খেলার মাঠে খারাপ দিন যায় সব ক্রিকেটারেরই। তবে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে এতটাও খারাপ দিন কাটবে, এমনটা বোধহয় স্বপ্নেও ভাবেননি যশস্বী জসওয়াল। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে মেলবোর্নের বক্সিং ডে টেস্টের প্রথম ইনিংসে দুর্দান্ত ব্যাট করেন যশস্বী জসওয়াল। তবে ভাগ্য তাঁর সঙ্গ দেয়নি। ফলে নিশ্চিত শতরান মাঠে ফেলে আসেন যশস্বী। ব্যক্তিগত ৮২ রানের মাথায় রান-আউট হয়ে ক্রিজ ছাড়তে হয় যশস্বীকে।
সেই দুর্ভাগ্য যশস্বীকে তাড়া করে রবিবারও। মেলবোর্ন টেস্টের চতুর্থ দিনে নিতান্ত খারাপ ফিল্ডিং করেন যশস্বী। এমনটা নয় যে, জসওয়ালের ফিল্ডিং নিতান্ত দুর্বল। বরং এই মুহূর্তে ভারতীয় দলের অন্যতম সেরা ফিল্ডার তিনি। চলতি বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে একাধিক অবিশ্বাস্য ক্যাচ ধরেছেন যশস্বী। তবে রবিবার দু-একটি নয়, বরং ৩টি সহজ ক্যাচ ছাড়েন জসওয়াল।
দিনের শুরুতে উসমান খোয়াজার ক্যাচ ছাড়ার সময় রোহিত শর্মা বিশেষ প্রতিক্রিয়া দেখাননি। তবে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে মার্নাস ল্যাবুশানের ক্যাচ মিস করার পরে রেগে লাল হয়ে যান ক্যাপ্টেন রোহিত। তাঁকে হাত-পা ছুঁড়ে নিজের বিরক্তি প্রকাশ করতে দেখা যায়। সেটা অবশ্য স্বাভাবিকও। কেননা দ্বিতীয় সেশনে অস্ট্রেলিয়া যখন পরপর উইকেট হারিয়ে প্রবল চাপে, তখন ল্যাবুশানকে ফেরাতে পারলে ম্যাচের রাশ পুরোপুরি টিম ইন্ডিয়ার হাতে চলে আসত।
চায়ের বিরতির ঠিক আগে যখন প্যাট কামিন্সের ক্যাচ ছাড়েন যশস্বী, রোহিত বিরক্তি প্রকাশ না করলেও দৃশ্যতই হতাশ ছিলেন। সঙ্গত কারণে পরপর ক্যাচ মিস করে দলকে চাপে ফেলে দেওয়া যশস্বীকেও অত্যন্ত হতাশ দেখায়।
বুমরাহর বলে খোয়াজার ক্যাচ ছাড়েন যশস্বী
দ্বিতীয় ইনিংসের শুরুতেই জীবনদান পেয়ে যান খোয়াজা। ২.৫ ওভারে জসপ্রীত বুমরাহর বলে লেগ-গালি অঞ্চলে উসমানের সহজ ক্যাচ ছাড়েন যশস্বী জসওয়াল। খোয়াজা তখন ২ রানে ব্যাট করছিলেন। উসমান শেষমেশ ২১ রান করে মাঠ ছাড়েন।
আকাশ দীপের বলে ল্যাবুশানের ক্যাচ ছাড়েন যশস্বী
৩৯.২ ওভারে আকাশ দীপের বলে গালিতে মার্নাস ল্যাবুশানের অতি সহজ ক্যাচ ছাড়েন যশস্বী জসওয়াল। চতুর্থ দিনে যশস্বীর এটি দ্বিতীয় ক্যাচ মিসের ঘটনা। ল্যাবুশান তখন ৪৬ রানে ব্যাট করছিলেন। জীবনদান পেয়ে ল্যাবুশান ব্যক্তিগত হাফ-সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন। তিনি শেষমেশ ব্যক্তিগত ৭০ রানে আউট হন।
জাদেজার বলে কামিন্সের ক্যাচ ছাড়েন যশস্বী
৪৮.৩ ওভারে জাদেজার বলে সিলি পয়েন্টে প্যাট কামিন্সের জলভাত ক্যাচ ছাড়েন যশস্বী। চতুর্থ দিনে এটি যশস্বীর ক্যাচ মিস করার তৃতীয় ঘটনা। কামিন্স তখন ব্যক্তিগত ২১ রানে ব্যাট করছিলেন।