এতে তো এবারের টি-২০ বিশ্বকাপে ভরাডুবির জন্য পাকিস্তান ক্রিকেট দলের প্রবল সমালোচনা হচ্ছে ঘরে-বাইরে। তার উপর এবার হ্যারিস রউফ এমন এক কাণ্ড ঘটালেন, যা নিয়ে শুরু জোর বিকর্ত। ভারতীয় ভেবে এক ক্রিকেটপ্রেমীকে মারতে ছুটলেন পাকিস্তানের তারকা পেসার। হ্যারিসকে টেনে ধরে আটকাতে পারেননি তাঁর স্ত্রী। যদিও উপস্থিত আরও কয়েকজনের চেষ্টায় বড়সড় অপ্রীতিকর ঘটনা আটকানো গিয়েছে।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, হ্যারিস রউফ এতটাই আগ্রাসী ছিলেন যে, তাঁর পা থেকে চপ্পল ছিটকে চলে যায়। যাঁর সঙ্গে কার্যত হাতাহাতিতে জড়ান হ্যারিস, তাঁকেই বলতে শোনা যায় যে, তিনি ভারতীয় নন, পাকিস্তানি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় দাবানলের মতো ছড়িয়ে পড়া ভিডিয়োয় পাক পেসারকে আগ্রাসী মেজাজে দেখা যায়। আমেরিকায় হোটেলের গার্ডেনে দৌড়ে এসে এক অনুরাগীকে মারতে উদ্যত হন হ্যারিস। তাঁকে টেনে ধরে ঝামেলায় জড়ানো থেকে বিরত করার চেষ্টা করেন স্ত্রী। তবে তাঁর চেষ্টা ব্যর্থ হয়। ডিভাইডার টপকে রাস্তায় নেমে আসেন হ্যারিস। সেখানে উপস্থিত ছিলেন অনেকেই। তাঁরাই নিতান্ত কষ্ট করে হ্যারিসকে টেনে সরিয়ে নিয়ে যান।
ভাইরাল ভিডিয়োয় হ্যারিসকে বলতে শোনা যায় যে, ‘এ নিশ্চিত ভারতীয়।’ জবাবে সেই ক্রিকেটপ্রেমীকে বলতে শোনা যায় যে, ‘ভারতীয় নই, পাকিস্তানি। ফ্যান বলেই একটা ছবি তুলতে চেয়েছি।’ অর্থাৎ, অনুরাগীর ছবি তোলার আবদারেই রেগে লাল হয়ে যান হ্যারিস রউফ।
উল্লেখ্য, পাকিস্তান ক্রিকেট দল এবার টি-২০ বিশ্বকাপের এ-গ্রুপ থেকে সুপার এইটে যাওয়ার বিষয়ে ফেভারিট ছিল। তবে তারা আমেরিকা ও ভারতের কাছে ২টি ম্যাচ হেরে বসে। বিশেষ করে আমেরিকার মতো দুর্বল দলের কাছে পরাজিত হওয়ার জন্যই গ্রুপ লিগ থেকে বিদায় নিতে হয় বাবর আজমদের। পাকিস্তান শেষমেশ কানাডা ও আয়ারল্যান্ডকে হারালেও ৪ পয়েন্টের বেশি সংগ্রহ করতে পারেনি। ফলে সুপার এইটের যোগ্যতা অর্জন করতে ব্যর্থ হয় তারা।
হ্যারিস রউফ ৪টি ম্যাচে সাকুল্যে ১৫ ওভার বল করেন। ১০১ রান খরচ করে সংগ্রহ করেন ৭টি উইকেট। টুর্নামেন্টে পাকিস্তানের হয়ে যুগ্ম সর্বোচ্চ উইকেটশিকারী তিনি। হ্যারিসের মতোই ৪ ম্যাচে ৭টি উইকেট নিয়েছেন মহম্মদ আমির।
এবারের টি-২০ বিশ্বকাপে হ্যারিসের সেরা বোলিং পারফর্ম্যান্স ২১ রানে ৩ উইকেট। তিনি ওভার প্রতি ৬.৭৩ রান খরচ করেছেন। সুতরাং, রউফের ইকনমি রেট মোটেও মন্দ নয়।