দেশের মাটিতেই একরাশ হতাশা জুটলো টিম ইন্ডিয়ার কপালে। গোটা টুর্নামেন্ট জুড়ে ভালো খেলেও, শেষ পর্যন্ত দেশবাসীর স্বপ্নপূরণ করতে পারলেন না রোহিত শর্মা। একটি নয়, দুটি নয়, একেবারে ৬টি উইকেটে ম্যাচ পকেটে তুলে নেয় প্যাট কামিন্সরা। সৌজন্যে ট্র্যাভিস হেডের মারকুটে ব্যাটিং এবং মার্নাস ল্যাবুশানের ধৈর্যশীল সঙ্গ। এছাড়াও বল হাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন মিচেল স্টার্ক এবং জোশ হেজেলউড। সব মিলিয়ে একটি নিখুঁত 'টিম গেম' দেখা গিয়েছে অস্ট্রেলিয়ার থেকে। ম্যাচ শেষে দুই দলের ক্রিকেটার একে অপরের সঙ্গে হাত মেলালেও, অজি পিঞ্চ হিটার গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে একটি বিশেষ উপহার দিয়েছেন টিম ইন্ডিয়ার চেজ মাস্টার বিরাট কোহলি। নিজের 'রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরের' (আরসিবি) সতীর্থকে নিজের জার্সি উপহার দিলেন বিরাট।
প্রসঙ্গত, রবিবার আমদাবাদে ফাইনালে মুখোমুখি হয় দুই দল। প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে ২৪০ রান তোলে টিম ইন্ডিয়া। বিরাট কোহলি ও কেএল রাহুল ছাড়া কারোর ব্যাট থেকেই আসেনি অর্ধশতরান, তবে ৩১ বলে ৪৭ রানের একটি দ্রুত গতির ইনিংস খেলে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান রোহিত শর্মা। তারপর থেকেই স্টার্ক, হ্যাজেলউড ও কামিন্সরা রান আটকানোর পাশাপাশি সময়মতো উইকেটও তুলে নেয়।
অন্যদিকে, ব্যাট করতে নেমে প্রথমদিকে চাপে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। দ্রুত প্যাভিলিয়নে ফিরে যান ওয়ার্নার, মার্শ ও স্মিথ। এরপর মিডিল অর্ডার ব্যাটার মার্নাস ল্যাবুশানকে নিয়ে একটি বড় পার্টনারশিপ গড়েন ওপেনার ট্র্যাভিস হেড, যার জেরে সহজেই ফিনিশ লাইন পার করে নেয় অস্ট্রেলিয়া। হেড করেন ১২০ বলে ১৩৭ এবং ল্যাবুশান ১১০ বলে ৫৮। ম্যাচের সেরা ঘোষণা করা হয় হেডকে এবং টুর্নামেন্টের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার পান বিরাট কোহলি।
উল্লেখ্য, বিরাট কোহলি এবং গ্লেন ম্যাক্সওয়েল দুজনেই খেলেন আরসিরিব হয়ে আইপিএলয়ে। এই বিশ্বকাপে বিরাটের মোট সংগ্রহ ১১ ম্যাচে ৭৬৫ রান, যার মধ্যে রয়েছে ছটি অর্ধশতরান এবং তিনটি শতরান। এই প্রতিযোগিতায় বিরাটের সর্বোচ্চ স্কোর ১১৭, নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে। এছাড়াও, 'মাস্টার ব্লাস্টার' সচিন তেন্ডুলকরের রেকর্ডও ভাঙেন তিনি। সচিনের একদিনের ক্রিকেটে শতরানের সংখ্যা ছাপিয়ে যান কোহলি। তাও আবার সচিন গড়ে অন্যদিকে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে নজর কারা ইনিংস খেলেছেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েল। রান তাড়া করে, ব্যক্তিগত ২০০ রান করার প্রথম ব্যাটার হয়েছেন তিনি।