ভারতের টি-২০ বিশ্বকাপ স্কোয়াডে নির্বাচিত হয়েও মাঠে নামার সুযোগ পাননি যশস্বী জসওয়াল ও সঞ্জু স্যামসন। কোহলি ওপেন করায় শিকে ছেঁড়েনি যশস্বীর ভাগ্যে। অন্যদিকে ঋষভ পন্ত প্রথম পছন্দের কিপার হিসেবে নজর কাড়ায় রিজার্ভ বেঞ্চেই সময় কাটাতে হয় স্যামসনকে। তবে তাই বলে ভারতের বিশ্বকাপজয়ী দলের সদস্য হিসেবে গরিমা ছিনিয়ে নেওয়া সম্ভব হবে না যশস্বীদের থেকে।
প্রাথমিকভাবে জিম্বাবোয়ে সফরের ৫ ম্যাচের টি-২০ সিরিজের জন্য ভারতীয় স্কোয়াডে নির্বাচিত হন যশস্বী ও সঞ্জু। পরে নীতীশ রেড্ডির বদলে স্কোয়াডে ঢোকেন শিবম দুবে। যশস্বীরা মাঠে নামার সুযোগ না পেলেও দুবে ব্যাট হাতে ভারতের বিশ্বকাপ জয়ে সক্রিয় অবদান রাখেন।
ভারত বিশ্বচ্যাম্পয়ন হওয়ার পরে বিজয় উৎসবে যোগ দেওয়ার জন্যই যশস্বী, সঞ্জু ও শিবম দুবে জিম্বাবোয়ে সফরের প্রথম ২টি টি-২০ ম্যাচে মাঠে নামতে পারেননি। জাতীয় নির্বাচকরা তাঁদের বদলে প্রথম ২টি ম্যাচের স্কোয়াডে ঢুকিয়ে দেন সাই সুদর্শন, জিতেশ শর্মা ও হর্ষিত রানাকে।
অবশেষে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে তৃতীয় টি-২০ ম্যাচের আগে শুভমন গিলের নেতৃত্বাধীন ভারতের টি-২০ স্কোয়াডে যোগ দেন যশস্বীরা। সঙ্গত কারণেই তৃতীয় ম্যাচে তাঁদের মাঠে নেমে পড়ার সম্ভাবনা প্রবল। মঙ্গলবার বিসিসিআইয়ের তরফে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়, যেখানে বিশ্বকাপজয়ী দলের তিন তারকা যশস্বী, স্যামসন ও শিবম দুবেকে নেটে অনুশীলন করতে দেখা যায়। বিসিসিআইয়ের তরফে ক্যাপশনে লেখা হয় যে, ‘চলে এসেছেন বিশ্বকাপজয়ী তিন তারকা। তাঁরা লড়াইয়ে নেমে পড়তে প্রস্তুত।’
স্বাভাবিকভাবেই এই ভিডিয়ো ভারতীয় সমর্থকদের কাছে বাড়ছি উচ্ছ্বাসের কারণ হতে পারে। কেননা যশস্বীদের উপস্থিতিতে ভারতীয় দলের শক্তি বাড়ল সন্দেহ নেই। তবে জিম্বাবোয়ের কাছে এটা দুশ্চিন্তার কারণ হতে পারে। অনভিজ্ঞ ভারতীয় দল যেভাবে প্রথম ম্যাচের হার থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে তাঁদের বিধ্বস্ত করেছে, তাতে টিম ইন্ডিয়া আরও শক্তিশালী হয়ে মাঠে নামলে নির্ঘাত আরও লাঞ্ছনা অপেক্ষা করছে সিকন্দর রাজাদের জন্য।
উল্লেখ্য, সিরিজের প্রথম টি-২০ ম্যাচে ভারতকে ১৩ রানের সংক্ষিপ্ত ব্যবধানে হারিয়ে দেয় জিম্বাবোয়ে। শুরুতে ব্যাট করে জিম্বাবোয়ে ৯ উইকেটে ১১৫ রান তোলে। জবাবে ভারত অল-আউট হয়ে যায় ১০২ রানে। তবে দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচে টিম ইন্ডিয়া ১০০ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় তুলে নেয়। শুরুতে ব্যাট করে ভারত ২ উইকেটে ২৩৪ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে। জবাবে জিম্বাবোয়ে অল-আউট হয় ১৩৪ রানে।