ফের ২০০৩ সালের পুনরাবৃত্তি ঘটল। টিম বদলেছে, পরিস্থিতি বদলেছে। বদলাাল না শুধু ফলটুকু। ২০ বছর আগের বদলা নেওয়া হল না রোহিতদের। বরং তাদের যন্ত্রণা আরও বাড়ল। ১০ বছর ধরে আইসিসি ট্রফি জয়ের খরা কাটল না। ১২ বছর পর বিশ্বকাপেও জয়ের স্বপ্নও ভেঙে চুরমার হল ১৪০ কোটির দেশের। আমদাবাদে নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ভারত হেরেই গেল। দশে ১০ করে ফাইনালে উঠলেও, আসল ১১ নম্বর ম্যাচটিতেই পা হড়কাল রোহিত বাহিনী। এবারের বিশ্বকাপে একটি মাত্র ম্যাচে হারল ভারত। আর সেটা ফাইনাল। এর চেয়ে বড় যন্ত্রণা ভারতের কাছে আর কী হতে পারে। ভারত তো এদিন চ্যাম্পিয়ন হওয়ার মতো খেলেওনি। ভারতের গায়ের চোকার্স তকমাটা যেন এবার আরও গভীর হল।
চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া…..
দুরন্ত জয় ছিনিয়ে নিল অস্ট্রেলিয়া। রেকর্ড ষষ্ঠ বার চ্যাম্পিয়ন হল প্য়াট কামিন্সরা। এদিন ম্যাচ জেতার মতোই খেলেছে অস্ট্রেলিয়া। বলে, ব্যাটে, ফিল্ডিংয়ে দুরন্ত পারফরম্যান্স অস্ট্রেলিয়ার। ভারতের মধ্যে বরং সেই আগ্রাসী মনোভাব ছিল না। তাদের গাছাড়া বলে মনে হয়েছে। ব্যাটিংয়ে ব্যর্থ, বোলিংয়ে ব্যর্থ, সঙ্গে ফিল্ডিংয়েও। অজিদের জেতার খিদেটা তাদের বডিল্যাঙ্গোয়েজে ছিল। ভারতের মধ্যে কিন্তু সেটা দেখা যায়নি। এতে যা ঘটার তাই ঘটল। ৪৩ ওভারের শেষ বলে ম্যাক্সওয়েল এসে বাকি ২ রান নেন। চ্যাম্পিয়ন হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। ১১০ বলে ৫৮ করে অপরাজিত থাকেন ল্যাবুশেন। ৪২ বল বাকি থাকতে ৬ উইকেটে ম্যাচ জিতে নেয় অস্ট্রেলিয়া।
আউউউউটটটট.. অজিদের শিরোপা এনে দিয়ে আউট হেড
১৩৭ করে অবশেষে আউট হলেন ট্র্যাভিস হেড। কিন্তু ততক্ষণে ম্যাচ পকেটে পুড়ে ফেলেছে অস্ট্রেলিয়া। দলের ১৩৯ রানের মাথায় আউট হলেন হেড। সিরাজের বলে শুভমনকে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরলেন তিনি। তবে ততক্ষণে অজি ড্রেসিংরুমে শুরু হয়ে গিয়েছিল সেলিব্রেশন। সকলেই তখন উচ্ছ্বাসে ভাসছে। পরিবর্তে ক্রিজে এলেন ম্যাক্সওয়েল।
হাফসেঞ্চুরি ল্যাবুশেনের
চার হাঁকিয়ে হাফসেঞ্চুরি করে ফেললেন ল্যাবুশেন। তিনটি চারে হাত ধরে ৯৯ বলে ৫৩ করে ফেললেন তিনি। ১১৪ বলে ১২৮ রান হেডের। ৪০ ওভারে অজিরা করে ফেললেন ৩ উইকেটে ২২৫ রান।
২০০ পার অজিদের, ২০০৩ সালেরই পুনরাবৃত্তি ঘটতে চলেছে
৩৭তম ওভারে ২০০ পার করে গেল অস্ট্রেলিয়া। ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২০৪ রান। হেড-ল্যাবুশেন মিলিয়ে ২০০৩ সালেরই পুনরাবৃত্তি ঘটাতে চলেছে। যে বার বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল অজিরা। রোহিতদের বদলা এখন বিশ বাও জলে। হেডের সংগ্রহ ১০৭ বলে ১১৭ রান। ৮৮ বলে ৪৩ রান ল্যাবুশেনের। অজিজের জেতার অপেক্ষা।
হেডের সেঞ্চুরি, ভারতের হাত থেকে বের করে নিলেন ম্যাচ
ট্র্যাভিস হেডের শতরান হয়ে গেল। ১৪টি চার, একটি ছক্কার হাত ধরে ৯৫ বলে হেড শতরান পূরণ করেন। সেই সঙ্গে তিনি ভারতের হাত থেকেও ম্যাচ করে নিলেন। এদিকে ৮২ বলে ৪১ রান করে হেডকে সঙ্গত করছেন ল্যাবুশেন। ৩৪ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ১৮৫ রান অস্ট্রেলিয়ার।
কোহলির নজির
পন্টিংকে কী ভাবে টপকে গেলেন কোহলি? জানতে হলে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে: https://bangla.hindustantimes.com/pictures/ind-vs-aus-final-virat-kohli-surpasses-ricky-ponting-becomes-2nd-highest-run-getter-in-odi-world-cup-history-31700391907888.html
