সেমিফাইনালের টিকিট হাতে পেতে হলে নিজেদের শেষ লিগ ম্যাচ জিততেই হতো যুবরাজদের, এমন কোনও মাথার দিব্যি ছিল না। শুধু গোহারান না হারলেই চলতো। কিংবদন্তিদের বিশ্বচ্যাম্পিয়নশিপে নিজেদের শেষ লিগ ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে শেষমেশ হেরে যায় ইন্ডিয়া চ্যাম্পিয়ন্স দল। তা সত্ত্বেও ভারতের সেমিফাইনালে যাওয়া আটকায়নি।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হল, হরভজন সিং-সুরেশ রায়নারা ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টুর্নামেন্টের প্রথম ২টি ম্যাচে দাপুটে জয় তুলে নেন। তার পরে টানা তিন ম্যাচে হারের মুখ দেখে ভারত। পাকিস্তান এবং অস্ট্রেলিয়ার পরে এবার সাউথ আফ্রিকা চ্যাম্পিয়ন্স হারিয়ে দেয় ইন্ডিয়া চ্যাম্পিয়ন্সকে।
বুধবার নর্দাম্পটন কাউন্টি গ্রাউন্ডে লিগের শেষ ম্যাচে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নামে সাউথ আফ্রিকা চ্যাম্পিয়ন্স। তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটের বিনিময়ে ২১০ রানের বিশাল ইনিংস গড়ে তোলে। ঝোড়ো হাফ-সেঞ্চুরি করেন জ্যাক স্নিম্যান ও রিচার্ড লেভি।
জ্যাক ৪৩ বলে ৭৩ রান করেন। মারেন ১০টি চার ও ৩টি ছক্কা। লেভি ২৫ বলে ৬০ রান করেন। তিনি ৫টি চার ও ৫টি ছক্কা মারেন। ক্যাপ্টেন জ্যাক কালিস করেন ১২ বলে ১৭ রান। রায়ান ম্যাকলারেন ২০ ও সারেল এরউই ১১ রানের যোগদান রাখেন।
ইন্ডিয়া চ্যাম্পিয়ন্সের হয়ে ৪ ওভারে ২৫ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট সংগ্রহ করেন হরভজন সিং। ১টি করে উইকেট নেন ধাওয়াল কুলকার্নি, বিনয় কুমার, পবন নেগি ও ইউসুফ পাঠান। উইকেট পাননি যুবরাজ সিং, ইরফান পাঠান ও রাহুল শুক্লা।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে ইন্ডিয়া চ্যাম্পিয়ন্স দল ২০ ওভারে ৬ উইকেটের বিনিময়ে ১৫৬ রানে আটকে যায়। ৫৪ রানের ব্যবধানে ম্যাচ জেতে দক্ষিণ আফ্রিকা। অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে গত ম্যাচে ৭৮ রানের ঝোড়ো ইনিংস খেলা ইউসুফ পাঠান এই ম্যাচে ফের হাফ-সেঞ্চুরি করেন। তিনি ৪৪ বলে ৫৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। মারেন ৪টি চার ও ২টি ছক্কা।
২১ বলে ৩৫ রান করেন ইরফান পাঠান। তিনি ৪টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন। ১০ বলে ২৩ রান করেন রবিন উথাপ্পা। তিনি ৫টি বাউন্ডারি মারেন। ২৪ বলে ২১ রান করেন সুরেশ রায়না। তিনি ১টি ছক্কা মারেন। নমন ওঝা ৫, আম্বাতি রায়াড়ু ২, যুবরাজ সিং ৫ ও পবন নেগি ৩ রানের যোগদান রাখেন।
দক্ষিণ আফ্রিকার ভার্নন ফিল্যান্ডার ১৭ রানে ২টি উইকেট নেন। ১টি করে উইকেট দখল করেন ইমরান তাহির, চার্ল ল্যাঙ্গভেল্ট ও জ্যাক স্নিম্যান। উইকেট পাননি ডেল স্টেইন। ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন স্নিম্যান।
দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারার পরে ৫ ম্যাচে ভারতের সংগ্রহে থাকে ৪ পয়েন্ট। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও দক্ষিণ আফ্রিকাও ৫ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট করে সংগ্রহ করে নেয়। তবে নেট রান-রেটের নিরিখে ভারত লিগ টেবিলের তিন নম্বরে থেকে সেমিফাইনালে ওঠে। চার নম্বরে থেকে শেষ চারের টিকিট হাতে পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ইংল্যান্ডের পরে দ্বিতীয় দল হিসেবে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়া ও পাকিস্তান আগেই সেমিফাইনালের যোগ্যতা অর্জন করেছে।