শুভব্রত মুখার্জি:- ৪ নভেম্বর অর্থাৎ শনিবার বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তান এবং নিউজ়িল্যান্ড দল। দুই দলের কাছে এই ম্যাচ ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিউজিল্যান্ড জিতলেই তাদের সেমিফাইনালে যাওয়া কার্যত নিশ্চিত ছিল। আর অন্যদিকে পাকিস্তান হারা মানেই তাদের বিশ্বকাপ থেকে বিদায় ছিল নিশ্চিত। এদিন টস জিতে নিউজিল্যান্ডকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানায় পাকিস্তান। তাদের শুরুটা হয়েছিল খুবই ভালো ভাবে। রাচিন রবীন্দ্রর শতরান এবং কেন উইলিয়ামসনের ৯৫ রানে ভর করে এদিন ৪০১ রান করে কিউয়িরা। কিন্তু এর পরেও এদিন ডাক ওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে শেষ পর্যন্ত অসাধারণ জয় নিশ্চিত করেছে পাকিস্তান দল। আর এই হারের ফলেই এক লজ্জার নজিরের তালিকায় নাম লিখিয়েছে নিউজিল্যান্ড দল।
ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে এক ইনিংসে চারশোর বেশি রান করে ম্যাচ হারের লজ্জার তালিকায় নাম নথিভুক্ত করল কিউয়িরা। এই তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ২০০৬ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা তাদের বিরুদ্ধে রেকর্ড রান তাড়া করে জয়ের নজির গড়েছিল। সেদিন ৪ উইকেটে ৪৩৪ রান করেও হেরে গিয়েছিল অস্ট্রেলিয়া দল। তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে ভারত বনাম শ্রীলঙ্কা ম্যাচ। ২০০৯ সালে এই ম্যাচে ৮ উইকেটে ৪১১ রান করেও হেরে গিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে আজকের নিউজিল্যান্ড বনাম পাকিস্তান ম্যাচ। ম্যাচে ৪০১ রান করেও ডাক ওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ২১ রানে পাকিস্তানের কাছে হেরে যায় নিউজিল্যান্ড দল।
এদিন বেঙ্গালুরুতে ম্যাচ তিন বার বৃষ্টিতে বিঘ্নিত হয়। প্রথম বার কোন ওভার কাটা হয়নি। দ্বিতীয় বার নয় ওভার কমানো হয়। আর তৃতীয় বারের পর খেলা শুরু করা সম্ভব হয়নি একেবারেই। ফলে ডাক ওয়ার্থ লুইস পদ্ধতিতে ম্যাচ জিতে নিয়ে সেমিফাইনালের আশা বাঁচিয়ে রাখল পাকিস্তান দল। এদিন প্রথমে ব্যাট করে ৪০১ রান করে নিউজিল্যান্ড। রাচিন রবীন্দ্র ১০৮ এবং কেন উইলিয়ামসন ৯৫ রান করেন। এছাড়াও গ্লেন ফিলিপস ৪১, ডারিল মিচেল ২৯, মার্ক চ্যাপম্যান ৩৯ এবং মিচেল স্যান্টনার ২৬ রান করেন। জবাবে বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে রান তাড়া করতে নেমে ২৫.৩ ওভারে ১ উইকেটে ২০০ রান করে পাকিস্তান। ফখর জামান ১২৬ রানে এবং বাবর আজম ৬৬ রানে অপরাজিত থেকে দলের জয় নিশ্চিত করেন।