সোমবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা রয়েছে নন্দীগ্রামে। ৩ লক্ষ মানুষের জমায়েত হওয়ার কথা সেখানে। কিন্তু পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান শিশির অধিকারীই থাকছেন না সেই সভায়। ঘনিষ্ঠ মহলে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি ইতিমধ্যেই সেই কথা জানিয়ে দিয়েছেন। একইসঙ্গে সেই সভায় থাকবেন না তমলুকের তৃণমূল সাংসদ দিব্যেন্দু অধিকারীও।
সভায় থাকা নিয়ে দলের কোনও আমন্ত্রণই পাননি তিনি। এমনই অভিযোগ শিশির অধিকারীর। সূত্রের খবর, ঘনিষ্ঠ মহলে কাঁথির সাংসদ তথা বর্ষীয়ান রাজনীতিক শিশিরবাবু বলেছেন, ‘আমরা তো লস্ট কেস। নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা নিয়ে দলের তরফে কেউ কোনও যোগাযোগই করেনি। তাই সভায় যাওয়ার কোনও প্রশ্নই ওঠে না।’
এই প্রথমবার পূর্ব মেদিনীপুর তথা নন্দীগ্রামে মমতার সভায় অধিকারী পরিবারের কোনও সদস্যই থাকছেন না। শুভেন্দু অধিকারী বিজেপি–তে যোগ দেওয়ার পর থেকেই অধিকারী পরিবারের সঙ্গে ক্রমশ দূরত্ব বাড়তে থাকে তৃণমূলের। প্রথমে কাঁথি পুরসভার প্রশাসক পদ থেকে সরানো শিশির অধিকারীর ছোট ছেলে সৌমেন্দু অধিকারীকে। আর সম্প্রতি শাসকদলের রোষের শিকার হন শিশির অধিকারী। প্রথমে তাঁকে দিঘা–শঙ্করপুর উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে এবং পরে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা তৃণমূল সভাপতির পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
ইতিমধ্যে দাদা শুভেন্দুর হাত ধরে বিজেপি–তে যোগ দিয়েছেন সৌমেন্দু অধিকারী। আর সম্প্রতি বিজেপি–তে যোগদান নিয়ে শিশির অধিকারী বলেন, ‘অনুগামীদের সঙ্গে কথা বলে এর পর কী করব তা ঠিক করব। কোনও সম্ভাবনাই উড়িয়ে দিচ্ছি না। সমস্ত রকম সম্ভাবনার দরজা খোলা রয়েছে।’ সোমবার দলনেত্রীর সভায় থাকছেন না শিশির। তবে কি এর পর তিনিও গেরুয়া শিবিরে যাবেন? এই প্রশ্নর উত্তর এখনই না পাওয়া গেলেও কয়েকদিন আগেই শুভেন্দু বলেছিলেন, ‘রামনবমীটা আসতে দিন। আমার বাড়ির লোকেরাও পদ্ম ফোটাবে।’