ভারতের টেস্ট দলে নেই। লাল বলের ক্রিকেটে জাতীয় নির্বাচকদের ভাবনায় নেই বলে দলীপ ট্রফিতেও সুযোগ মেলেনি। তবে হাত গুটিয়ে বসে থাকার পাত্র নন যুজবেন্দ্র চাহাল। ফার্স্ট ক্লাস ক্রিকেটেও যে তিনি সমান কার্যকরী, তা প্রমাণ করতে উঠেপড়ে লেগেছেন যুজি চাহাল। বলা বাহুল্য, কাউন্টি ক্রিকেটে একের পর এক ম্যাচে যে রকম ঘূর্ণিঝড় তুলছেন চাহাল, টেস্টের দল গড়ার সময় তাঁকে নিয়ে ভাবতে বাধ্য হবেন আগরকররা।
কাউন্টি ক্রিকেটে আক্ষরিক অর্থেই থামানো যাচ্ছে না যুজবেন্দ্র চাহালকে। এবছর নর্দাম্পটনশায়ারের হয়ে ওয়ান ডে কাপের একটি মাত্র ম্যাচে মাঠে নামেন তিনি। কেন্টের বিরুদ্ধে সেই ম্যাচে ৫ উইকেট দখল করেন যুজবেন্দ্র। পরে ডার্বিশায়ারের বিরুদ্ধে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের গত ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ৫টি ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৪টি উইকেট নেন তিনি।
ডার্বিশায়ারের বিরুদ্ধে গত ম্যাচের দুই ইনিংস মিলিয়ে ৯৯ রানের বিনিময়ে মোট ৯টি উইকেট নেন চাহাল। তাঁর ফার্স্ট ক্লাস কেরিয়ারে এক ম্যাচে সেটিই এখনও পর্যন্ত সেরা বোলিং পারফর্ম্যান্স। এবার লেস্টারশায়ারের বিরুদ্ধে কাউন্টি চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচে ফের বল হাতে কামাল দেখালেন চাহাল। ফের ম্যাচের দুই ইনিংস মিলিয়ে ৯টি উইকেট নিলেন তিনি। অর্থাৎ, কাউন্টির পরপর ২টি ম্যাচে ৯টি করে মোট ১৮টি উইকেট সংগ্রহ করলেন যুজবেন্দ্র।
এবার অবশ্য লেস্টারের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে চাহাল ২৩ ওভার বল করে ৬টি মেডেন-সহ ৮২ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট দখল করেন। দ্বিতীয় ইনিংসে তিনি ৪৩ ওভার বল করে ৫টি মেডেন-সহ ১৩৪ রানের বিনিময়ে ৫টি উইকেট পকেটে পোরেন। অর্থাৎ ম্যাচে দুই ইনিংস মিলিয়ে ২১৬ রানের বিনিময়ে ৯টি উইকেট দখল করেন চাহাল।
যুজবেন্দ্রর এমন দুর্দান্ত পারফর্ম্যান্সের সুবাদে নর্দাম্পটনশায়ার ৯ উইকেটে পরাজিত করে লেস্টারশায়ারকে। লেস্টার তাদের প্রথম ইনিংসে ২০৩ রানে অল-আউট হয়ে যায়। পালটা ব্যাট করতে নেমে নর্দাম্পটনশায়ার তাদের প্রথম ইনিংসে তোলে ৩৮৩ রান।
১৮০ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে লেস্টার। তারা দ্বিতীয় ইনিংসে অল-আউট হয় ৩১৬ রানে। জয়ের জন্য নর্দাম্পটনশায়ারের সামনে লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ১৩৭ রানের। নর্দাম্পটন ১ উইকেট হারিয়ে জয়ের জন্য প্রয়োজনীয় ১৩৭ রান সংগ্রহ করে নেয়।
অন্যদিকে গ্লস্টারশায়ারের বিরুদ্ধে কাউন্টির অন্য ম্যাচে সাসেক্সের হয়ে অনবদ্য পারফর্ম্যান্স উপহার দেন ভারতের জয়দেব উনাদকাট। তিনি প্রথম ইনিংসে ১৩ ওভার বল করে ৩টি মেডেন-সহ ৩২ রানের বিনিময়ে ৪টি উইকেট নেন। উনাদকাট দ্বিতীয় ইনিংসে ১৭ ওভার বল করে ৫টি মেডেন-সহ ৩৯ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট সংগ্রহ করেন।