এ যেন বিনা মেঘে বজ্রপাত। এবার ফেসবুকে ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্ট বীরভূমের তৃণমূল সাংসদ শতাব্দী রায়ের। শতাব্দী রায় ফ্যান ক্লাব নামে একটি পেজে তিনি লিখেছেন, ‘সাংসদ অনেক পরে, তার অনেক আগে থেকেই শুধু শতাব্দী রায় হিসেবেই বাংলার মানুষ আমাকে ভালোবেসে এসেছেন।’ এমনকী ১৬ জানুয়ারি দুপুর ২টোয় ‘সিদ্ধান্ত’ জানাবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
ফেসবুকে শতাব্দী লিখেছেন, ‘2021 খুব ভালো কাটুক। সুস্থ থাকুন, সাবধানে থাকুন।এলাকার সঙ্গে আমার নিয়মিত নিবিড় যোগাযোগ। কিন্তু ইদানিং অনেকে আমাকে প্রশ্ন করছেন কেন আমাকে বহু কর্মসূচিতে দেখা যাচ্ছে না। আমি তাঁদের বলছি যে আমি সর্বত্র যেতে চাই। আপনাদের সঙ্গে থাকতে আমার ভালো লাগে। কিন্তু মনে হয় কেউ কেউ চায় না আমি আপনাদের কাছে যাই। বহু কর্মসূচির খবর আমাকে দেওয়া হয় না। না জানলে আমি যাব কী করে? এ নিয়ে আমারও মানসিক কষ্ট হয়। গত দশ বছরে আমি আমার বাড়ির থেকে বেশি সময় আপনাদের কাছে বা আপনাদের প্রতিনিধিত্ব করতে কাটিয়েছি, আপ্রাণ চেষ্টা করেছি কাজ করার, এটা শত্রুরাও স্বীকার করে। তাই এই নতুন বছরে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা করছি যাতে আপনাদের সঙ্গে পুরোপুরি থাকতে পারি। আপনাদের প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। 2009 সাল থেকে আপনারা আমাকে সমর্থন করে লোকসভায় পাঠিয়েছেন। আশা করি ভবিষ্যতেও আপনাদের ভালোবাসা পাব। সাংসদ অনেক পরে, তার অনেক আগে থেকেই শুধু শতাব্দী রায় হিসেবেই বাংলার মানুষ আমাকে ভালোবেসে এসেছেন। আমিও আমার কর্তব্য পালনের চেষ্টা করে যাব।’
সঙ্গে তিনি জানান, ‘যদি কোনো সিদ্ধান্ত নিই আগামী 16 জানুয়ারি 2021 শনিবার দুপুর দুটোয় জানাব।’
প্রশ্ন হল, কেন নিজেকে সাংসদের আগে অভিনেত্রী বলে দাবি করলেন শতাব্দী। এখানে ‘শত্রু’ তিনি কাদের বোঝাতে চেয়েছেন? যাঁরা তাঁকে দলের অনুষ্ঠানের খবর দেয় না তাদেরকে কি? শনিবার কী সিদ্ধান্ত জানাতে চলেছেন তিনি? মানুষের সঙ্গে সব সময় থাকার জন্যই বা তাঁর পরিকল্পনা কী?
সম্প্রতি বোলপুরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিছিলের সামনে দেখা গিয়েছিল জেলার সাংসদ শতাব্দীকে। তবে তৃণমূলের অন্যান্য অনুষ্ঠানে বেশ কিছুদিন ধরেই গায়েব তিনি। তবে কি এবার গেরুয়া পথে অভিনেত্রী? শতাব্দীর জবাব এখনো পাওয়া যায়নি।