যথার্থ টিমম্যান কাকে বলে, মহম্মদ শামির কথা শুনলে স্পষ্ট ধারণা তৈরি হয়। ভালো খেলেও কম্বিনেশনের স্বার্থে বাদ পড়তে হলে যে কোনও ক্রিকেটারের রাগ হওয়া স্বাভাবিক। তবে মহম্মদ শামি অন্য ধাতুতে গড়া। তাঁর দাবি, দল যখন ভালো খেলে, রিজার্ভ বেঞ্চে বসে সতীর্থদের জন্য গলা ফাটাতে বিন্দুমাত্র খারাপ লাগে না।
বিশ্বকাপের আগে মহম্মদ শামি যে দুরন্ত ফর্মে রয়েছেন, সেটা বোঝা যায় অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে তাঁর পারফর্ম্যান্স দেখে। মোহালিতে সিরিজের প্রথম ম্যাচেই ৫ উইকেট দখল করেন তিনি। তবে কম্বিনেশনের স্বার্থেই বিশ্বকাপের প্রথম চার ম্যাচে ভারতের প্রথম একাদশে জায়গদা হয়নি তাঁর। টিম ম্যানেজমেন্ট শামিকে বসিয়ে রেখে মাঠে নামায় শার্দুলকে, তাঁর ব্যাটের হাত মন্দ নয় বলে।
অবশেষে হার্দিক পান্ডিয়া চোট পেতে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভারতের প্রথম একাদশের দরজা খোলে শামির সামনে। প্রথম সুযোগেই তিনি ৫ উইকেটে নিয়ে বুঝিয়ে দেন যে, এর পরে তাঁকে বেঞ্চে বসিয়ে রাখা নিতান্ত সহজ হবে না কোচ-ক্যাপ্টেনের পক্ষে।
রবিবার ধরমশালায় ১০ ওভার বল করে ৫৪ রানের বিনিময়ে ৫টি উইকেট দখল করেন শামি। এমন অনবদ্য পারফর্ম্যান্সের জন্যই ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার নির্বাচিত হন তিনি। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে রিজার্ভ বেঞ্চে বসে থাকা নিয়ে শামি বলেন, ‘যখন আপনি বেশ কিছুদিন বাইরে থাকার পরে প্রথম একাদশে ফিরে আসেন, তখন শুরুতেই আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়াটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে প্রথম ম্যাচটাই আত্মবিশ্বাস ফেরাতে সাহায্য করল।'
শামি আরও বলেন, 'দল যখন ভালো খেলে, মাঠের বাইরে বসে সুযোগের অপেক্ষায় থাকা এমন কিছু কঠিন নয়। কেননা ওরা সবাই আপনার সতীর্থ। সতীর্থরা যদি ভালো খেলে, তাদের সমর্থন করা উচিত। যদি দলের স্বার্থে বসে থাকতে হয়, আমার কোনও অসুবিধা নেই।’
আরও পড়ুন:- IND vs NZ: 'সবে মাত্র অর্ধেক কাজ সারা', টানা ৫টি জয়েও বাস্তবের মাটিতে পা রোহিতের
উল্লেখ্য, রবিবার ধরমশালায় নিউজিল্যান্ডকে বিশ্বকাপ ২০২৩-এর ম্যাচে ১২ বল বাকি থাকতে ৪ উইকেটে পরাজিত করে ভারত। টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে নিউজিল্যান্ড। তারা নির্ধারিত ৫০ ওভারে ২৭৩ রান তুলে অল-আউট হয়ে যায়। ৯টি চার ও ৫টি ছক্কার সাহায্যে ১২৭ বলে ১৩০ রান করে ডারিল মিচেল। পালটা ব্যাট করতে নেমে ভারত ৪৮ ওভারে ৬ উইকেটর বিনিময়ে ২৭৪ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। বিরাট কোহলি ৮টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ১০৪ বলে ৯৫ রান করে মাঠ ছাড়েন।