৩২ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ১৭২/৩
৩২ ওভার শেষ। অজিদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৭২ রান। হারের ভ্রুকুটি ভারতের সামনে। ৮৮ বলে ৮৮ ট্র্যাভিস হেডের। ৭৭ বলে ৪০ রান ল্যাবুশেনের।
কপিলের অভিমান
কীসে অভিমান হল কপিলের? জানতে হলে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে: https://bangla.hindustantimes.com/cricket/world-cup/ind-vs-aus-former-india-captain-kapil-dev-reveals-he-wasnt-invited-for-world-cup-2023-final-31700388328557.html
১৫০ পার করে গেল অস্ট্রেলিয়া
২৮তম ওভারে ১৫০ পার করে গেল অস্ট্রেলিয়া। ওভারের প্রথম বলে চার মেরে ৫০ পার করে যায় অস্ট্রেলিয়া। এই ওভারে আরও দু'টি চার হয়। বুমরাহের এই ওভার থেকে এল ১৪ রান। ওভার শেষে অজিদের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৬২ রান। হেড করেছেন ৭৯ বলে ৮৪ রান। ল্যাবুশেনের সংগ্রহ ৬২ বলে ৩৪ রান।
২৬ ওভারে অজিদের সংগ্রহ ১৪৪/৩
২৬ ওভার শেষ। অজিরা ৩ উইকেটে ১৪৪ করে ফেলল। ৭২ বলে ৬৯ করে ফেললেন হেড। ৫৭ বলে ৩২ রান ল্যাবুশেনের।
শক্ত ভিত গড়ে ফেলল হেড-ল্যাবুশেন জুটি
শক্ত ভিত গড়ে ফেলল হেড-ল্যাবুশেন জুটি। ২৩ ওভার শেষে ৩ উইকেটে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ১২২ রান। ৭৫ রানের জুটি গড়ে ফেললেন হেড-ল্যাবুশেন। ৬৩ বলে ৫৪ রান হেডের। ৪৮ বলে ২৫ রান ল্যাবুশেনের।
১০০ পার অস্ট্রেলিয়ার
২০ ওভারে ১০০ পার করে গেল অস্ট্রেলিয়া। ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ১০৪ রান অজিদের। ৫৪ বলে ৪৪ রান হেডের। ৩৯ বলে ১৭ ল্যাবুশেনের।
১৭ ওভারে একশোর কাছাকাছি অস্ট্রেলিয়া
১৭ ওভার শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে ৯৩ রান অস্ট্রেলিয়ার। ৪৭ বলে ৪০ রান হেডের। ২৮ বলে ১০ ল্যাবুশেনের।
১৫ ওভারে অজিদের সংগ্রহ ৭৮/৩
১৫ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ৭৮ করে ফেলল অস্ট্রেলিয়া। চাপ বাড়ছে ভারতের। ৩৮ বলে ২৭ রান হেডের। ল্যাবুশেন করেছেন ২৫ বলে ৮ রান।
কোহলিকে সচিনের উপহার
কোহলিকে মূল্যবান উপহার দিলেন সচিন, জানেন কী? জানতে হলে ক্লিক করুন এই লিঙ্কে: https://bangla.hindustantimes.com/pictures/sachin-tendulkar-gifts-his-2011-world-cup-winning-jersey-to-virat-kohli-ahead-of-ind-vs-aus-wc-2023-final-31700385428451.html
১০ ওভারে ভারতের সংগ্র ৬০/৩
১০ ওভারে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৬০ রান। রানরেট কিন্তু খুবই ভালো অজিদের। এই ওভারেই শামিকে পিটিয়ে ৯ রান নিয়েছে। ২৬ বলে ১৯ রান হেডের। ল্যাবুশেন ৭ বল খেলেও রানের খাতা খুলতে পারেননি।
আউউউটটট… বড় ধাক্কা খেল অজিরা, স্মিথকে ফেরালেন বুমরাহ
স্টিভ স্মিথকে ফেরালেন বুমরাহ। নিঃসন্দেহে এটি একটি বড় উইকেট ছিল। ৯ বলে ৪ রান করে এলবিডব্লিউ হলেন স্মিথ। ৭ ওভারে তিন উইকেট হারাল অস্ট্রেলিয়া। তাদের সংগ্রহ ৪৭ রান। পরিবর্তে ক্রিজে এলেন নতুন ব্যাটার মার্নাস ল্যাবুশেন। ১৫ বলে ১০ করে লড়াই চালাচ্ছেন হেড।
আউউউটটট… মার্শকে ফেরালেন বুমরাহ
মার্শ পেটাতে শুরু করেছিলেন। সেই সময়েই তাঁকে থামিয়ে দিলেন বুমরাহ। ১টি ছয়, ১টি চারের হাত ধরে ১৫ বলে ১৫ করে কট বিহাইন্ড হন মিচেল মার্শ। পরিবর্তে ক্রিজে এলেন স্টিভ স্মিথ। ৫ ওভার শেষে ২ উইকেটে ৪১ রান অস্ট্রেলিয়ার। ৯ বলে ৮ রান ট্র্যাভিস হেডের। স্মিথ ৩ বল খেললেও রানের খাতা খোলেননি।
