নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ২০১৯ বিশ্বকাপের ফাইনালে অপরাজিত ৮৪ রানের দুরন্ত ইনিংসের সুবাদে ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন বেন স্টোকস। গুরুত্বের নিরিখে সেটি বেন স্টোকসের বিশ্বকাপ কেরিয়ারের সেরা ইনিংস সন্দেহ নেই, তবে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস নয়। ২০১৯ বিশ্বকাপে ১১টি ম্যাচের ১০টি ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৫ বার ব্যক্তিগত অর্ধশতরানের গণ্ডি টপকান স্টোকস। তবে একবারও শতরানের গণ্ডি ছুঁতে পারেননি তিনি।
২০২৩ বিশ্বকাপে চোট-আঘাত সমস্যা তাড়া করে বেড়ায় স্টোকসকে। চলতি বিশ্বকাপে নিজের প্রথম ৪টি ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে তিনি ৫, ৪৩, ০ ও ৬৪ রান করেন। সুতরাং, বিশ্বকাপের প্রথম ১৫টি ম্যাচের ১৪টি ইনিংসে ব্যাট করে ৬টি হাফ-সেঞ্চুরি করেন স্টোকস। অবশেষে প্রথমবার শতরানের মুখ দেখেন ১৬তম ম্যাচের ১৫তম ইনিংসে।
বুধবার পুণের মহারাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে বিশ্বকাপ ২০২৩-এর ম্যাচে মাঠে নামে ইংল্যান্ড। উভয় দল আগেই বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিশ্চিত করে ফেলে। সুতরাং, নিছক নিয়ম রক্ষার ম্যাচে চাপমুক্ত হয়ে মাঠে নামে উভয় দল। যদিও ডাচদের কাছে হেরে যাতে লজ্জায় মাথা নোয়াতে না হয়, তাই তুলনায় চাপ ছিল ইংল্যান্ডের উপরে।
তুলনায় সহজ ম্যাচে ইংল্যান্ড পরিচিত মেজাজে ধরা দেয়। তারা শুরুতে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৯ উইকেটের বিনিময়ে ৩৩৯ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে তোলে। সৌজন্যে বেন স্টোকসের প্রথম বিশ্বকাপ শতরান এবং ৮ নম্বরে ব্যাট করতে নামা ক্রিস ওকসের ঝোড়ো হাফ-সেঞ্চুরি।
স্টোকস ৬টি চার ও ৬টি ছক্কার সাহায্যে ৮৪ বলে ১০৮ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলে আউট হন। ওয়ান ডে বিশ্বকাপে এটি তাঁর প্রথম শতরান তথা সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস।
বেন স্টোকস ব্যক্তিগত মাইলস্টোন গড়লেও ওকস ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বকালীন এক নজির গড়ে ফেলেন। তিনিই ইংল্যান্ডের প্রথম ব্যাটার, যিনি ওয়ান ডে বিশ্বকাপের ম্যাচে ব্যাটিং অর্ডারের ৮ নম্বরে বা তারও নীচে ব্যাট করে হাফ-সেঞ্চুরি করেন। এর আগে ইংল্যান্ডের আর কোনও ক্রিকেটার ওয়ান ডে বিশ্বকাপের মঞ্চে লোয়ার অর্ডারে (ব্যাটিং অর্ডারের ৮ নম্বরে বা তারও নীচে) ব্যাট করে ৫০ রানের গণ্ডি টপকাতে পারেননি।
এর আগে চলতি বিশ্বকাপেই ওয়াংখেড়েতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ১০ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৪৩ রান করেন মার্ক উড। এতদিন সেটিই ছিল বিশ্বকাপের মঞ্চে লোয়ার অর্ডারে কোনও ব্রিটিশ তারকার সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস। বুধবার পুণেতে নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে ৮ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৫টি চার ও ১টি ছক্কার সাহায্যে ৪৫ বলে ৫১ রান করে আউট হন ওকস। সুতরাং, এবার থেকে সেই রেকর্ড লেখা থাকবে ওকসের নামে।