সেমিফাইনাল আর অস্ট্রেলিয়া- দুইয়ের ‘কম্বিনেশন’ দেখলেই যেন যুবরাজ সিংয়ের মধ্যে বাড়তি অ্যাড্রিনালিন ক্ষরণ হয়। সেটা ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল হোক বা ২০২৪ সালের ওয়ার্ল্ড চ্যাম্পিয়নশিপ অফ লেজেন্ডসের সেমিফাইনাল হোক। শুক্রবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ২৮ বলে ৫৯ রান করলেন যুবরাজ। মারেন চারটি বাউন্ডারি। হাঁকান পাঁচটি ছক্কা। স্ট্রাইক রেট ছিল ২১০.৭। আর তাঁর সেই ইনিংসের সুবাদেই ইন্ডিয়া চ্যাম্পিয়নসের ইনিংসে ঝড় ওঠে। যাতে উড়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। নির্ধারিত ২০ ওভারে ছয় উইকেটে ২৫৪ রান তোলে ইন্ডিয়া চ্যাম্পিয়নস। জয়ের জন্য ২৫৫ রান প্রয়োজন অস্ট্রেলিয়া চ্যাম্পিয়নসের। ইতিমধ্যে পাকিস্তান চ্যাম্পিয়নস ফাইনালে উঠে গিয়েছে।
৩০ বলে ৭০ রানের সেই ধ্বংসলীলা যুবরাজের
আর শুক্রবারের ইনিংসটা দেখে ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অজিদের বিরুদ্ধে যুবরাজের সেই ভয়ংকর ইনিংসটার কথা মনে পড়ে গিয়েছে অনেকের। ডারবানে উদ্বোধনী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দ্বিতীয় সেমিফাইনালে অজিদের বিরুদ্ধে ৩০ বলে ৭০ রান করেছিলেন যুবরাজ। সেই ইনিংসে পাঁচটি বাউন্ডারি মেরেছিলেন। হাঁকিয়েছিলেন পাঁচটি ছক্কা। স্ট্রাইক রেট ছিল ২৩৩.৩৩।
যুবরাজের সেই ইনিংসের সুবাদে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে পাঁচ উইকেটে ১৮৮ রান তুলেছিল ভারত। জবাবে সাত উইকেটে ১৭৩ রানের বেশি তুলতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। ১৫ রানে জিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠে গিয়েছিল ভারত। ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হয়েছিলেন যুবরাজ। শেষপর্যন্ত বিশ্বকাপও জিতেছিল টিম ইন্ডিয়া।
বেধড়ক মার খেলেন ২০০৭-র সেমিতে খেলা লি
আর সেই বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে যে ব্রেট লি অস্ট্রেলিয়ার দলে ছিলেন, শুক্রবার অস্ট্রেলিয়া চ্যাম্পিয়নসের দলে আছেন প্রাক্তন অজি তারকা। অস্ট্রেলিয়া চ্যাম্পিয়নস দলের ক্যাপ্টেনও বটে তিনি। শুক্রবার অবশ্য অনেকটা রান খরচ করেন। তিন ওভারে ৩৭ রান দেন। যিনি ২০০৭ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ভালো বল করেছিলেন। চার ওভারে ২৫ রান খরচ করেছিলেন লি।
ভারত চ্যাম্পিয়নসের দুর্দান্ত ব্যাটিং
শুক্রবার ব্যাট করতে নেমে ৩৫ বলে ৬৫ রান করেন রবিন উথাপ্পা। তিন বলে পাঁচ রান করেন সুরেশ রায়না। ২৩ বলে ৫১ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন ইউসুফ পাঠান। চারটি চার মারেন। হাঁকান চারটি ছক্কা। স্ট্রাইক রেট ২২১.৭। ইরফান পাঠান আবার ১৯ বলে ৫০ রান করেন। তিনটি চার এবং পাঁচটি ছক্কা মারেন। তাঁর স্ট্রাইক রেট হল ২৬৩.২। উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের বিশ্বকাপের সেমিতে উথাপ্পা ২৮ বলে ৩৪ রান করেছিলেন। এক বলে শূন্য রানে অপরাজিত ছিলেন ইরফান। তারপর চার ওভারে ৪৪ রান দিয়ে দু'উইকেট নিয়েছলেন।
আরও পড়ুন: WCL 2024: শেষ ওভারে সোহেল খানের তাণ্ডব, রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে গেইলদের হারিয়ে ফাইনালে পাকিস্তান