এবার বিজেপি নেতা–নেত্রীদের কাছে পৌঁছল কড়া বার্তা। বঙ্গ–বিজেপি নেতা–নেত্রীদের সতর্ক করে বলে দেওয়া হয়েছে, কোনও উল্টো–পাল্টা কথা, রুদ্ধদ্বার বৈঠকে হওয়া সিদ্ধান্ত প্রকাশ্যে বলা যাবে না। কারণ তাতে দল অস্বস্তিতে পড়তে পারে। এমনকী দলের ভেতরের সিদ্ধান্ত, আলোচনা, নির্বাচনী নীতি সাংবাদিকদেরও বলা যাবে না।
বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধেও স্টিং অপারেশনের ফাঁদ পাতা হতে পারে বলে সূত্রের খবর৷ ঠিক যেভাবে তৃণমূল নেতাদের বিরুদ্ধে নারদ স্টিং অপারেশন চালানো হয়েছিল, একই কায়দায় রাজ্য বিজেপি নেতাদের বিরুদ্ধেও স্টিং অপারেশন চালানো হতে পারে বলে দলের পক্ষ থেকে রাজ্যে নেতাদের সতর্ক করে দেওয়া হল৷
সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের তরফে এই মর্মে সতর্কবার্তা দেওয়া হয়েছে৷ তাতে বলা হয়েছে, রাজ্যে বিজেপি-র দায়িত্বপ্রাপ্ত বিজেপির তিন কেন্দ্রীয় নেতার বিরুদ্ধে এই ধরনের স্টিং অপারেশন চালানো হতে পারে৷ ফলে বাড়তি সতর্ক হতে বলা হয়েছে কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অরবিন্দ মেনন এবং শিবপ্রকাশকে৷
বিজেপি’র এক প্রথমসারির নেতা বলেন, ‘দলের ভেতরের কথা বাইরে আনা, উল্টো–পাল্টা কথা বলে আক্রমণ করা—এগুলি মূলত যাঁরা তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে এসেছেন তাঁদের জন্য করা হয়েছে।’ যদিও রাজ্য পার্টির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘দলের অভ্যন্তরীণ কথা বাইরে না আনার নীতি বহুদিনের। কেউ কেউ করে ফেলছে বলে সতর্ক করা হয়েছে।’
সম্প্রতি সৌমিত্র খান বলেছিলেন, ‘বিজেপি ক্ষমতায় এলে দিলীপ ঘোষ মুখ্যমন্ত্রী হবেন।’ দলের নেতাদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে, অপরিচিত ব্যক্তিদের যেন এড়িযে চলা হয়৷ দলীয় কর্মসূচি এবং বৈঠকে হওয়া সিদ্ধান্ত নিয়েও চূড়ান্ত গোপনীয়তা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে৷ দলীয় বৈঠকে হওয়া সিদ্ধান্ত যাতে কাউকে ফাঁস না করা হয়, তাও বলা হয়েছে নেতাদের৷