শেফালি বর্মা এবং জেস জোনাসেনের অপরাজিত ১৪৬ রানের পার্টনারশিপই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধে দিল্লি ক্যাপিটালসকে বড় জয় এনে দিল। সেই সঙ্গে দিল্লি প্লে-অফ নিশ্চিত করে ফেলল। শনিবার বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়নদের নয় উইকেটে গোহারান হারাল দিল্লি। আরসিবি-র বিরুদ্ধে শেফালি-জোনাসেনের পার্টনারশিপ মহিলা প্রিমিয়ার লিগে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ পার্টনারশিপ।
দিল্লি ক্যাপিটালস টসে জিতে প্রথমে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুকে ব্যাট করতে পাঠায়।এলিস পেরির হাফসেঞ্চুরির দৌলতে নির্দিষ্ট ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৪৭ রান করে আরসিবি। জবাবে দিল্লি ১৫.৩ ওভারেই এক উইকেট হারিয়ে ১৫১ রান করে ফেলে। ২৮ বল বাকি থাকতেই তারা ম্যাচ পকেটে পুড়ে নেয়।
ঘরের মাঠে এটি আরসিবির টানা চতুর্থ পরাজয়। এর আগে তারা মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স (চার উইকেটে হেরেছে), ইউপি ওয়ারিয়র্স (সুপার ওভারে হেরেছে) এবং গুজরাট জায়ান্টসের (ছয় উইকেটে হেরেছে) কাছে পরাজিত হয়েছিল। এদিকে এই জয়ের হাত ধরে পয়েন্ট টেবলের শীর্ষস্থান আরও মজবুত করল মেগ ল্যানিংয়ের দিল্লি। ৭ ম্যাচ খেলে ১০ পয়েন্ট দিল্লির। এবং তাদের নেট রানরেট ০.৪৮২। এদিকে আরসিবি-র ৬ ম্যাচে মাত্র চার পয়েন্ট। তাদের নেট রানরেট -০.২৪৪। পাঁচ দলের লড়াইয়ে তারা আপাতত চতু্র্থ স্থানে রয়েছে।
আরও পড়ুন: সেরা ছন্দে করুণ নায়ার, ফাইনালেও শতরান, এই নিয়ে এবারের রঞ্জিতে তৃতীয়, বড় চাপে কেরল
আরসিবি-র দেওয়া ১৪৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে অবশ্য প্রথমেই বড় ধাক্কা খেয়েছিল দিল্লি। রেণুকা সিংয়ের বলে মেগ ল্যানিংয়ের (১২ বলে ২) ক্যাচ ধরেন এলিস পেরি। তখন তৃতীয় ওভার চলছে। দলের রান মাত্র ৫। এই পরিস্থিতিতে তিন নম্বরে ব্যাট করতে আসা জেস জোনাসেন এবং ওপেনার শেফালি বর্মা নিজেদের কাঁধে দায়িত্ব তুলে নেন। এবং তাঁরাই শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন। মহিলা প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে এই জুটি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রানের পার্টনারশিপ করে। শেফালি ৪৩ বলে ঝোড়ো ৮০ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন এবং জেস জোনাসেন ৩৮ বলে অপরাজিত ৬১ করেন।
মহিলা প্রিমিয়ার লিগের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রানের পার্টনারশিপ রয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালসের মেগ ল্যানিং এবং শেফালি বর্মার। কাকতালীয় হলেও এই পার্টনারশিপটিও হয়েছিল আরসিবি-র বিরুদ্ধেই। ২০২৩ সালে এই জুটি ১৬২ রানের পার্টনারশিপ করেছিল। এদিন শেফালি এবং জোনাসেন অপরাজিত ১৪৬ রানের পার্টনারশিপ করেন। এই তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছে গুজরাট জায়ান্টসের বেথ মুনি এবং লরা উলভার্টের ১৪০ রানের পার্টনারশিপ। মজার বিষয় হল, এই পার্টনারশিপটিও হয়েছিল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিরুদ্ধেই।
আরসিবি ইনিংস
এদিন আরসিবি শুরুতেই ধাক্কা খেয়েছিল। নয় রানের মাথায় প্রথম ধাক্কা খায় তারা। দলের অধিনায়ক স্মৃতি মন্ধানাকে (৭ বলে ৮) আউট করেন শিখা পান্ডে। এরপর দায়িত্ব নেন ড্যানি ওয়াট হজ এবং এলিস পেরি। দ্বিতীয় উইকেটে তাঁরা ৪৪ রান যোগ করেন। হজকে ফেরান মারিজন ক্যাপ। ১৮ বলে ২১ রান করে ফেরেন তিনি। এর পর রাঘবী বিস্তের সঙ্গে ৬৬ রানের জুটি গড়েন পেরি। সারা ব্রাইসের বলে বিস্তকে (৩২ বলে ৩৩ রান) ক্যাচ আউট করেন শ্রী চারানী। তবে পেরি এদিন আরসিবির ভরসা হয়েছিলেন। তিনি ৪৭ বলে ৬০ করে অপরাজিত থাকেন। এ ছাড়াও এই ম্যাচে রিচা ঘোষ পাঁচ এবং কণিকা আহুজা দুই রান এবং জর্জিয়া ওয়ারহ্যাম অপরাজিত ১২ রান করেন। দিল্লির হয়ে শিখা পান্ডে এবং শ্রী চরণি দু'টি করে উইকেট নেন এবং মারিজন ক্যাপ একটি উইকেট পান।