একজন পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে খেলার ভাবনায় ডুবে থাকা অতি স্বাভাবিক বিষয় রোহিতের। তার উপর জাতীয় দলের হয়ে মাঠে নামলে মাথা থেকে ক্রিকেটের ভাবনা দূরে সরিয়ে রাখা সম্ভব নয়। আর অপনি যদি ভারতীয় দলের ক্যাপ্টেন হয়ে থাকেন, তাহলে ম্যাচের আগের রাতে ঠিকমতো ঘুমনোই দুষ্কর।
নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে আগে রোহিত হদিশ দিলেন, সাময়িকভাবে ক্রিকেটের ভাবনা দূরে রাখতে কীভাবে সাহায্য করে তাঁর পরিবার। হিটম্যান জানান যে, টিম হোটেলে তাঁর সঙ্গে স্ত্রী-সন্তানও থাকেন। তাই ম্যাচের আগে ক্রিকেট ছাড়া অন্যন্য বিষয়ে ভাবনা-চিন্তা করা ও অন্যান্য বিষয়ে আলোচনা করার অবকাশ থাকে তাঁর কাছে।
রোহিত বলেন, ‘বড় ম্যাচের আগে কী হবে, কেমন খেলব, এই সব নিয়ে ভাবনা চিন্তা ঘোরাফেরা করে মাথার মধ্যে। এই জন্যই পরিবারের সঙ্গে থাকি। পরিবারের সঙ্গে থাকলে এদিকে-ওদিকে মনোসংযোগ চলে যায়, যেটা ভালো বিষয়।’
হিটম্যান আরও বলেন, ‘যখন আমি হোটেলের রুমে চলে যাই, ক্রিকেট থেকে সম্পূর্ণ দূরে থাকি। আমরা অন্যন্য অনেক বিষয় নিয়ে আলোচনা করি। এটা সত্যিই ভালো বিষয়। ক্রিকেট নিয়ে আপনি অনেক ভাবেন। তবে যখন আপনার কাছে সুযোগ রয়েছে অন্য কিছু নিয়ে ভাবার, তখন ক্রিকেট নিয়ে না ভবাই উচিত। সারাদিন ক্রিকেট নিয়ে ভেবে কিছুই বদলাবে না। অন্য বিষয়ে মন দেওয়াটাও জরুরি।’
রোহিত অবশ্য সেমিফাইনালের আগে নিজের অজান্তেই ছোটখাটো একটি বিতর্কও বাঁধিয়ে বসেন। দলে খেলোয়াড়দের ভূমিকা নিয়ে স্বচ্ছ্বতা প্রসঙ্গে রোহিত ২০১৯ বিশ্বকাপের সঙ্গে এবারের অভিযানের তুলনা টেনে বসেন। তাঁর দাবি, ২০১৯ বিশ্বকাপে কোচ-ক্যাপ্টেন দলের ক্রিকেটারদের ভূমিকা স্পষ্ট করে দিয়েছিলেন কিনা, তা তাঁর জানা নেই। কেননা তিনি সেই লিডারশিপ গ্রুপের অংশ ছিলেন না।
ভারত অধিনায়কের কথায়, ‘দলের ক্রিকেটাররা প্রত্যেকে নিজেদের ভূমিকাটা জানে। তাদের কাছ থেকে দল কী চাইছে, সেই সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা রয়েছে সবার। তার মানে আমি বলছি না যে, ২০১৯ বিশ্বকাপের সময় ক্রিকেটারদের ভূমিকা নিয়ে স্বচ্ছ্বতা ছিল না। আসলে আমি সেই ম্যানেজমেন্টের অঙ্গ ছিলাম না। আমি ক্যাপ্টেন ছিলাম না। গুরুত্বপূর্ণ আলোচনায় অংশ নিতাম না। সচরাচর কোচ ও ক্যাপ্টেন ঠিক করে দেয় কার কী ভূমিকা হবে। কার কাছ থেকে কী আশা করছে দল, সেটা কোচ-ক্যাপ্টেনই বলে দেয়।’