বিশ্বকাপে বিপক্ষ দলের কাছে আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে আয়োজক দেশ ভারত। প্রতিটা ম্যাচেই সহজে গুঁড়িয়ে দিচ্ছে বিপক্ষ দলকে। অস্ট্রেলিয়া হোক কী ইংল্যান্ড, সবাই বিশ্বকাপে মাথা নত করেছে রোহিত শর্মাদের কাছে। ব্যাটিং ও বোলিং, দুই বিভাগই রয়েছে দুর্দান্ত ছন্দে। তবে এই টুর্নামেন্টে টিম ইন্ডিয়ার সাফল্যের পিছনে বড় অবদান রয়েছে তারকা ওপেনার শুভমন গিলের। ডেঙ্গি থেকে সুস্থ হয়ে ফিরে, অধিকাংশ ম্যাচেই অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে ভালো সঙ্গ দিয়ে গিয়েছেন তিনি।
ইতিমধ্যেই হাঁকিয়ে ফেলেছেন চারটি অর্ধশতরান। ব্যাটিং গড়ও দুর্দান্ত এখনও পর্যন্ত। তবে এই বিশ্বকাপে একাধিক রেকর্ড গড়ে ফেললেন গিল। 'মাস্টার ব্লাস্টার' সচিন তেন্ডুলকরের পর তিনি দ্বিতীয় ভারতীয় পুরুষ ক্রিকেটার যিনি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে অল্প বয়সে করেছেন অর্ধশতরান। পাশাপাশি, আরও একটি রেকর্ড করলেন তিনি। অধিনায়ক রোহিত শর্মার সঙ্গে বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে তারকা ওপেনার ভারতের হয়ে গড়লেন তৃতীয় সর্বোচ্চ ওপেনিং পার্টনারশিপ।
জানা গিয়েছে, বুধবার শুভমন গিল বিশ্বকাপে হাকিয়ে ফেলেছেন চারটি অর্ধশতরান। এর সঙ্গে একটি দারুণ রেকর্ড গড়লেন তিনি। ক্রিকেটের ভগবান সচিন তেন্ডুলকরের পর তিনি দ্বিতীয় ব্যাটার হলেন যিনি অল্প বয়সে বিশ্বকাপের মতো বড় মঞ্চে সেমিফাইনালে অর্ধশতরান করলেন। এর আগে এই রেকর্ডটি করেছিলেন মাস্টার ব্লাস্টার ২৩ বছর বয়সে। আর গিল করলেন ২৪ বছর বয়সে। তবে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ভারতের হয়ে অধিকাংশ বারই অর্ধশতরান হাকিয়েছেন সচিন। ১৯৯৬ সালের বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ৬৫ রান করেন। ২০০৩ সালে কেনিয়ার বিরুদ্ধে ৮৩ এবং ২০১১ বিশ্বকাপে চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ৮৫।
অন্যদিকে, বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওপেনিং জুটির পার্টনারশিপের ক্ষেত্রেও রেকর্ড করলেন গিল। ২০২৩ সালের আগে বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ওপেনিং জুটি পার্টনারশিপ হিসেবে তালিকায় প্রথম শিখর ধাওয়ান ও রোহিত শর্মা জুটি। ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ৮৫ এবং ২০০৩ সালের বিশ্বকাপে বীরেন্দ্র সেহওয়াগ ও সচিন তেন্ডুলকারের কেনিয়ার বিরুদ্ধে ৭৪। এবার তালিকায় তৃতীয় হয়ে গেলেন রোহিত শর্মা ও শুভমন গিলের পার্টনারশিপ। তাদের দু'জনের সংগ্রহ ৭১।
উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে প্রথম সেমিফাইনালে ভারত মুখোমুখি হয়েছে নিউজিল্যান্ডের। অর্ধশতরান করলেও ৮০ রানের মাথায় ক্র্যাম্প লাগায় ফিরে যান শুভমন গিল। হ্যামস্ট্রিংয়ে চোটের জন্য ফিরে গিয়েছেন। পাশাপাশি অধিনায়ক রোহিত শর্মা ২৯ বলে ৪৭ রান করে। এবার দেখার বিষয় ২০১৯-র বদলা নিতে পারে কিনা টিম ইন্ডিয়া।