২০২৪ আইপিএলের গ্রুপ লিগ অভিযান শেষ করেছে দিল্লি ক্যাপিটালস। জয় দিয়ে গ্রুপ লিগ অভিযআন শেষ করেছে তারা। শেষ ম্যাচ লখনউ সুপার জায়ান্টসকে ১৯ রানে হারিয়েছে ঋষভ পন্তের দিল্লি ক্যাপিটালস দল। প্রথমে ব্যাট করে ২০৮ রান করেছিল দিল্লি। জবাবে ব্যাট করতে নেমে ১৮৯ রানের বেশি নির্ধারিত ২০ ওভারে করতে পারেনি লোকেশ রাহুলের লখনউ সুপার জায়ান্টস। মঙ্গলবারের ম্যাচে অধিনায়ক হিসেবে পন্তের থাকা প্রভাব ফেলেছে। দলে ফিরেই ২৩ বলে ৩৩ রানের ইনিংস খেলেছেন এই বাঁহাতি ব্যাটার। এবারের আইপিএল বেশ ভালোই গেছে তাঁর। দুর্ঘটনা কাটিয়ে ফিরে যেখানে তাঁর খেলা নিয়েই সংশয় ছিল, সেখানে পন্তই দিল্লির মিডল অর্ডারের অন্যতম ভরসা হয়ে উঠেছিলেন। চেনা ছন্দেই দেখা গেছে এবারের আইপিএলে। তবে দলের প্লে অফের দৌড়ে পিছিয়ে পড়ার জন্য বোর্ডের সিদ্ধান্তকেই কাঠগড়ায় তুলছেন দিল্লির অধিনায়ক।
আরও পড়ুন-IPL 2024- ইমপ্যাক্ট প্লেয়ার ইস্যুতে রোহিতের বিপরীত মেরুতে শাস্ত্রী, বললেন মানিয়ে নিতে
আইপিএলের লাস্ট ল্যাপে এসে একটা ম্যাচই তাঁদের প্লে অফের দৌড়ে অনেকটা পিছনে ফেলে দিল, মনে করছেন দিল্লির অধিনায়ক। নির্বাসনের জন্য গত ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে খেলতে পারেননি পন্ত, সেই ম্যাচ তাঁরা হেরে যায় ৪৭ রানে। আরসিবির বিপক্ষে জিততে পারলে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে তাঁরা প্লে অফের দৌড়ে জোরালো ভাবে থাকতেন তাঁরা, মনে করছেন ঋষভ।
দলের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের চোট আইপিএল শুরুর দিকে চাপে ফেলে দিয়েছিল দিল্লিকে। তবুও সেই চাপ কাটিয়ে ছন্দে ফিরছিল তাঁরা। কিন্তু বোলারদের ব্যর্থতার জেরে স্লো ওভার রেটের শাস্তি হিসেবে এক ম্যাচ নির্বাসিত হন পন্ত, তাতেই ঘটে বিপত্তি। লখনউয়ের বিপক্ষে জয়ের পর দিল্লি ক্যাপিটালসের অধিনায়ক বলছেন, ‘ আমি এটা বলব না যে আরসিবির বিরুদ্ধে আমরা জিততামই, কিন্তু আমাদের প্লে অফে যাওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকত, যদি আমি গত ম্যাচে খেলতে পারতাম। আমরা মরশুমটা ভালো ভাবেই শুরু করেছিলাম, কিন্তু কিছু চোটাঘাত এসেছিল। তবে দল হিসেবে অযথা এসব কারণ দেখিয়ে লাভ নেই। কিছু বিষয় নিজেদের আয়ত্তে থাকে, কিন্তু সব তো আর থাকে না’।
লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে ৩৩ রানের ইনিংসের সৌজন্যে এবারের আইপিএলে ১৩ ম্যাচে ৪৪৬ রান করা হয়ে গেল ঋষভ পন্তের। স্ট্রাইক রেট ১৫৫। টি২০ বিশ্বকাপের আগে তাঁর এই পারফরমেন্স জাতীয় দলের টিম ম্যানেজমেন্টকে বেশ স্বস্তিতে রাখছে, কারণ আইসিসির ট্রফির খরা কাটাতে গেলে মিডল অর্ডারে পন্তের ফর্মে থাকা অত্যন্ত জরুরি। ভারতীয় সমর্থকরাও তাকিয়ে আছে, গত বিশ্বকাপে খেলতে না পারার আক্ষেপ যাতে সুদে আসলে পুষিয়ে নিতে পারেন পন্ত।