যাঁরা দু'জন সব থেকে বেশি রান করলেন, পাকিস্তানের হারের জন্য তাঁদেরকেই দায়ি করলেন হার্দিক পান্ডিয়া। শনিবার আমদাবাদের নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে বিশ্বকাপ ২০২৩-এর মহারণে কার্যত একতরফাভাবে জয় তুলে নেয় টিম ইন্ডিয়া। ম্যাচের শেষে নিজেদের জয়ের কারণ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে টিম ইন্ডিয়ার তারকা অল-রাউন্ডার কার্যত কাঠগড়ায় তোলেন বাবর আজম ও মহম্মদ রিজওয়ানকে।
ব্রডকাস্টারদের আলোচনায় হার্দিক বলেন, ‘ওদের দু’জন ব্যাটসম্যানের কেউই ঝুঁকি নেয়নি। দু'জনেই একই রকম ধীরে-সুস্থে ব্যাট করছিল। আমি মনে করি যে, ওয়ান ডে ক্রিকেটে দু'জন ব্যাটসম্যানকে একই ছন্দে ব্যাট করলে চলবে না। কেননা যে কোনও মুহূর্তে এজন আউট হলেই চাপে পড়ে যাবে দল। পরপর উইকেট হারাতে হতে পারে তখন।'
হার্দিক আরও বলেন, ‘ওরা দু’জন আমাদের সুবিধা করে দেয়। আমরা অনায়াসে ডট বল করে, সিঙ্গলে আটকে রেখে চাপ বাড়াতে পারি। তাছাড়া ওদের কেউ ব্যাট চালাচ্ছিল না বলেই আমারা নিজেদের পছন্দ মতো বোলিং পরিবর্তন করতে পেরেছি। যখন যাকে মনে হয়েছে, তাকে দিয়ে বল করাতে পেরেছি। কেউ মার খাচ্ছে বলে বাধ্য হয়ে বোলিং পরিবর্তন করতে হয়নি। ম্যাচটা ওই সময়েই আমরা নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নিই।'
পান্ডিয়াকে সমর্থন করে গৌতম গম্ভীর বলেন, ‘ওয়ান ডে ক্রিকেটে পার্টনারশিপ গড়ার ক্ষেত্রে কোনও একজন ব্যাটসম্যানকে ব্যাট চালাতেই হবে। বাবর নিজের রানটুকু করেছে মাত্র। অতগুলো বল খেলার পরে যেভাবে আউট হয় বাবর, তা মেনে নেওয়া যায় না। নিতান্ত খারাপ শট খেলে আউট হয়েছে ও।’
হার্দিক অবশ্য নিজেদের বোলিংকেও কৃতিত্ব দিতে ভোলেননি। বিশেষ করে বুমরাহকে নিয়ে পান্ডিয় দাবি করেন যে, জসপ্রীত শুধু নিজে ভালো বল করেছেন এমন নয়। বরং তাঁদের পথ দেখিয়েছেন এমন পিচে কোন লেনথে বল রাখা উচিত। পান্ডিয়া স্পষ্ট জানান যে, পিচে পেসারদের জন্য বিশেষ কিছু ছিল না। এমনকি দিল্লির পিচের থেকেও আমদাবাদের পিচকে স্লো বলে উল্লেখ করেন তিনি।
উল্লেখ্য, শনিবার আমদাবাদে শুরুতে ব্যাট করে পাকিস্তান ৪২.৫ ওভারে ১৯১ রানে অল-আউট হয়ে যায়। বাবর আজম ৫০ ও মহম্মদ রিজওয়ান ৪৯ রান করেন। ২টি করে উইকেট নেন জসপ্রীত বুমরাহ, মহম্মদ সিরাজ, হার্দিক পান্ডিয়া, কুলদীপ যাদব ও রবীন্দ্র জাদেজা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ভারত ৩০.৩ ওভারে ৩ উইকেটের বিনিময়ে ১৯২ রান তুলে ম্যাচ জিতে যায়। ১১৭ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটে ম্যাচ জেতে টিম ইন্ডিয়া। রোহিত শর্মা ৮৬ ও শ্রেয়স আইয়ার অপরাজিত ৫৩ রান করেন। ২টি উইকেট নেন শাহিন আফ্রিদি।