অস্ট্রেলিয়া-নিউজিল্যান্ড ম্যাচে এক আজব ঘটনা ঘটে গেল। শনিবার ধর্মশালায় মুখোমুখি হয়েছে এই দুই দল। টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে এই আজব ঘটনা ঘটায় অস্ট্রেলিয়াই। ম্যাট হেনরির দু'টি বৈধ ডেলিভারিতে ২১ রান নিয়ে বসে থাকেন ডেভিড ওয়ার্নার আর ট্র্যাভিস হেড মিলে। ভাবছেন তো কী ভাবে? নিশ্চয়ই চমকেও গিয়েছেন। চমকানোর মতোই ঘটনা বটে!
এদিন অজিদের ইনিংসের তৃতীয় ওভারে বল করতে আসেন নিউজিল্যান্ডের ম্যাট হেনরি। স্ট্রাইকে ছিলেন ওয়ার্নার। প্রথম বলেই ছক্কা হাঁকান ওয়ার্নার। এর পর দ্বিতীয় বল নো করেন হেনরি। সিঙ্গল নেন ওয়ার্নার। হয় মোট ২ রান। হেড স্ট্রাইকে এলে ফ্রি-হিটের বলে ছক্কা হাঁকান। মজার বিষয় হল, এটিও নো-বল হয়। এই বল থেকে রান আসে মোট ৭। ফের ফ্রি-হিট পায় অস্ট্রেলিয়া। সেই বলে ফের ছক্কা হাঁকান ট্র্যাভিস হেড। অর্থাৎ দুই বল মিলে হয় ৬+২+৭+৬, মোট ২১ রান।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপে ম্যাচ খেলার সেঞ্চুরি করে ইতিহাস লিখে ফেলল অস্ট্রেলিয়া
২টি বৈধ ডেলিভারিতে অজিদের ২১ রান নেওয়ার নজির যদি মিস করে গিয়ে থাকেন, যদি না দেখে থাকেন, তবে সেটি দেখতে ক্লিক করুন এই নীল রঙের লিঙ্কে: https://www.icc-cricket.com/video/3755727
কিউয়িদের বিরুদ্ধে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই একেবারে বিধ্বংসী মেজাজে ছিলেন দুই অজি ওপেনার। ১০ ওভারেই অস্ট্রেলিয়া ১১৮ রান করে ফেলে। একেবারে টি-টোয়েন্টির মেজাজে। এটি ২০২৩ বিশ্বকাপে প্রথম পাওয়ার প্লে-তে করা কোনও দেশের সর্বোচ্চ রান। আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম দশ ওভারে ভারতের করা ৯৪ রানের কীর্তিকে এদিন ছাপিয়ে গিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। আর বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটি পাওয়ার প্লে-তে করা দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর। কিউয়ি বোলারদের পিটিয়ে একেবারে ছাতু করে দেন দুই অজি তারকা মিলে। ২০০৩ বিশ্বকাপে কানাডার বিরুদ্ধে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দশ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ১১৯ রান করেছিল। সেটা এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ। এদিন এক রানের জন্য এই নজির ছুঁতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া।
আরও পড়ুন: ভারতের বিরুদ্ধে T20 সিরিজ থেকে কামিন্স, হেজেলউড, মার্শ, স্টার্ক বাদ, নেতৃত্বে ওয়েড
ওপেনিং জুটিতে এদিন অস্ট্রেলিয়া করে ফেলে ১১৫ বলে ১৭৫ রান। ৬টি ছক্কা এবং ৫টি চারের হার ধরে ওয়ার্নার ৬৫ বলে ৮১ রান করে আউট হয়ে যান। তবে সেঞ্চুরি হাঁকান হেড। তিনি ৬৭ বলে ১০৯ রান করেন সাজঘরে ফেরেন। তাঁর ইনিংস সাজানো ছিল ৭টি ছয় এবং ১০টি চারে। ওয়ার্নার এবং ট্র্যাভিস হেড মিলে যে ভাবে শুরুটা করেছিলেন, তাতে মনে হয়েছিল পাঁচশোর কাছাকাছি হয়তো রান করে ফেলবে অস্ট্রেলিয়া। শেষ পর্যন্ত অবশ্য তারা রানের পাহাড় গড়লেও, চারশো করতে পারেনি। ৪৯.২ ওভারে ৩৮৮ রানে অলআউট হয়ে যায়।