বুধবার মুম্বইয়ের আইকনিক ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে বহুল প্রত্যাশিত বিশ্বকাপ সেমিফাইনালের জন্য ফুটছে ভারত। তারা বদলার আগুনে জ্বলছে। ২০১৯ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে কিউয়িদের কাছে হেরে ছিটকে যাওয়ার ক্ষতটা যে এখনও দগদগ করছে। তবে এই হাইভোল্টেজ ম্যাচের আগে ভারতের তারকা বাঁ-হাতি স্পিনার কুলদীপ যাদব ওয়াংখেড়েতে বোলারদের সামনে যে চ্যালেঞ্জগুলি আসতে পারে, তার উপর আলোকপাত করেছেন। কুলদীপ দাবি করেছেন, কিউয়িদের উপর নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখতে হলে, প্রথম দিকে উইকেট তুলে নেওয়ার তাৎপর্যের উপর জোর দিয়েছেন।
নেদারল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতের একপেশে ১৬০ রানের জয়ের হাত ধরে, গ্রুপ পর্বে নয়ে নয় করেছে ভারত। কুলদীপ ব্যাখ্যা করেছেন, ‘এটি বোলিংয়ের ক্ষেত্রে কিন্তু কঠিন ভেন্যু। বাউন্স রয়েছে ঠিকই, ব্যাটসম্যানরাই মূলত সেখানে আধিপত্য বিস্তার করে। টি-টোয়েন্টির বিষয়টি আলাদা, কিন্তু ওডিআই-এ বোলারদের খেলায় ফিরে আসার জন্য প্রচুর সময় থাকে। তবে হ্যাঁ, প্রতিপক্ষের উপর চাপ তৈরি করতে শুরুর দিকে কয়েকটি উইকেট প্রয়োজন।’
এবারের সেমিফাইনালেও ২০১৯ সালের ম্যাচের রিপ্লেই দেখতে পাওয়া যাবে। যে ম্যাচে নিউজিল্যান্ড ১৮ রানে ভারতকে হারিয়েছিল। কুলদীপ অবশ্য অতীতের রেকর্ডের তাৎপর্যকে খুব বেশি গুরুত্ব দেননি, ‘২০১৯ সালের সেমিফাইনাল (নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে) চার বছর আগে ছিল। এর পর আমরা অনেক দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলেছি, তাই আমরা কন্ডিশন (ভারতে) জানি এবং ওরা কী করতে পারে, তাও জানি। আমাদের প্রস্তুতি ভালো হয়েছে, এবং আমরা পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে ভালো ক্রিকেট খেলেছি। তাই, আমরা পরের ম্যাচেও একই ধারা অব্যাহত রাখার প্রত্যাশা করছি।’
কুলদীপ ভারতের স্পিন বিভাগে বড় ভরসার নাম। নয় ম্যাচে ৪.১৫-এর প্রভাবশালী ইকোনমি রেট সহ ১৪টি উইকেট নিয়ে ফেলেছেন কুলদীপ। নকআউট ম্যাচের চাপ থাকলেও, তিনি উইকেট নিয়ে বাড়তি না ভেবে, নিজের শক্তি এবং প্রক্রিয়ার উপর ফোকাস করার গুরুত্বের বিষয়ে জোর দিয়েছেন।
তিনি যোগ করেছেন, ‘আমি শুধু আমার ছন্দ এবং শক্তির উপর কাজ করি। এবং ব্যাটসম্যানরা কী ভাবে আমাকে খেলার চেষ্টা করছে, তার উপর ফোকাস করি। আমার লক্ষ্য যতটা সম্ভব গুড লেন্থে বল করা। আমি উইকেটের চেয়ে প্রক্রিয়ার উপর ফোকাস রাখি। আশা করি, এটা পরের ম্যাচেও কাজ করবে।’ নেদারল্যান্ডসকে ১৬০ রানে হারিয়ে ভারত নয়ে নয় করে ফেলেছে। এখন কি টিম ইন্ডিয়া পারবে অপরাজিত থেকে বিশ্বকাপ চ্য়াম্পিয়ন হতে?