শুধু বর্তমান প্রজন্মেরই নয়, বরং স্টিভ স্মিথ সর্বকালের সেরা ক্রিকেটারদের দলে বিবেচিত হন বহু আগে থেকেই। ফ্যাব ফোরে স্মিথ অবস্থান করেন বিরাট কোহলি, জো রুট ও কেন উইলিয়ামসনের সঙ্গে এক সারিতে। এহেন অজি তারকা নিজের পারফর্ম্যান্স দিয়ে নতুন প্রজন্মকে উদ্দীপ্ত করবেন, এটাই স্বাভাবিক। তবে স্মিথ শুধু নিজের খেলা দিয়েই নয়, বরং অদ্ভুত স্টান্স ও টেকনিক দিয়েও নজর কেড়ে নেন।
স্টিভ স্মিথের ডিফেন্স থেকে বল ছেড়ে দেওয়া, সব কিছুর ভঙ্গিমাই একেবারে আলাদা। ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে এমন ভঙ্গিমা মজাদার মনে হয় প্রায়শই। সতীর্থ তথা প্রতিপক্ষ ক্রিকেটারদের মাঝে মধ্যেই স্মিথকে নকল করে মজা করতে দেখা যায়। তবে ভবিষ্যৎ প্রজন্মও যে স্মিথকে এভাবে অনুকরণ করবেন, সেটা বোঝা যায় একটি ভাইরাল ভিডিয়োয়।
সম্প্রতি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে ভারতের এক খুদে ক্রিকেটারকে স্টিভ স্মিথের অনুকরণে ব্যাট করতে দেখা যায়। তাঁর বল ছেড়ে দেওয়ার ভঙ্গিমা থেকে ডিফেন্স করার টেকনিক হুবহু স্টিভ স্মিথের মতোই। সঙ্গত কারণেই ভিডিয়োটি নজর কাড়ে ক্রিকেটপ্রেমীদের।
বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে স্মিথের পারফর্ম্যান্স
ভারতের বিরুদ্ধে বর্ডার-গাভাসকর ট্রফির প্রথম ২টি টেস্টের ৩টি ইনিংসে ব্যাট হাতে পুরোপুরি ব্যর্থ হন স্টিভ স্মিথ। স্বাভাবিকভাবেই চর্চা শুরু হয়ে যায় তাঁর টেস্ট কেরিয়ারের ভবিষ্যৎ নিয়ে। তবে তার পরেই ব্যাট হাতে ঘুরে দাঁড়ান স্মিথ।
পার্থ টেস্টের প্রথম ইনিংসে খাতা খুলতে পারেননি স্মিথ। দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি করেন ১৭ রান। অ্যাডিলেড টেস্টের একটি ইনিংসে ব্যাট করে স্মিথ সংগ্রহ করেন মোটে ২ রান। তবে ব্রিসবেন টেস্টের প্রথম ইনিংসে অনবদ্য শতরান করেন স্মিথ। তিনি ১০১ রান করেন সেই ইনিংসে। যদিও ব্রিসবেনের দ্বিতীয় ইনিংসে মোটে ৪ রান করে মাঠ ছাড়তে হয় স্টিভকে।
আরও পড়ুন:- NZ vs SL: শ্রীলঙ্কার ৭ নম্বর বোলার হিসেবে ODI হ্যাটট্রিক থিকশানার, বাকিরা কারা?
মেলবোর্নে ভারতের বিরুদ্ধে চতুর্থ টেস্টে ফের সেঞ্চুরি করেন স্টিভ স্মিথ। তিনি প্রথম ইনিংসে ১৪০ রান করে আউট হন। দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩ রান করে ক্রিজ ছাড়েন স্টিভ। সিডনির পঞ্চম টেস্টের প্রথম ইনিংসে সেট হয়েও উইকেট দিয়ে আসেন স্মিথ। তিনি ৩৩ রান করে আউট হন। শেষ ইনিংসে স্মিথের অবদান ৪ রানের।
শ্রীলঙ্কা সফরে অস্ট্রেলিয়ার ক্যাপ্টেন স্মিথ
বর্ডার-গাভাসকর ট্রফিতে চমকপ্রদ পারফর্ম্যান্স মেলে ধরার পরে আরও বড়সড় সুখবর পান স্মিথ। তাঁকে শ্রীলঙ্কা সফরের দুই টেস্টের সিরিজের জন্য অস্ট্রেলিয়া দলের ক্যাপ্টেন নির্বাচিত করা হয়।