১ উইকেট হারিয়েও ঝোড়ো অজিরা
এক উইকেট হারানোর পর অস্ট্রেলিয়া কিন্তু ঝোড়ো মেজাজেই রয়েছে। চতুর্থ ওভার থেকে এল ১২ রান। ৪ ওভার শেষে ১ উইকেটে ৪১ রান ভারতের। ১২ বলে ১৫ রান মার্শের। ৯ বলে ৮ রান হেডের।
আউউউউটটটট… ভারতকে অক্সিজেন দিলেন শামি
দ্বিতীয় ওভারেই সাফল্য পেল ভারত। ওয়ার্নারকে ফেরালেন শামি। ৩ বলে ৭ করে কোহলির হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরলেন ওয়ার্নার। পরিবর্তে ক্রিজে এলেন মিচেল মার্শ। ২ ওভার শেষে ১ উইকেটে ২৮ রান অস্ট্রেলিয়ার। ৬ বলে ৮ রান হেডের। ৩ বলে ৫ রান মার্শের।
হতাশার ফিল্ডিং, প্রথম ওভারে এল ১৫ রান
হতাশাজনক ফিল্ডিং ভারতের। অস্ট্রেলিয়া যতটা ভালো ফিল্ডিং করেছে, প্রথম ওভারে ততটাই খারাপ ফিল্ডিং ভারতের। এই ওভার থেকে এল ১৫ রান। অজি ইনিংসের প্রথম বলেই ব্যাটের কানায় লাগিয়ে ক্যাচ তুলেছিলেন ওয়ার্নার। তবে ক্যাচটি ওঠে প্রথম (কোহলি) এবং দ্বিতীয় স্লিপের (গিল) মাঝে। কিন্তু কেউ ক্যাচটি ধরা দূরের কথা। বলটিই ধরেনি। চার হয়ে যায় প্রথম বলেই। ২ বলে ৭ রান ওয়ার্নারের। ৪ বলে ৮ রান হেডের।
রান তাড়া করা শুরু
অস্ট্রেলিয়ার রান তাড়া করা শুরু। ট্র্যাভিস হেড এবং ডেভিড ওয়ার্নার ওপেন করতে নেমেছেন। ভারতের হয়ে প্রথম ওভার বল করতে এসেছেন জসপ্রীত বুমরাহ।
চলতি বিশ্বকাপে প্রথম বার অলআউট হল ভারত, হল ২৪০ রান
৫০তম ওভারে এল ৮ রান। শেষ পর্যন্ত ২৪০ করল ভারত। তবে শেষ বলে রানআউট হয়ে গেলেন কুলদীপ যাদব। ২ রান নিতে গিয়ে রানআউট হলেন কুলদীপ। এই প্রথম বার চলতি বিশ্বকাপে অলআউট হয়ে গেল টিম ইন্ডিয়া। ১৮ বলে ১০ করে রানআউট হন কুলদীপ। ৮ বলে ৯ করে অপরাজিত থাকেন সিরাজ। যাইহোক অজিদের সামনে লক্ষ্য খুব কঠিন নয়। ২৪১ করতে হবে তাদের। ভারত কি এই রান ডিফেন্ড করতে পারবে? পারবে ২০ বছর আগে বদলা নিতে?
আউউউউটটটট… সূর্যও পারলেন না, ১৮ করে ফিরলেন সাজঘরে
২৫০ রান তো দূরের কথা, ভারত পুরো ৫০ ওভার খেলতে পারবে তো? সূর্যকুমার যাদবের উইকেট পড়ার পর উঠে গিয়েছে প্রশ্ন। ৪৭.৩ ওভারে হেজেলউডের বলে কট বিহাইন্ড হন সূর্য। একটি চারের হাত ধরে ২৮ বলে ১৮ করে আউট হন সূর্য। নবম উইকেট হারাল ভারত। পরিবর্তে ক্রিজে এলেন নতুন ব্যাটার সিরাজ। ৪৮ ওভার শেষে টিম ইন্ডিয়ার সংগ্রহ ৯ উইকেটে ২২৭ রান। কুলদীপের সংগ্রহ ১৩ বলে ৯ রান। ১ বলে ১ করেছেন সিরাজ।
উপপপসসস… অষ্টম উইকেট হারাল ভারত, আউট বুমরাহ
৮ উইকেট হারিয়ে বসে থাকল ভারত। সাজঘরে ফিরলেন বুমরাহ। জাম্পার ডেলিভারিতে মাত্র ১ রান করে (৩ বলে) এলবিডব্লিউ হলেন বুমরাহ। পরিবর্তে ক্রিজে এলেন কুলদীপ। ভারত পুরো ৫০ ওভার আদৌ খেলতে পারবে তো। ৪৫ ওভার শেষে ৮ উইকেটে ২১৫ রান ভারতের। ২৩ বলে ১৪ রান সূর্যের। কুলদীপ করেছেন ১ বলে ১ রান।
আআউউউটটট… শামিকে ফেরালেন স্টার্ক
মহম্মদ শামিকে সাজঘরে ফেরালেন স্টার্ক। কট বিহাইন্ড হলেন তারকা পেসার। ফাইনালে ভারতের ব্যাটিং অর্ডার একেবারে ল্যাজেগোবরে হয়েছে। যাইহোক সপ্তম উইকেট হারিয়ে ভারতের চাপ এখন আকাশছোঁয়া। ১০ বলে ৬ রান করে সাজঘরে ফিরলেন শামি। পরিবর্তে ক্রিজে এসেল বুমরাহ। ৪৪ ওভার শেষে ভারতের স্কোর ৭ উইকেটে ২১৩ রান। সূর্যের সংগ্রহ ২০ বলে ১৩ রান। ১ বলে ১ রান বুমরাহের।
আআউউউটটট… রাহুলও ফিরলেন সাজঘরে, কপালে দুঃখ আছে ভারতের
