শুভব্রত মুখার্জি:- দুই বছরের মান অভিমানের পালা শেষ। সমস্ত অভিমানের অবসান ঘটিয়ে অবশেষে ঘরের ছেলে ঘরে ফেরার সিদ্ধান্ত নিলেন। ভারতীয় সিনিয়র ক্রিকেট দলের হয়ে লাল বলের ফর্ম্যাটে একটা সময় নিয়মিতভাবে খেলতেন বাংলার কিপার ব্যাটার ঋদ্ধিমান সাহা। সিএবির কিছু কর্তা ব্যক্তির উপর রাগে, অভিমানে তিনি বাংলা ছেড়েছিলেন।
পড়শি রাজ্য ত্রিপুরার হয়ে খেলার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। দুই বছর ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটে তাদের হয়ে খেলার পরে এবার নিজের 'ঘর' বাংলায় ফিরলেন তিনি। আর তা সম্ভব হল বাংলা তথা ভারতীয় ক্রিকেটের কিংবদন্তি অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের হাত ধরে। বিসিসিআইয়ের প্রাক্তন সভাপতি সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের হস্তক্ষেপেই মানভঞ্জন সম্ভব হল ঋদ্ধির। বাংলার ক্রিকেটের উন্নতিতে ফের একবার নেপথ্য নায়ক ভক্তদের আদরের মহারাজ।
২০২২ সালের ২ জুলাই বাংলা পাকাপাকিভাবে ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ঋদ্ধিমান সাহা। ভক্তদের আদরের 'পাপালি' সিএবির উপর একরাশ অভিমান নিয়ে রাজ্য ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন। সিদ্ধান্ত নেন ত্রিপুরার হয়ে খেলার। সেই মান অভিমানের অবসান ঘটল সোমবার। ফের একবার বাংলার জার্সি গায়ে মাঠ কাঁপাতে দেখা যাবে ঋদ্ধিকে।
সোমবার সস্ত্রীক ঋদ্ধিমান সাহা দেখা করেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে। স্ত্রী রোমি সাহাকে সঙ্গী করে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন ঋদ্ধিমান। তারপরেই বাংলায় ফেরার সিদ্ধান্ত নিলেন তিনি। তবে তিনি ক্রিকেটারের ভূমিকাতেই ফিরবেন কিনা নাকি অন্য কোন ভূমিকায় ফিরবেন তা স্পষ্ট নয়।
যা শোনা যাচ্ছে সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায় আইপিএলের ফাইনাল দেখতে গিয়েছেলেন চেন্নাই। তিনি ফিরে এসেছেন। এরপর তাঁর সঙ্গে কথাবার্তা বলেই ঋদ্ধিমান সাহার ফেরার বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হবে। সোমবার দুপুরে সৌরভের বাড়িতে নিমন্ত্রিত ছিলেন ঋদ্ধিমান। গিয়েছিলেন ঋদ্ধির স্ত্রী রোমিও।
রোমি নাকি অনেকদিন ধরেই চাইছিলেন ঋদ্ধিমান সাহা ফের বাংলার হয়ে খেলুন। শোনা গিয়েছে ঋদ্ধির বাংলার একসময়ের সতীর্থ লক্ষ্মীরতন শুক্লা, মনোজ তিওয়ারিরাও এই বিষয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন। আর তারপরেই নাকি ঋদ্ধিমান ঘরে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন। দুই বছর আগে সিএবির এক কর্তার কথায় অভিমান হয় ঋদ্ধির। তিনি ঋদ্ধির দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন। সেই মন্তব্য ঋদ্ধি মানতে পারেননি। পরবর্তীতে সিএবিতে গিয়ে ছাড়পত্র নিয়ে ত্রিপুরা দলের হয়ে সই করেন তিনি।