মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নন্দীগ্রাম থেকে প্রার্থী হওয়ার ঘোষণাকে একযোগে আক্রমণ করল বাম ও বিজেপি। বিজেপির দাবি, দলের কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করতে এসব বলছেন তৃণমূলনেত্রী। ওদিকে সিপিএমের কথায়, হার স্বীকার করে নিলেন মমতা।
এদিন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘২০১৬ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, ২৯৪টা কেন্দ্রে আমিই প্রার্থী। আগে যদি জানতাম এদের প্রার্থী করতাম না। এক মাস আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ২৯৪টা কেন্দ্রের পর্যবেক্ষক আমিই’।
তাঁর কটাক্ষ, ‘এখন উনি ঘোষণা করলেন নন্দীগ্রামে প্রার্থী হবেন। উনি আর কত জায়গায় দাঁড়াবেন? আসলে নীচের তলা থেকে তৃণমূল কর্মীরা সরে যাচ্ছেন। তাদের আটকাতে এসব বলছেন তিনি। এভাবে তৃণমূল কংগ্রেস ডোবা নৌকাকে তীরে ভেড়াতে পারবে না। আমরা ভবানীপুরেও চমক দেব’।
মমতাকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তীও। তিনি বলেন, ‘ভবানীপুরে উনি জিততে পারবেন না বুঝে নিজের জন্য সব থেকে নিরাপদ আসনটা সবার আগে বেছে নিলেন। এভাবে নিজের পরাজয় নিজেই স্বীকার করে নিলেন উনি। সঙ্গে বিজেপিকে বার্তা দিলেন আমি তোমাদের পিছনে আছি। তৃণমূল ও বিজেপিতে পরাস্ত করতে হবে এটা পশ্চিমবঙ্গের মানুষ জানে’।
সঙ্গে তাঁর দাবি, ‘হলদিয়া শেষ করেছেন। নন্দীগ্রামে যাবতীয় সম্ভাবনা শেষ করেছেন। এখন বলছেন অশোকনগরে তেল পাওয়া গেছে নন্দীগ্রামে শিল্প হবে। সিঙুরে শিল্প স্থাপনের চেষ্টা করছেন। ভোটের আগে এসব ভাঁওতা মানুষ বুঝে গিয়েছে’।
সোমবার নন্দীগ্রামে তৃণমূলের ভরা জনসভা থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করেন, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে সেখান থেকেই প্রার্থী হবেন তিনি। নন্দীগ্রামের বিদায়ী বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে যোগদানের আগেই বিধায়ক পদে ইস্তফা দিয়েছেন। এদিন শুভেন্দুকে নন্দীগ্রাম থেকে লড়ে জিতে দেখানোর চ্যালেঞ্জ ছুড়েছেন তৃণমূল নেতা সৌগত রায়।