ফের খালি হাতে ফিরতে হল ভারতকে। অজিদের কাছে হারতে হল রোহিত শর্মাদের। বিশ্বকাপ ফাইনালের নায়ক ট্র্যাভিস হেড। দল যখন বিপর্যয়ের মুখে, তিনি একটা দিক একাই ধরে থাকেন এবং ভারতের পেস ও স্পিন বোলিংকে লাগাতার আক্রমণ করতে থাকেন। যদিও তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দেন অস্ট্রেলিয়ার মিডিল অর্ডার ব্যাটার মার্নাস ল্যাবুশান। এই দুর্দান্ত ইনিংসের সুবাদে ম্যাচ জয়ের পাশাপাশি একটি রেকর্ডও গড়ে ফেললেন ট্র্যাভিস। রবিবার ১২০ বলে ১৩৭ রানের মারকুটে ইনিংসের সাহায্যে তিনি ভেঙে দিলেন প্রাক্তন ওয়েস্ট ইন্ডিজ তারকা ভিভিয়ান রিচার্ডসের রেকর্ড।
সেমিফাইনাল ও ফাইনাল মিলিয়ে হেডের মোট সংগ্ৰহ ১৯৯ রান। এর সুবাদে তিনি বিশ্বকাপ টুর্নামেন্ট সেমিফাইনাল ও ফাইনালে মোট সর্বোচ্চ রানের তালিকায় শীর্ষস্থানে পৌঁছে গেলেন। হেডের পর তালিকার দ্বিতীয় স্থানে ভিভিয়ান রিচার্ডস। প্রাক্তন ওয়েস্ট ইন্ডিজ তারকার মোট সংগ্রহ ১৮০। পাশাপাশি, তিনি প্রথম ক্রিকেটার হলেন যার ব্যাট থেকে একাধিক শতরান এসেছে আইসিসি টুর্নামেন্টের ফাইনালগুলিতে।
রবিবার আমদাবাদে ২৪১ রানের লক্ষ্যমাত্রা তাড়া করতে নেমে দ্রুত তিনটি উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া ওয়ার্নার, মার্শ ও স্মিথের রূপে। এরপর মার্নাস ল্যাবুশানকে নিয়ে ১৯২ রানের একটি বড় পার্টনারশিপ গড়েন হেড। তিনি যখন প্যাভিলিয়নে ফিরে যান তখন কাপ জেতা থেকে মাত্র দুটি রান দূরে ছিল অস্ট্রেলিয়া। অবশেষে গ্লেন ম্যাক্সওয়েল নেমে সেই রানটি করে দেন। ম্যাচের সেরা হন তিনি। অন্যদিকে ১১০ বলে ৫৮ রানে অপরাজিত থাকেন ল্যাবুশান।
উল্লেখ্য, এদিন টসে জিতে টিম ইন্ডিয়াকে প্রথমে ব্যাট করতে পাঠায় অস্ট্রেলিয়া। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৪০ রানে অলআউট হয়ে যায় তারা। অর্ধশতরান করেন কেএল রাহুল (৬৬) এবং বিরাট কোহলি (৫৪)। অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের মধ্যে তিনটি উইকেট পান মিচেল স্টার্ক, দুটি করে উইকেট পান হেজেলউড ও প্যাট কামিন্স এবং একটি করে উইকেট পান গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ও অ্যাডাম জাম্পা। জবাবে রান তাড়া করতে নেমে দ্রুত ৩টি উইকেট হারালেও ৪৩ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় অস্ট্রেলিয়া। শতরান করেন ওপেনার ট্র্যাভিস হেড এবং অর্ধশতরান আসে মার্নাস ল্যাবুশানের ব্যাট থেকে। ভারতীয় বোলারদের মধ্যে দুটি উইকেট পান জসপ্রীত বুমরাহ এবং একটি করে উইকেট পান মহম্মদ শামি ও মহম্মদ সিরাজ। ম্যাচের সেরা হন ট্র্যাভিস হেড এবং টুর্নামেন্টের সেরা হন বিরাট কোহলি।