শুভব্রত মুখার্জি: সারা বিশ্ব জুড়ে এই মুহূর্তে টি-২০ ক্রিকেটের দাপাদাপি। যে ফর্ম্যাটটি স্বাভাবিক ভাবেই ব্যাটারদের বন্ধুবৎসল ফর্ম্যাট। এই টি-২০ ফর্ম্যাটের প্রভাব যে ক্রিকেটের বাকি ফর্ম্যাটগুলোতে পড়েছে তা বলাই বাহুল্য। চলতি ওডিআই বিশ্বকাপেও দেখা গিয়েছে এই টি-২০ ফর্ম্যাটের ছোঁয়া। কুইন্টন ডি'কক, রোহিত শর্মা, ফখর জামানদের মতন ওপেনাররা প্রথম বল থেকেই অতি আক্রমণাত্মক মুডে খেলা চালিয়ে যাচ্ছেন। তার সুফলও পাচ্ছেন তাঁরা। আর এর ফলেই চলতি বিশ্বকাপ সংস্করণ গড়ে ফেলেছে এক নয়া নজির।ওডিআই বিশ্বকাপের ৪৮ বছরের ইতিহাসে এই সংস্করণেই ব্যাটারদের ব্যাট থেকে আসা ছয়ের ক্ষেত্রে নয়া নজির গড়েছে ২০২৩ বিশ্বকাপ।
এই বিশ্বকাপ গ্রুপ লিগের ম্যাচ শেষ হয়ে যাওয়ার আগেই ভেঙে গিয়েছে সব থেকে বেশি ছয় মারার নজির। এর আগে এই নজির ছিল ২০১৫ বিশ্বকাপে।সেই বিশ্বকাপের আসর বসেছিল অস্ট্রেলিয়া এবং নিউজিল্যান্ডে। সেবার গোটা টু্র্নামেন্টে এসেছিল ৪৬৩টি ছয়। আর এবার বাংলাদেশ বনাম শ্রীলঙ্কা গ্রুপ লিগের ম্যাচেই এই রেকর্ড ভেঙে গেল। শ্রীলঙ্কার ইনিংসের সময়েই ভাঙে রেকর্ডটি। নিঃসন্দেহে, এই পরিসংখ্যান যে আরও বাড়বে তা বলাই বাহুল্য। ধর্মশালা, ওয়াংখেড়ে,দিল্লি, হায়দরাবাদের মতন ভেন্যুর ২২ গজে ব্যাটারদের দাপাদাপি দেখা গিয়েছে সব থেকে বেশি। এই মাঠগুলোতে যে ম্যাচগুলো খেলা হয়েছে, সেখানে দেখা গিয়েছে সর্বাধিক ছক্কা।
হেনরিখ ক্লাসেন, রাসি ভ্যান ডার দাসেন, কুইন্টন ডি'কক,রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, ফখর জামান, মহম্মদ রিজওয়ান, ডেভিড ওয়ার্নার, রাচিন রবীন্দ্ররা মাতিয়ে দিয়েছেন চলতি বিশ্বকাপের আসর। সেই দিক থেকে দেখতে গেলে সোমবারের ম্যাচে দিল্লিতে মুখোমুখি হওয়া দুই দল শ্রীলঙ্কা এবং বাংলাদেশের ব্যাটারদের চলতি বিশ্বকাপ একেবারেই ভালো যায়নি। তাদের ব্যাটিং ব্যর্থতার পাশাপাশি বোলিং ব্যর্থতার কারণে এই দুই দলই সেমিফাইনালের দৌড় থেকে ছিটকে গিয়েছে। এই ম্যাচে তাদের মূলত ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে জায়গা পাওয়ার লড়াই। শ্রীলঙ্কা এই টু্র্নামেন্টে দু'টি জয় পেয়েছে। আর বাংলাদেশ ২টি ম্যাচ জিতল এই নিয়ে।