বিশ্বকাপের জন্য সেজে উঠেছে ভারতের স্টেডিয়ামগুলি। তা স্টেডিয়ামগুলির হসপিটালিটি বক্স সংস্কার হোক বা ড্রেসিংরুম। সেইসব কিছুর পাশাপাশি পিচ এবং আউটফিল্ডেও পরিবর্তন এনেছে তারা। সেজে উঠেছে নতুন মোরকে। বাদ নেই দিল্লির অরুণ জেটলি স্টেডিয়ামও। বিশ্বকাপের জন্য নতুন করে সেজে উঠেছে। সংস্কারের কাজও শেষ হয়ে গিয়েছে। এখন শুধু মাঠে বল গড়ানোর অপেক্ষা।
বিশ্বকাপের জন্য চারটি নতুন পিচ গড়েছে তারা। এছাড়াও বার্মুডা ঘাসের আউট ফিল্ড তৈরি করেছে ডিডিসিএ। যাতে বৃষ্টি হলে দ্রুত জল সরে যায় তার জন্য নিকাশি ব্যবস্থারও জোরদার করা হয়েছে। বিশ্বকাপে যাতে কোনও রকম সমস্যা না হয় তার জন্য পুরোপুরি ভাবে প্রস্তুত ডিডিসিএ। বিশ্বকাপের জন্য অরুণ জেটলি স্টেডিয়াম কতটা প্রস্তুত এবার সেই নিয়ে মুখ খুললেন ডিডিসিএ সভাপতি রোহন জেটলি। টাইমস অফ ইন্ডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি জানিয়েছেন, 'মাঠের আউটফিল্ড এবং পিচের অনেক উন্নতি করা হয়েছে। গত কয়েক মাস ধরে কাজ চলেছে। যাতে বিশ্বকাপে কোনও রকম সমস্যা না হয়। ক্রিকেটাররা ভালো ভাবে খেলতে পারে। বার্মুডা ঘাস বসানো হয়েছে। এছাড়াও জল নিকাশি ব্যবস্থা আরও উন্নত করা হয়েছে। এছাড়াও ইংল্যান্ড থেকে আমরা গ্রাউন্ডস কভার কিনে এনেছি। যাতে বৃষ্টি আসলে পুরো মাঠ ঢেকে ফেলা সম্ভব হয়।'
দিল্লির পিচ নিয়ে অনেক সময়ই ক্রিকেটাররা অভিযোগ করে থাকেন। যাতে সেই রকম কোনও সমস্যার মধ্যে পড়তে না হয়, সেই জন্য বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে ডিডিসিএ। আমরা মাঝ মাঠে নতুন আরও ৪টি পিচ তৈরি করেছি। যাতে কোনও দলই অভিযোগ করতে না পারে। এছাড়াও অনুশীলনের জন্য আলাদা পিচ করা হয়েছে। আমরা পুরোপুরি ভাবে প্রস্তুত বিশ্বকাপ ম্যাচ আয়োজন করতে।'
আইসিসি প্রথমেই বিসিসিআইকে জানিয়ে দেয়, সমর্থকদের খেলা দেখতে যাতে কোনও রকম সমস্যা না হয়। সেই জন্য স্টেডিয়ামগুলির সংস্কারের জন্য আর্থিক প্যাকেজ ঘোষণা করে বিসিসিআই। যেসব স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপের ম্যাচ হবে, সেখানকার রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাকে সেই অর্থ দেওয়া হয়। ডিডিসিএও বাদ যায়নি। ঢেলে সাজানো হয়েছে। রোহন জেটলি বলেন, 'সমর্থকদের কথা মাথায় রেখে আমরা অনেক সংস্কার করেছি। যাতে সমর্থকরা নতুন অভিজ্ঞতার সাক্ষী থাকতে পারে। নতুন অত্যাধুনিক সরঞ্জাম দিয়ে শৌচালয় তৈরি করা হয়েছে। এছাড়া পানীয় জলের কোনও রকম অভাব না হয় তার জন্য প্রত্যেকটি কোনায় ওয়াটার ডিস্পেনসার বসানো হয়েছে। এছাড়াও ড্রেসিংরুমে অত্যাধুনিকতার ছোয়া রয়েছে।'