১২ বছর পর ফের বিশ্বকাপ ফাইনালে ভারত। শেষবার ২০১১ সালে বিশ্বকাপের ফাইনালে জায়গা করে নেয় টিম ইন্ডিয়া। সেবারও ভারতের মাটিতেই ওডিআই বিশ্বকাপের আসর বসে। এরপর আর ভারতকে ফাইনালে দেখা যায়নি। সেমি ফাইনালে জায়গা করে নিলেও সেখানে হেরে বিদায় নিতে হয়েছে। খেতাবের কাছে পৌঁছে গিয়েও ফিরে আসতে হয়েছে। এবার রোহিত শর্মাদের কাছে ফের বিশ্ব সেরা হওয়ার সুযোগ রয়েছে।
২০১৩ চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয়ের পর আর কোনও আইসিসি টুর্নামেন্ট জিততে পারেনি ভারত। ফাইনালে গিয়েও হারতে হয়েছে। প্রতিপক্ষ সেই নিউজিল্যান্ডই। ২০১৯ সেমিতে কিউয়িদের কাছে হেরে বিশ্বকাপ থেকে বিদায়। পাশাপাশি ২০২১ বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালেও কেন উইলিয়ামসনের দলের বিরুদ্ধে হারতে হয়। আইসিসি ট্রফির খরা অব্যাহত রেখেছে টিম ইন্ডিয়া। এবার সেই খরা রোহিত শর্মারা কাটাতে পারে কিনা সেটাই এখন দেখার।
তবে সেমি ফাইনালে মুম্বইয়ের ২২ গজ নিয়ে যতোই বিতর্ক থাকুক না কেন, সেই সব বিতর্ককে পিছনে ফেলে দিয়েছেন বিরাট কোহলি এবং মহম্মদ শামি। একজন ব্যাট হাতে শতরান করে সচিন তেন্ডুলকরের সামনেই ভেঙেছেন রেকর্ড। ওডিআই ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি সেঞ্চুরির মালিক তিনি। পাশাপাশি বল হাতে ম্যাচ ঘুরিয়ে দিয়েছেন মহম্মদ শামি। তাঁর ৭ উইকেটে ভর করে ম্য়াচ জিতে নেয় টিম ইন্ডিয়া।
তবে গত চার বিশ্বকাপ সেমি ফাইনালে ম্যাচের ফলাফল ঘাটলে দেখা যাবে, ভারত যতবার প্রথমে ব্যাট করেছে ততবার ম্যাচ জিতেছে। ২০১১ বিশ্বকাপের সেমিতে ভারত প্রথমে ব্যাট করতে নামে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে। মোহালিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৯ উইকেট হারিয়ে ২৬০ রান তোলে। পাকিস্তান সেই রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ২৩১ রানে গুটিয়ে যায়।
২০১৫ বিশ্বকাপেও সেমিতে জায়গা করে নেয় টিম ইন্ডিয়া। সেই ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে অস্ট্রেলিয়া ৭ উইকেট হারিয়ে ৩২৮ রান তোলে। সিডনিতে ভারত রান তাড়া করতে নেমে মাত্র ২৩৩ রানে অলআউট হয়ে গিয়ে বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নেয়। ২০১৯ বিশ্বকাপেও একই অবস্থা হয়। সেবার ম্যাঞ্চেস্টারে নিউজিল্যান্ড প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৩৯ রান তোলে। কিন্তু ভারত মাত্র ২২১ রানে অলআউট হয়ে যায়। ১৮ রানে হেরে বিদায় নেয় টিম ইন্ডিয়া। সেটিই ছিল মহেন্দ্র সিং ধোনির টিম ইন্ডিয়ার জার্সি গায়ে শেষ ম্যাচ।
এবারও সেই নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলতে নামে টিম ইন্ডিয়া। প্রথমে ব্যাট করে ভারত। রোহিতদের দেওয়া ৩৯৮ রানের টার্গেট নিয়ে ব্যাট করতে নামলে মাত্র ৩২৭ রানেই শেষ হয়ে যায় কিউয়িরা। ১২ বছর পর ফাইনালে ভারত। তবে এই পরিসংখ্যান বলে দিচ্ছে, সেমিতে ভারত প্রথমে ব্যাট করতে নামলেই জয়ের মুখ দেখে।