জেলা তৃণমূল সভাপতির পদ হারানোর পর ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন তিনি। তবে দল ছাড়বেন না বলেই জানিয়েছিলেন শিশির অধিকারী। ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই অন্য সুর শোনা গেল তাঁর মুখে। বৃহস্পতিবার তিনি বললেন, ‘সমস্ত রকম সম্ভাবনার দরজা খোলা রয়েছে।’
এদিন সংবাদমাধ্যমকে শিশিরবাবু বলেন, ‘অনুগামীদের সঙ্গে কথা বলে এর পর কী করবো তা ঠিক করবো। কোনও সম্ভাবনাই উড়িয়ে দিচ্ছি না।’ তৃণমূলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে শিশিরবাবু জানান, ‘আমি কোনও জড়বস্তু নই যে যেখানে খুশি ফেলে রাখবে।’ তাঁর দাবি, তাঁর যা ফিটনেস রয়েছে তাতে তিনি ১৩০ বছর বাঁচবেন।
বুধবার শিশির অধিকারীকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেয় দল। বদলে তাঁকে দেওয়া হয় জেলা তৃণমূল চেয়ারম্যানের পদ। আক্ষরিক অর্থেই আলঙ্কারিক সেই পদ। মঙ্গলবার শিশিরবাবুকে দিঘা শংকরপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে সরিয়ে দেয় সরকার। শিশিরবাবুকে সরিয়ে সেখানে বসানো হয় জেলা তৃণমূলে অধিকারীদের বিরোধী বলে পরিচিত অখিল গিরিকে।