জরুরি তলবে দিল্লিতে হাজির হয়েছেন বিজেপি’র রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং সর্বভারতীয় সহ–সভাপতি মুকুল রায়। কিন্তু এছাড়াও বেশ কয়েকজন শীর্ষ নেতা আজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে দেখা করেছেন বলে খবর। যা নিয়ে রীতিমতো চর্চা শুরু হয়েছে। কারণ তাঁরা শুক্রবার অমিত শাহের বাসভবনে গিয়ে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারের পরিকল্পনা করলেন। সূত্রের খবর, এই নেতারা নাকি পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন প্রান্তে ঘুরে গিয়েছেন। আর সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে প্রচারের পরিকল্পনা সাজাতে চান তাঁরা।
বিজেপি সূত্রে খবর, এই পাঁচ নেতা সুনীল দেওধর, দুষ্মন্ত গৌতম, গৌতম তাওড়ে হরিশ দ্বিবেদী ও বিনোদ সোনকার- অমিত শাহের ঘনিষ্ঠ। খুব কাছের বলয়ে ঘোরা–ফেরা করেন। সব জেলার সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠক করে তাঁদের তৈরি রিপোর্ট নিয়ে বৈঠক বসেছিল। এমনকী তা তিন ঘন্টা ধরে চলেছে। সেখানে মূলত বাংলায় কিভাবে প্রচার–কৌশল নেওয়া হবে সেটারই রূপরেখা তৈরি হয়। এই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, মাসে দু’বার করে বিজেপি’র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডা এবং অমিত শাহ প্রচারে আসবেন রাজ্যে। যতক্ষণ না নির্বাচনের নির্ঘন্ট ঘোষণা করা হচ্ছে।
এই নিয়ে একটা রোস্টার তৈরি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। সেখানে দলের শীর্ষ নেতারা, মন্ত্রীরা কবে, কোথায় পদযাত্রা করবেন, মিছিল করবেন এবং প্রচার করবেন তা ঠিক হয়েছে। এমনকী দলের ক্যাডারদের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছে। সম্প্রতি জেপি নড্ডা রাজ্যে এসে ‘এক মুঠো চাল’ সংগ্রহ কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেছিলেন। সেখান থেকে বার্তা দেওয়া হযেছিল বিজেপি সরকার কৃষকদের পাশেই থাকে। যেখানে তৃণমূল কংগ্রেস প্রচার করেছে বিজেপি সরকার কৃষক–বিরোধী।
উল্লেখ্য, অমিত শাহের সঙ্গে যখন তাঁর ঘনিষ্ঠ বলয় বৈঠক করছিলেন তখন সেখানে উপস্থিত ছিলেন দিলীপ ঘোষ, মুকুল রায় এবং অমিতাভ চক্রবর্তী। সেখানে বৈঠকে রাজ্যে হিংসা বেড়ে চলেছে বলেও সওয়াল করা হয়। তবে এই বৈঠক নিয়ে কেউ মুখ খুলতে চাননি।