রাহুলও ফিরে গেলেন সাজঘরে। স্টার্কের বলে খোঁচা মেরে ইংলিসকে ক্যাচ দিলেন কেএল। ১০৭ বলে ৬৬ করে ফিরলেন তিনি। তাঁর ইনিংসে রয়েছে মাত্র ১টি চার। রাহুলের পরিবর্তে ক্রিজে এলেন শামি। ৪২ ওভার শেষে ৬ উইকেটে ২০৭ রান ভারতের। ১৬ বলে ১০ রান সূর্যের। ৩ বলে চার রান শামির।
২০০ করল ভারত
৪১ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২০০ করে ফেলল ভারত। ১০৬ বলে ৬৬ করে লড়াই চালাচ্ছেন রাহুল। ১৪ বলে ৯ রান সূর্যকুমারের।
উপপপপসসস… সাজঘরে ফিরলেন জাদেজা
ফাইনালে ভারতকে চাপে ফেলে দিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ২০০ রানও হয়নি। ৫ উইকেট হারিয়ে বসে থাকল তারা। ৩৫.৫ ওভারে আউট হয়ে গেলেন জাদেজা। হেজেলউডের আগের বলেই অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচেছিলেন। কিন্তু এর পর শেষ রক্ষা হল না। হেজেলউডের বলে সেই খোঁচা মেরে ইংলিস ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরলেন জাদেজা। ২২ বলে ৯ রানের হতাশাজনক স্কোর করে আউট হলেন জাড্ডু। পঞ্চম উইকেট হারিয়ে মারাত্মক চাপে পড়ল ভারত। পরিবর্তে ক্রিজে এলেন সূর্যকুমার যাদব। ৩৬ ওভার শেষে ভারতের স্কোর ৫ উইকেটে ১৭৮ রান। রাহুল করেছেন ৮৯ বলে ৫৫ রান। সূর্য ১ বল খেললেও আপাতত রানের খাতা খোলেননি।
হাফসেঞ্চুরি রাহুলের
কোহলির পর হাফসেঞ্চুরি করে ফেললেন কেএল রাহুল। ৮৬ বলে ৫০ পূরণ করলেন রাহুল। তাঁর এই ইনিংসে রয়েছে মাত্র ১টি চার। দুই ব্যাটার আপাতত হাফসেঞ্চুরি করলেও, খুব ধীরগতিতে রান হচ্ছে ভারতের। ৩৫ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে হয়েছে ১৭৩ রান করেছে টিম ইন্ডিয়া। ২০ বলে ৯ রান জাদেজার।
৩৩ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ ১৬৯/৪
৪৩ ওভার শেষে ভারত করে ফেলেছে ৪ উইকেটে ১৬৫ রান। ৮০ বলে ৪৭ রান রাহুলের। ১৪ বলে ৬ রান জাদেজার।
১৫০ পার ভারতের
৩০ ওভারে ১৫০ পার করল ভারত। ওভার শেষে চার উইকেট হারিয়ে ১৫২ রান টিম ইন্ডিয়ার। ৭১ বলে ৩৯ রান রাহুলের। ৫ বলে ১ রান জাদেজার।
আউউউউউটটটটট… বোল্ড কোহলি
বোল্ড হয়ে গেলেন কোহলি। কামিন্সের বল বুঝে উঠতেই পারেননি। ৬৩ বলে ৫৪ করে সাজঘরে ফিরলেন বিরাট। চতুর্থ উইকেট হারিয়ে বিশাল চাপে পড় ভারত। টেনশন শুরু ১৪০ কোটির দেশে। কোহলির পরিবর্তে ক্রিজে এলেন নতুন ব্যাটার রবীন্দ্র জাদেজা। ২৯ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ ৪ উইকেটে ১৪৯ রান। রাহুল করেছেন ৬৭ বলে ৩৭ রান। জাদেজা ৩ বল খেললেও রানের খাতা আপাতত খোলেননি।
১০-এর পর ফের ২৭তম ওভারে এল বাউন্ডারি
১০-এর পর ফের ২৭তম ওভারে এল বাউন্ডারি। মাঝে ১৪ ওভার কোনও চারের দেখা ছিল না। ২৬.২ ওভারে ম্যাক্সওয়েলকে চার মারেন রাহুল। ২৭ ওভার শেষে ৩ উইকেটে ১৪২ রান ভারতের। ৫৮ বলে ৫১ রান কোহলির। রাহুলের সংগ্রহ ৬৩ বলে ৩৪ রান।
হাফসেঞ্চুরি বিরাটের
হাফসেঞ্চুরি হয়ে গেল কোহলির। চারটি চারের হাত ধরে ৫৬ বলে ৫০ পূরণ করেন কোহলি। ২৬ ওভার শেষে ভারতের স্কোর ৩ উইকেটে ১৩৫ রান। ৫৭ বলে ৫০ রান কোহলির। ৫৮ বলে ২৮ রান রাহুলের।
২৫ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ১৩১/৩
২৫ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১৩১ রান। হাফসেঞ্চুরির পথে কোহলি। ৫৫ বলে ৪৯ রান করে ফেলেছেন বিরাট। ৫৪ বলে ২৫ রান রাহুল।
২৩ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ১২৫/৩
