স্যাম কনস্টাসের সামনে ভারতীয়দের আগ্রাসী সেলিব্রেশন নিয়ে কাঁদুনি গেয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার হেড কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড। তাঁকে পালটা দিলেন ভারতীয় দলের হেড কোচ গৌতম গম্ভীর। রবিবার সিডনি টেস্টের শেষে রীতিমতো কটাক্ষের সুরে গম্ভীর বলেন যে এত নরম তুলতুলে হলে চলে না। সেইসঙ্গে তিনি এটাও স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন যে সিডনি টেস্টের প্রথম দিনে জসপ্রীত বুমরাহের সঙ্গে কনস্টাসের ঝামেলায় জড়ানোর কোনও দরকার ছিল না। পুরো বিষয়টা উসমান খোয়াজা এবং বুমরাহের মধ্যে হচ্ছিল। তাতে পাকামো মেরে নাক গলিয়েছিলেন কনস্টাস। সেটার কোনও দরকার ছিল না। আর তারপর এত নরম তুলতুলে হয়ে গেলে চলবে না বলে কটাক্ষ ছুড়ে দেন গম্ভীর।
কনস্টাসের কোনও অধিকারই নেই, সাফ কথা গম্ভীরের
রবিবার অস্ট্রেলিয়ার এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে গম্ভীর বলেন, ‘এটা একটা কঠিন খেলা। যেটা খেলে কঠোর মানসিকতার খেলোয়াড়রা। আপনি অত নরম তুলতুলে হতে পারেন না। এর থেকে সহজভাবে কিছু বলা যায় না। আমার মনে হয় না (বুমরাহের সেলিব্রেশনের ক্ষেত্রে) ভয় দেখানোর কোনও ব্যাপার ছিল। উসমান খোয়াজা যখন সময় নিচ্ছিল, তখন জসপ্রীত বুমরাহের সঙ্গে ওর (কনস্টাস) কথা বলার কোনও অধিকার নেই। জসপ্রীত বুমরাহের সঙ্গে ঝামেলায় জড়ানোর কোনও মানে হয় না। সেটা আম্পায়ারের কাজ ছিল বা যে স্ট্রাইকার্স এন্ডে ব্যাটিং করছিল, তার ব্যাপার ছিল।’
আর ব্যাপারটা যে সত্যিই বুমরাহ এবং খোয়াজার মধ্যে ছিল, তা নিয়ে কারও সন্দেহ নেই। সিডনি টেস্টের প্রথম দিনের শেষের দিকে সময় নষ্টের চেষ্টা করছিলেন খোয়াজা, যাতে আরও একটি বেশি ওভার মাঠে থাকতে না হয়। সেই পরিস্থিতিতে বুমরাহ নিজের ‘বোলিং মার্ক’-এ পৌঁছে যাওয়ার পরে খোয়াজা জানান যে তিনি ‘রেডি’ হননি। তাতে অসন্তোষ প্রকাশ করেন বুমরাহ। কিন্তু সর্বঘটের কাঁঠালি কলার মতো তাতে ঢুকে পড়েন কনস্টাস। বুমরাহের সঙ্গে ঝামেলা পাকাতে শুরু করেন।
ঝামেলা করব, পালটা জবাব পেলেই কাঁদব!
যদিও সেটার জবাব একটা বল পরেই পান কনস্টাস। দিনের শেষ বলে খোয়াজাকে আউট করে দেন বুমরাহ। তারপর কার্যত তেড়ে যান কনস্টাসের দিকে। ভারতের বাকি খেলোয়াড়রাও চূড়ান্ত আগ্রাসী সেলিব্রেশনে মেতে ওঠেন। আর তা নিয়ে শনিবার কাঁদুনি গাইতে থাকেন অস্ট্রেলিয়ার হেড কোচ।
তিনি বলেন, 'ও (কনস্টাস) ঠিক আছে কিনা, সেটা নিয়ে ওর সঙ্গে কথা হয়েছিল আমার। স্পষ্টতই ভারত যেভাবে সেলিব্রেশন করেছিল, সেটা ভয়ের ছিল। এটা স্পষ্টতই খেলার আইন, নিয়মের মধ্যেই আছে। (ভারতীয়দের উপরে) কোনও ধারা চাপানো হয়নি। কিন্তু প্রতিপক্ষ যখন ওরকমভাবে ঝাঁক বেঁধে নন-স্ট্রাইকারের দিকে তেড়ে যায়, তখন সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড়ের দেখভাল দায়িত্ব থাকে আমাদের। নিশ্চিত করতে হয় যে ও ঠিক আছে এবং মানসিকভাবে এমন অবস্থায় আছে যে মাঠে গিয়ে নিজেকে মেলে ধরতে পারবে।’ আর আজ সেই মন্তব্যের পালটা দিলেন গম্ভীর।