একদা সচিন তেন্ডুলকর নিজে জানিয়েছিলেন যে, অ্যালকোহল বা গুটখা জাতীয় অন্যান্য মাদক দ্রব্যের বিজ্ঞাপন করার জন্য প্রচুর টাকার অফার ছিল তাঁর কাছে। তবে তিনি বাবাকে কথা দিয়েছিলেন যে, জীবনে কখনও নতুন প্রজন্মকে মাদকদ্রব্যের প্রতি আকৃষ্ট করবেন না। তাই তিনি সেই সব প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন।
কিছুদিন আগে গৌতম গম্ভীর সেই প্রসঙ্গ তুলে বলেন যে, এখন ক্রিকেটারদের অর্থ উপার্জনের জন্য পান মশলার বিজ্ঞাপন করতে দেখে খারাপ লাগে তাঁর। কেননা অর্থ উপার্জনের জন্য আরও অন্য পথ রয়েছে। গম্ভীর এক্ষেত্রে সচিনের স্বার্থত্যাগের কথা উদাহরণ হিসেবে পেশ করেন।
বর্তমান ক্রিকেটারদের কেউ কেউ নৈতিকতাকে প্রধান্য দিতে এখনও এমন দৃষ্টান্তমূলক সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকেন। মইন আলি, উসমান খোয়াজারা মাদক দ্রব্যের প্রচার থেকে দূরে থাকেন। এমনকি সময়ে সময়ে তাঁদের জার্সি থেকে স্পনসরদের লোগোও উড়িয়ে দিতে হয়েছে। এবার জিম্বাবোয়ের ক্যাপ্টেন সিকন্দর রাজা তেমনই ব্যতিক্রমী হয়ে দেখা দিলেন।
ভারতের বিরুদ্ধে চলতি টি-২০ সিরিজে জিম্বাবোয়ের ১০ জন ক্রিকেটার একই রকম জার্সি পরে মাঠে নামছেন। তবে ক্যাপ্টেন সিকন্দর রাজার জার্সি একটু ভিন্ন। এই তফাৎ সম্ভবত চোখ এড়িয়ে গিয়ে থাকতে পারে ক্রিকেটপ্রেমীদের। আসলে সিকন্দর রাজার জার্সির সামনে এবং পিছনে স্পনসরদের লোগো উধাও।
সিকন্দর রাজার জার্সি আলাদা কেন
সিকন্দর রাজার এমন আলাদা জার্সি পরে মাঠে নামার কারণ জানলে ক্রিকেটপ্রেমীরা কুর্নিশ না জানিয়ে পারবেন না। আসলে জিম্বাবোয়ের জার্সিতে রয়েছে দু'টি বেটিং সংস্থার লোগো। সিকন্দর রাজা জুয়ার প্রচার করতে অস্বীকার করেন। তাই তিনি নিজের জার্সিতে কোনও বেটিং সংস্থার লোগো লাগাতে রাজি হননি। অগত্যা বাকি দলের থেকে আলাদা জার্সি পরে মাঠে নামতে হয় জিম্বাবোয়ের ক্যাপ্টেনকে।
ভারতের বিরুদ্ধে চলতি টি-২০ সিরিজের প্রথম ম্যাচে সিকন্দর রাজা সামনে থেকে নেতৃত্ব দেন জিম্বাবোয়েকে। মূলত ব্যাটে-বলে ক্যাপ্টেনের লড়াকু পারফর্ম্যান্সে ভর করেই সিরিজের প্রথম ম্যাচে ভারতকে হারিয়ে দেয় জিম্বাবোয়ে।
সিরিজের লো-স্কোরিং প্রথম ম্যাচে সিকন্দর ব্যাট হাতে ১৭ রানের কার্যকরী অবদান রাখেন। পরে ৪ ওভার বল করে ২৫ রানের বিনিময়ে ৩টি উইকেট তুলে নেন তিনি। সঙ্গত কারণেই ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন সিকন্দর রাজা। যদিও সিরিজের দ্বিতীয় টি-২০ ম্যাচে বিশেষ কিছু করে দেখাতে পারেননি জিম্বাবোয়ের ক্যাপ্টেন। তিনি ৩ ওভার বল করে ৩৪ রান খরচ করেন। কোনও উইকেট পাননি। পরে ব্যাট হাতে মাত্র ৪ রান করে আউট হন।