ভারত বড় শট খেলছেই না। শেষ ১৩ ওভারে কোনও বাউন্ডারি হয়নি। ২৩ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১২৫ রান। ৪৮ বলে ৪৫ করেছে কোহলি। ৪৯ বলে ২৩ রান রাহুলের।
শেষ ১০ ওভারে কোনও বাউন্ডারি নেই, ২০ ওভারে ভারতের সংগ্রহ ১১৫/৩
ভারতের রানের গতি একেবারে কমে গিয়েছে। শেষ দশ ওভারে কোনও বাউন্ডারি হয়নি। ২০ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১১৫ রান। ৪২ বলে ৩৯ রান কোহলির। ৩৭ বলে ১৯ রান রাহুলের।
১০০ পার ভারতের
১৬তম ওভারে ১০০ পারল করল ভারত। ওভার শেষে টিম ইন্ডিয়ার সংগ্রহ ৩ উইকেট হারিয়ে ১০১ রান। ৩৩ বলে ৩৪ রান কোহলির। রাহুল করেছেন ২২ বলে ১০ রান।
১৫ ভারতের সংগ্রহ ৯৭/১
১৫ ওভারে হল না ১০০। ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৯৭। ৩১ বলে ৩২ রান কোহলির। রাহুল করেছেন ১৮ বলে ৮ রান।
রানের গতি কমল, ১৩ ওভারে ভারতের স্কোর ৮৯/৩
১৩ ওভার শেষে ভারতের স্কোর ৩ উইকেট হারিয়ে ৮৯ রান। শুরুতে তিন উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে গিয়েছে ভারত। যে কারণে রানের গতিও কমেছে। বিরাট কোহলি করেছেন ২৫ বলে ২৭ রান। ১২ বলে ৫ রান রাহুলের।
উপপসসস… ফের আউউউটটট- সাজঘরে ফিরলেন শ্রেয়স
২ উইকেট পড়ে যাওয়ায় শ্রেয়সের থেকে এই ম্যাচে বড় প্রত্যাশা ছিল। কিন্তু তিনিও নিরাশ করলেন। ৩ বলে মাত্র ৪ করেই সাজঘরে ফিরলেন শ্রেয়স। কামিন্সের বলে খোঁচা মেরে ইংলিসকে ক্যাচ দিলেন শ্রেয়স। বিশাল বড় ধাক্কা খেল ভারত। ১১ ওভার শেষে ভারতের স্কোর ৩ উইকেটে ৮২ রান। পরিবর্তে ক্রিজে এসেছেন নতুন ব্যাটার কেএল রাহুল। ২২ বলে ২৪ রান কোহলির। ৩ বলে ১ রান রাহুলের।
ফের তিন রানের জন্য হাফসেঞ্চুরি মিস রোহিতের
ফের ৩ রানের জন্য হাফসেঞ্চুরি মিস করলেন রোহিত। দশম ওবারে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় বলে যথাক্রমে ছয় এবং চার হাঁকিয়েছিলেন রোহিত। চতুর্থ বলেও বড় শট খেলার লক্ষ্য ছিল। কিন্তু ব্যাটে-বলে হয়নি টাইমিং ভুল ছিল। অফ সাইডে ক্যাচ ওঠে। ট্র্যাভিস হেড পিছনের দিকে দৌড়ে গিয়ে ডাইভ দিয়ে ক্যাচটি ধরেন। নিঃসন্দেহে এটি দুরন্ত ক্যাচ ছিল। রোহিতের ক্যাচ কোনও ভাবেই মিস করেননি তিনি। এমনিতেই অস্ট্রেলিয়া খুব ভালো ফিল্ডিং করছে। চারটি চার, তিন ছয়ের হাত ধরে ৩১ বলে ৪৭ করে আউট হলেন রোহিত। রোহিতের পরিবর্তে ক্রিজে এলেন শ্রেয়স আইয়ার। ১০ ওভার শেষে ভারতের স্কোর ২ উইকেটে ৮০ রান। কোহলি করেছেন ২০ বলে ২৩ রান। শ্রেয়সের সংগ্রহ ৪ বলে ৪ রান।
চারের হ্যাটট্রিক কোহলির, ৫০ পার ভারতের
সপ্তম ওভারেই ৫০ পার করে গেল ভারত। মিচেল স্টার্ককে প্রথম তিন বলেই পরপর তিনটি চার মেরে ভারতের স্কোর ৫০ পার করিয়ে দিলেন বিরাট। এই ওভার থেকে এল মোট ১৪ রান। ৭ ওভার শেষে ভারতের স্কোর ১ উইকেটে ৫৪ রান। কোহলি করেছেন ১৩ বলে ১৬ রান। রোহিতের সংগ্রহ ২২ বলে ৩৩ রান
আউউউউউটটটট… প্রথম ধাক্কা খেল ভারত, আউট শুভমন
ফাইনালে নিরাশ করলেন শুভমন গিল। ৭ বলে মাত্র ৪ রান করে ফিরে গেলেন সাজঘরে। পঞ্চম ওভারেই ভারত প্রথম ধাক্কাটা খেল। শুভমনের পরিবর্তে ক্রিজে এলেন নতুন ব্যাটার বিরাট কোহলি। ৫ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ ১ উইকেটে ৩৭ রান। রোহিত ২০ বলে ৩১ রান করে ফেলেছেন। কোহলির সংগ্রহ ৩ বলে ১ রান।
চতুর্থ ওভারে এল ১২ রান
চতুর্থ ওভারে এল ১২ রান। রোহিত এই ওভারে একটি চার এবং একটি ছয় হাঁকিয়েছেন হেজেলউডকে। ৪ ওভার শেষে বিনা উইকেটে ৩০ রান ভারতের। রোহিত করেছেন ১৯ বলে ২৫ রান। ৫ বলে ৪ রান শুভমনের।
