শেষ মুহূর্তে বিশ্বকাপের দলে বদল আনতেই হল অস্ট্রেলিয়াকে। চোটের কারণে ছিটকে গেলেন অ্যাস্টন অ্যাগার। পরিবর্তে দলে ঢুকলেন মার্নাস ল্যাবুশেন। তবে ল্যাবুশেন সাম্প্রতিক যে রকম ছন্দে রয়েছেন, তাতে তাঁকে ছাড়া বিশ্বকাপে নামাটা অস্ট্রেলিয়ার জন্য অস্বস্তিরই হত। তাদের কাছে বিষয়টি সহজ হয়ে গেল অ্যাগারের চোটের কারণে। কারণ ল্যাবুশেনকে নিতে হলে, একজনকে বাদ দিতে হত। আর সেই কাজটা সহজ করে দিলেন অ্যাগার। বাঁ-হাতি স্পিনার চোটের কারণে ছিটকে যাওয়ায়, তাঁর জায়গায় বিশ্বকাপ দলে নেওয়া হয়েছে ল্যাবুশেনকে।
বিশ্বকাপের চূড়ান্ত দল ঘোষণার শেষ দিনেই অর্থাৎ বৃহস্পতিবার পরিবর্তিত টিম ঘোষণা করেছে পাঁচ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা। এদিকে চোটের কারণে অনিশ্চিত ট্রেভিস হেডকে দলে রেখে দেওয়া হয়েছে। টুর্নামেন্টে মাঝামাঝি পর্যায়ে এই বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান সেরে উঠবেন বলে আশা করা হচ্ছে। দলের সঙ্গেই রাখা হবে হেডকে।
দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়ে পায়ের পেছনের হাড়ে চোট পেয়েছিলেন অ্যাগার। দলের সঙ্গে ভারতের বিপক্ষে সিরিজের জন্যও তিনি আসেননি। নিজের শেষ ওয়ানডেতে তিনি ৪০ রান দিয়ে ১ উইকেট নেওয়ার পর, ব্যাটিংয়ে অষ্টম উইকেটে ল্যাবুশেনের সঙ্গে গড়েছিলেন ১১২ রানের অপরাজিত জুটি। সেই ম্যাচে ১১৩ রানে ৭ উইকেট হারানোর পরেও ল্যাবুশেনের ৮০ এবং অ্যাগারের ৪৮ রানের ইনিংসের হাত ধরে জয় ছিনিয়ে নিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া। সেই ল্যাবুশেনকে এবার জায়গা দিলেন অ্যাগার। তাও চোটের কারণে।
বিশ্বকাপের প্রাথমিক দলে সুযোগ না পাওয়া ল্যাবুশেন ওয়ানডে দলে জায়গা পান স্টিভ স্মিথের চোটের কারণে। আর দলে ফেরার পর থেকে ৮ ম্যাচে ৬০ গড়ে ৪২১ রান করেছেন তিনি, ব্যাটিং করেছেন ৯৭.৭ স্ট্রাইক রেটে। তাই তাঁকে বাদ দেওয়ার কোনও জায়গাই ছিল না অজি নির্বাচকদের সামনে।
আরও পড়ুন: বিশ্বকাপ থেকে ছিটকেই গেলেন অক্ষর, পরিবর্ত হিসাবে দলে অশ্বিন
এদিকে অ্যাগার ছিটকে যাওয়ায়, অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপ দলে থাকছেন মাত্র একজন বিশেষজ্ঞ স্পিনার- অ্যাডাম জাম্পা। অবশ্য ভারতের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে দলে ফিরেই ৪ উইকেট নেওয়া গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ভরসা দিচ্ছেন অস্ট্রেলিয়াকে। এছাড়াও বিশ্বকাপের প্রস্তুতি ম্যাচগুলো পর্যন্ত অন্তত দলের সঙ্গে থাকবেন অলরাউন্ডার ম্যাট শর্ট এবং লেগস্পিনার তানভির সাঙ্ঘা।
অ্যাগারের সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার দুশ্চিন্তার কারণ ছিল হেডকে নিয়েও। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজে বাঁ হাতে আঘাত পেয়েছিলেন তিনি। পরে স্ক্যানে হাড়ে চিড় ধরা পড়ে। শেষ পর্যন্ত অবশ্য অস্ত্রোপচার করতে হয়নি। তবে পুরো সেরে উঠতে তাঁর অন্তত আরও চার সপ্তাহ লাগবে। ফলে বিশ্বকাপের প্রথম অর্ধে কার্যত ১৪ জনের দল নিয়ে খেলবে অস্ট্রেলিয়া।
৩০ সেপ্টেম্বর নেদারল্যান্ডস এবং ৩ অক্টোবর পাকিস্তানের বিপক্ষে দু'টি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে অস্ট্রেলিয়া। ৮ অক্টোবর চেন্নাইয়ে ভারতের বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করবে অজিরা।
অস্ট্রেলিয়ার বিশ্বকাপের চূড়ান্ত টিম: প্যাট কামিন্স (অধিনায়ক), শন অ্যাবট, অ্যালেক্স ক্যারি, ক্যামেরন গ্রিন, জশ হ্যাজেলউড, ট্রেভিস হেড, জোশ ইংলিস, মার্নাস ল্যাবুশেন, মিচেল মার্শ, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, স্টিভ স্মিথ, মিচেল স্টার্ক, মার্কাস স্টোইনিস, ডেভিড ওয়ার্নার এবং অ্যাডাম জাম্পা।