অনূর্ধ্ব-১৯ মহিলা এশিয়া কাপে পাকিস্তানকে গুঁড়িয়ে দিল ভারত। রবিবার কুয়ালামপুরে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে সাত উইকেটে ৬৭ রান তোলে পাকিস্তান। জবাবে এক উইকেট হারিয়ে মাত্র ৪৭ বলেই সেই রানটা তুলে নেয় ভারত। অর্থাৎ ১২.১ ওভার (৭৩ বল) বাকি থাকতে পাকিস্তানকে নয় উইকেটে ধ্বংস করে দিয়েছে টিম ইন্ডিয়া। ২৯ বলে ৪৪ রানে অপরাজিত থাকেন জি কমলিনী। আর ১৭ বলে ১৯ রানে অপরাজিত থাকেন সোনিকা চালকে। আর ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হয়েছেন সোনম যাদব। যিনি চার ওভারে ১৮ রান দিয়ে চার উইকেট নেন।
T20 ম্যাচে 'টেস্ট প্রো ম্যাক্স' খেলছিল পাকিস্তান!
রবিবার টসে জিতে পাকিস্তান যে ওরকম ভরাডুবির মুখে পড়ে, সেটার নেপথ্যে ছিলেন সোনম। তবে পাকিস্তানকে প্রথম ধাক্কাটা দেন জোশিথা ভি জে। দ্বিতীয় ওভারের শেষ বলে আউট করে দেন ফিজ্জা ফিয়াজ। তারপর কোনও উইকেট না হারিয়েই সপ্তম ওভার পার করে ফেলে পাকিস্তান। কিন্তু কার্যত রানই তুলতে পারছিল না। ফলে ভারত উইকেট না পেলেও পুরো চাপটা ছিল পাকিস্তানের উপরে।
শেষপর্যন্ত অষ্টম ওভারের শেষ বলে মাহাম অনিসকে আউট করে দেন সোনম। যিনি ১৪ বলে তিন রান করেন। আর তারপর পরপর উইকেট হারাতে থাকে পাকিস্তান। খুব দ্রুত উইকেট না পড়লেও এত ঢিমেগতিতে পাকিস্তান রান তুলছিল যে ভারতের উপরে কোনও চাপই তৈরি হয়নি। ঢিমেগতিতে রান উঠছিল। আর মোটামুটি নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট আসছিল। রানের গতি এতটাই কম ছিল যে ৭.৫ ওভারে এক উইকেটে ২৯ রান থেকে ১৮.৩ ওভারে পাকিস্তান পৌঁছায় সাত উইকেট ৫৮ রানে। শেষপর্যন্ত ৬৭ রানে থমকে যায়।
পাকিস্তানের ১ ব্যাটারের স্ট্রাইক রেট পেরোয় ১০০!
আর পাকিস্তানের হয়ে মাত্র একজন ব্যাটারের স্ট্রাইক রেট ১০০ পার করে। যে ফিয়াজ চার বলে পাঁচ রান করেন। সর্বোচ্চ ৩২ বলে ২৪ রান করেন কমল খান। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৮ বলে ১১ রান করেন ফতিমা খান। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে মিথিলা এক উইকেট নেন। একটি করে উইকেট পান জোশিথা এবং পারুনিকা সিসোদিয়া।
হাসতে-হাসতে জয় ভারতের
সেই পরিস্থিতিতে ৬৮ রান তাড়া করতে নেমে শুরুতেই ধাক্কা খায় ভারত। দ্বিতীয় বলেই আউট হয়ে যান জি তৃষা। যদিও তারপর আর বিপদ হতে দেননি কমলিনী এবং সোনিকা। কমলিনী তো ১৫১.৭২ স্ট্রাইক রেটে রান করেন। মারেন চারটি চার এবং তিনটি ছক্কা। আর পাকিস্তানি বোলারদের একমাত্র উইকেট নেন ফতিমা। তিন ওভারে ১৬ রান খরচ করেন মাহনূর জেব। ১০টি ডট বল করেন। যে জেবের অ্যাকশনকে খানিকটা জসপ্রীত বুমরাহের মতো বলছেন অনেকে।