শতাব্দীর পর আরও এক ‘বিদ্রোহী’-র মান ভাঙাতে সফল হল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার কাজ হল ফোনেই। দলের তরফে প্রবীণ সাংসদ সৌগত রায়ের ফোন পেয়েই ফের কর্মসূচিতে যোগ দিতে রাজি হলেন হাওড়ার সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়।
শুক্রবার রাতে দলের একাংশের বিরুদ্ধে সরব হন প্রসূনবাবু।। তাঁর অভিযোগ ছিল, দলের কর্মসূচির কথা জানানো হয় না তাঁকে। এমনকী সাংগঠনিক রদবদল হলেও জানতে পারেন না তিনি। এর পরই প্রসূনের দলবদল নিয়ে জল্পনা শুরু হয়।
প্রসূনের মান ভাঙাতে ময়দানে নামে সৌগত রায়। শনিবার প্রসূনবাবুকে ফোন করেন তিনি। নিজের ক্ষোভের কথা সৌগত রায়কে খুলে বলেন প্রাক্তন ফুটবলার। এর পরই ফের দলের কাজে ঝাঁপিয়ে পড়ার প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
রবিবার হাওড়া ডুমুরজলা থেকে হাওড়া স্টেডিয়াম পর্যন্ত পদযাত্রায় অরূপ রায়ের সঙ্গে পা মেলান প্রসূন। পদযাত্রা শেষে জনসভায় সাংসদ বলেন, ‘দল ছাড়ার প্রশ্নই নেই। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দলকে ক্ষমতায় ফেরাতে অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন। আপনারা তাঁর সঙ্গে থাকুন। ভোটের পর ক্ষমতায় ফিরলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে কিছু চাইলে তিনি চেয়ার খুলে দিয়ে দেবেন।’
এদিনের কর্মসূচিতে দেখা যায় হাওড়ার আরেক বিক্ষুব্ধ নেতা জটু লাহিড়িকেও। তবে লক্ষ্মীরতন শুক্ল বা বৈশালী ডালমিয়াকে এদিন দেখা যায়নি। দেখা যায়নি বিদ্রোহী মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কেও।