দ্বিতীয় ওভারে এল ১০ রান
অস্ট্রেলিয়া ভারতীয় ইনিংসের শুরু থেকেই দুরন্ত ফিল্ডিং করছে। তারা ফিল্ডিং করেই ইতিমধ্যে বেশ কিছু নিশ্চিত রান বাঁচিয়েছে। এর মাঝেই দ্বিতীয় ওভারে রোহিত ১০ রান নিয়েছেন। হেজেলউডকে এই ওভারে ২টি চার হাঁকিয়েছেন রোহিত। ২ ওভার শেষে ভারতের সংগ্রহ ১৩ রান। রোহিত ১২ বল খেলে ১৩ করেছেন। শুভমন এখনও কোনও বল খেলেননি।
প্রথম ওভারে হল মাত্র ৩ রান
শুরুতেই কোনও তাড়াহুড়ো নয়। বরং ধীরেসুস্থেই প্রথম ওভার খেললেন রোহিত শর্মা। নিলেন মাত্র ৩ রান। ১ ওভার শেষে উইকেট না পড়লেও, বড় রান নয়, হল মাত্র ৩। ৬ বল খেলে ৩ করেন রোহিত। লিগ পর্বে অজিদের বিরুদ্ধে শূন্যতে ফিরেছিলেন। সম্ভবত সেই কারণে প্রথম ওভারে কিছুটা সাবধানী ভারত অধিনায়ক। শুভমন এখনও কোনও বল খেলেননি।
খেলা শুরু
খেলা শুরুর দামামা বেজে গেল। ব্যাট করতে নেমে পড়েছে ভারতের দুই ওপেনার রোহিত শর্মা এবং শুভমন গিল। প্রথম ওভারে বল করতে তৈরি অস্ট্রেলিয়ার মিচেল স্টার্ক।
জাতীয় সঙ্গী দুই দলের
জাতীয় সঙ্গী হচ্ছে দুই দলের। এবার শুরু হবে মহারণ। ২০ বছর আগের বদলা নিতে পারবে তো ভারত? ১৪০ কোটির সব স্বপ্ন, সব আশা এখন রোহিতদের ঘিরে।
টসও হারল ভারত, মিলে যাচ্ছে উলট পুরাণের সব হিসাব
টসও হারলেন রোহিত। উলট পুরাণের সব হিসাব মিলে যাচ্ছে। ২০০৩ সালে বিশ্বকাপ ফাইনাল ভারত-পাকিস্তান মুখোমুখি হয়েছিল। সেবার ১০টি ম্যাচে অপরাজিত থেকে বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল অস্ট্রেলিয়া। তারাও শিরোপাও জিতেছিল। ২০ বছর পর ছবিটা একেবারে বিপরীত। চলতি বিশ্বকাপে ১০টি ম্যাচে অপরাজিত থেকে ফাইনালে উঠেছে ভারত। মজার বিষয় হল, ২০০৩ সালের বিশ্বকাপের লিগ পর্বে ভারতকে হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। দুই দশক পর এবার ঘটেছে ঠিক উল্টোটা। এবার লিগ পর্বে অজিদের হারিয়েছে ভারত। ২০০৩ সালে আটটি ম্যাচে জিতে বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল ভারত। আর এবার অজিরা আটটি ম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠেছে। এমন কী ফাইনালে অজিরা টস হেরেছিল। এবার ভারত টসে হারল। এ যেন অনেকটা ‘উল্টে দেখ, পাল্টে গেছি’র মতো বিষয়।
অস্ট্রেলিয়ার একাদশ
ট্র্যাভিস হেড, ডেভিড ওয়ার্নার, মিচেল মার্শ, স্টিভ স্মিথ, মার্নাস ল্যাবুশেন, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, জোশ ইংলিস (উইকেটরক্ষক), মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স (অধিনায়ক),অ্যাডাম জাম্পা, জোশ হেজেলউড।
ভারতের একাদশ
রোহিত শর্মা (অধিনায়ক), শুভমন গিল, বিরাট কোহলি, শ্রেয়স আইয়ার, কেএল রাহুল (উইকেটরক্ষক), সূর্যকুমার যাদব, রবীন্দ্র জাদেজা, মহম্মদ শামি, জসপ্রীত বুমরাহ, কুলদীপ যাদব, মহম্মদ সিরাজ।
টস জিতল অস্ট্রেলিয়া
অজি অধিনায়ক প্যাট কামিন্স টস জিতে প্রথমে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তিনি শিশিরের কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। রোহিত অবশ্য জানিয়েছেন, টস জিতলে তিনি ব্যাটিংই নিতেন। অর্থাৎ টস হারার পরেও স্ট্র্যাটেজি কিন্তু ভারতের একই থেকে গেল। ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া দুই দলই অপরিবর্তিত টিম নিয়ে খেলতে নামবে।
আমদাবাদের পিচে স্পিনাররা সুবিধা পাবেন? অশ্বিন দলে ঢুকবেন?
