষয়ে সঞ্জনার যাবতীয় প্রশ্নের উত্তর দেন জসপ্রীত। তবে সাক্ষাৎকার পর্বের শেষটা বেশি মনে ধরে নেটিজেনদের।
কেননা এক্ষেত্রে স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক সম্পর্ক সামনে চলে আসে। সঞ্জনা যখন সাক্ষাৎকারের জন্য বুমরাহকে কৃতজ্ঞতা জানিয়ে প্রথামাফিক তাড়াতাড়ি ফের দেখা হবে বলে মন্তব্য করেন, বুমরাহ পালটা মন্তব্য করেন যে, আধঘণ্টার মধ্যেই তোমার সঙ্গে দেখা হবে। সঞ্জনাকে শেষে স্বামীর কাছে ডিনারের বিষয়ে খোঁজ নিতেও শোনা যায়।
স্বাভাবিকভাবেই সাক্ষাৎকারের ভিডিয়োটি আপ্লুত করে নেটিজেনদের। ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা ভিডিয়োটি ৯ ঘণ্টায় ৯ লক্ষেরও বেশি লাইক আদায় করে নেয়। রীতিমতো কমেন্টের বন্য বয়ে যায়।
সাক্ষাৎকারে ম্যাচ প্রসঙ্গে বুমরাহ বলেন, ‘দিনটা ভলো কাটল। পিচ বেশ কিছুটা বদলে গেছে। আগের ম্যাচে পিচে আরও বেশি সাহায্য ছিল। তাছাড়া সকালে আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল। পরে রোদ ওঠে এবং পিচ কিছুটা শুকিয়ে যায়। সুতরাং, পরের দিকে ব্যাট করা তুলনায় সহজ হয়ে দাঁড়ায়। সিম ও সুইং একটু কমে। তবে ওদের আটকে রাখতে পেরে ভীষণ খুশি। ক্রমাগত চাপ তৈরি করে রান তোলা যতটা সম্ভব কঠিন করাই ছিল প্রধান লক্ষ্য।’
বুমরাহ এও জানান যে, যখনই কোনও জটিলতা দেখা দেয়, দলকে কীভাবে সমস্যা থেকে বার করা যাবে, সেটাই তাঁর একমাত্র লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায়। পাকিস্তান ম্যাচে সেই কাজটা যথাযথ করতে পেরে তৃপ্ত দেখায় বুমরাহকে।
উল্লেখ্য, রবিবার নিউ ইয়র্কে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে ভারত। তারা ১৯ ওভারে ১১৯ রানে অল-আউট হয়ে যায়। ঋষভ পন্ত দলের হয়ে সব থেকে বেশি ৪২ রান করেন। ২০ রান করেন অক্ষর প্যাটেল। ১৩ রান করেন ক্যাপ্টেন রোহিত শর্মা। পালটা ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান ২০ ওভারে ৭ উইকেটের বিনিময়ে ১১৩ রান তোলে। ৬ রানের সংক্ষিপ্ত ব্যবধানে ম্যাচ জেতে ভারত। জসপ্রীত বুমরাহ ৪ ওভারে মাত্র ১৪ রান খরচ করে ৩টি উইকেট তুলে নেন। সঙ্গত কারণেই ম্যাচের সেরা হন তিনি।