টসের আগে পিচ প্রদক্ষিণ করে রবি শাস্ত্রী এবং হরভজন সিং দাবি করেছেন, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের পিচে খেলা হলেও, এখন এর প্রকৃতি পুরো বদলে গিয়েছে। জল কম দেওয়া হয়েছে। রোলিং কম করা হয়েছে। রুক্ষ্ম পিচ। স্লো পিচ। যত ম্যাচ গড়াবে, তত পিচ থেকে সুবিধা নেবেন স্পিনাররা। এই পিচে প্রথমে যে দল ব্যাট করবে, তারা কিছুটা স্বস্তি পাবে। এখানে ২৭০-২৮০ রানই চ্যালেঞ্জিং টার্গেট হবে। ভারত কি তাই তিন স্পিনারে খেলবে? সিরাজের পরিবর্তে কি অশ্বিন দলে ঢুকবেন?
আইসিসি ট্রফির খরা কাটানোর চ্যালেঞ্জ ভারতের
মহেন্দ্র সিং ধোনির নেতৃত্বে ২০১১ ওডিআই বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ভারত। তার পর ২০১৩ সালে ধোনির আমলেই আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শিরোপা জিতেছিল তারা। কিন্তু এর পর থেকেই শুধুই খরা। আইসিসি-র কোনও টুর্নামেন্টেরই ট্রফি ঢোকেনি ভারতীয় শিবিরেষ এবার বড় সুযোগ রয়েছে সেই খরা কাটানোর। পারবেন রোহিতরা সেই খরা কাটাতে?
ভারতীয় দল পৌঁছে গিয়েছে স্টেডিয়ামে
ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া দুই দলই ইতিমধ্যে স্টেডিয়ামে পৌঁছে গিয়েছে। এখন শুধু মহারণের অপেক্ষা।
২০ বছর পর সবটাই উলটপুরাণ
রবিবার গুজরাটের আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনালে ফের মুখোমুখি ভারত এবং অস্ট্রেলিয়া। ২০ বছর পর আবার একই ঘটনার সমাপতন। তবে দুই দশকের ব্যবধানে আগাগোড়া বদলে গিয়েছে দুই দল, হয়েছে হাওয়াবদলও। ২০০৩ সালে ১০টি ম্যাচে অপরাজিত থেকে বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল অস্ট্রেলিয়া। ২০ বছর পর ছবিটা একেবারে বিপরীত। চলতি বিশ্বকাপে ১০টি ম্যাচে অপরাজিত থেকে ফাইনালে উঠেছে ভারত। মজার বিষয় হল, ২০০৩ সালের বিশ্বকাপের লিগ পর্বে ভারতকে হারিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। দুই দশক পর এবার ঘটেছে ঠিক উল্টোটা। এবার লিগ পর্বে অজিদের হারিয়েছে ভারত। ২০০৩ সালে আটটি ম্যাচে জিতে বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেছিল ভারত। আর এবার অজিরা আটটি ম্যাচ জিতে ফাইনালে উঠেছে। এবার কি আসল অঙ্কটাও বদলে যাবে। অজিরা নয়, ভারতের হাতে উঠবে ট্রফি?
বৃষ্টিতে ভেসে যাবে ম্যাচ?
রবিবার আমেদাবাদে খেলা শুরুর সময় ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা থাকবে। সঙ্গে আকাশ পরিষ্কার থাকবে। দক্ষিণ এবং দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৭ কিলোমিটার বেগে বাতাস বয়ে যাবে এবং আর্দ্রতা মোটামুটি ৩৯ শতাংশ থাকবে। বাতাসের গতিবেগ থাকবে ঘণ্টায় ১৯ কিলোমিটার এবং শিশির বিন্দু থাকবে ১৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। খেলা চলাকালীন কোনও মেঘ থাকবে না, যেখানে বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা শূন্য শতাংশ, ফলে খেলার প্রথমার্ধে নিরবচ্ছিন্ন ভাবে প্রশস্ত হবে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সন্ধ্যার পর তাপমাত্রা ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমে আসবে এবং বাতাসের গতিবেগ দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে প্রবাহিত হবে। আর্দ্রতা উল্লেখযোগ্য ভাবে বৃদ্ধি পেয়ে ৫৮% হবে এবং শিশির বিন্দু প্রায় একই রকম হবে ১৭ ডিগ্রিতে। রবিবারের বৃষ্টির কোনও সম্ভাবনা নেই।
আমদাবাদের পিচ
ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ভারতের সেমিফাইনাল ম্যাচের আগে পিচ বদলানো নিয়ে বিতর্ক হয়েছিল। যদিও হাই স্কোরিং জমজমাট দ্বৈরথে মুখ বন্ধ হয়েছিল নিন্দুকদের। আমদাবাদেও ভারতীয় উইকেট নিয়ে রয়েছে জল্পনা। ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মা এবং অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স অবশ্য উইকেট নিয়ে খুশি। এই পিচেই ভারত-পাকিস্তান ম্যাচটি হয়েছিল। তবে ফাইনালের উইকেটে সামান্য ঘাস রয়েছে। কিন্তু ম্যাচটি লো স্কোরিং হবে না বলেই দাবি করেছেন কিউরেটররা। বোলিং শক্তিও যা রয়েছে, তাতে ব্যাটে-বলে হাড্ডাহাড্ডি দ্বৈরথেরই সম্ভাবনাই রয়েছে। বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই। তাপমাত্রা ৩০ ডিগ্রির নীচেই থাকবে দুপুরে। শিশির যাতে ফ্যাক্টর না হয় সেজন্য ঘাসে রাসায়নিকও ছড়ানো হচ্ছে। ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ হয়েছিল শুষ্ক উইকেটে। ফাইনালের উইকেটে ইতিমধ্যেই হেভি রোলার চলেছে। জলও দেওয়া হয়েছে।
আমদাবাদে রান তাড়া করেই এসেছে বেশি সাফল্য
নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে এখনও পর্যন্ত চারটি ম্যাচ হয়েছে। তার মধ্যে তিনটি ম্যাচে এই টুর্নামেন্টে জয় পেয়েছে সেই দল, যারা রান তাড়া করেছে। একমাত্র ব্যতিক্রমী ঘটনা ঘটেছে ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচে। অস্ট্রেলিয়া ২৮৭ রানের লক্ষ্য দিয়েছিল ব্রিটিশদের। রান তাড়া করতে নেমে ইংল্যান্ডের ইনিংস শেষ হয়ে গিয়েছিল ২৫৩ রান। ৩৩ রানে জয় পেয়েছিল অস্ট্রেলিয়া।
দুই দলের দ্বৈরথের পরিসংখ্যানে পিছিয়ে ভারত
ওডিআই বিশ্বকাপে ভারত-অস্ট্রেলিয়া মোট ১৩ বার মুখোমুখি হয়েছে। ভারত জিতেছে ৫ বার। ৮ বার জিতেছে অস্ট্রেলিয়া। একদিনের ম্যাচে দুই দল মোট ১৫০ বার মুখোমুখি হয়েছে। ৫৭টিতে জিতেছে টিম ইন্ডিয়া। অস্ট্রেলিয়া জিতেছে ৮৩টিতে। পরিসংখ্যানে কিন্তু এগিয়ে রয়েছে অস্ট্রেলিয়াই।
অজিদের আঁতে ঘা
পাঁচ বারের চ্যাম্পিয়ন অস্ট্রেলিয়া, যাদের শুরুটা হয়েছিল দু'টি হার দিয়ে, তারা এখন অষ্টম ফাইনালের অপেক্ষায়। টানা আট ম্যাচ জিতে অজিরা ফাইনালে উঠেছে। লিগ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে হারতে হয়েছিল অস্ট্রেলিয়াকে। যেটা নিঃসন্দেহে তাদের আঁতে ঘা লেগেছে। এবার সেই বদলা নিয়ে ষষ্ঠবার শিরোপা জিততে চাইবে অজিরা।
বদলার আগুনে জ্বলছে ভারত
২০০৩ বিশ্বকাপ ফাইনালে উঠেছিল ভারত। সেবার সৌরভ গঙ্গেপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিশ্ব জয়ের স্বপ্ন দেখেছিল গোটা দেশ। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার কাছে ফাইনালে হেরেই সেই স্বপ্ন ভঙ্গ হয়েছিল টিম ইন্ডিয়ার। সেই জ্বালাটা এখনও রয়ে গিয়েছে পুরোদমে। এবার ভারত দশে ১০ করে ফাইনালে উঠেছে। তারা চলতি বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত অপরাজিত। অজিদের হারিয়ে বদলা নেওয়ার পাশাপাশি তৃতীয় বার শিরোপা জয়ের আশায় টিম ইন্ডিয়া।