বদলের বানে গা ভাসিয়ে বিপাকে মুর্শিদাবাদের ‘দাদার অনুগামী’-রা। অভিযোগ, বিজেপিতে যোগদানের পর থেকে মুর্শিদাবাদের নেতাদের এড়িয়ে চলছেন দাদা। ওদিকে দাদার সঙ্গে দলবদলের আশায় ইতিমধ্যে দলীয় ও প্রশাসনিক পদে ইস্তফা দিয়ে বসে রয়েছেন। ভোটের আগে তারা কোন পথে যাবেন তা নিয়ে এখন বিস্তর জল্পনা।
তৃণমূলে দীর্ঘদিন মুর্শিদাবাদ জেলার পর্যবেক্ষক ছিলেন শুভেন্দু। কংগ্রেস ভেঙে তিনিই কার্যত জেলা পরিষদ তৃণমূলের হাতে তুলে দেন। ফলে জেলায় তৃণমূলের বহু নেতা তৃণমূল বলতে শুভেন্দুকেই চেনেন। দাদা বিজেপিতে যাওয়ার আগে পর্যন্ত সব ঠিক ছিল। অনুগামীদের ডাকে ২ বার জেলা সফরও করেছিলেন শুভেন্দু। কিন্তু তাল কেটেছে বিজেপিতে যোগদানের পরে। শুভেন্দু জানিয়ে দিয়েছেন, মুর্শিদাবাদের সংগঠনে নাক গলাবেন না তিনি। ফলে শাঁখের করাতে পড়েছেন তাঁর অনুগামীরা।
জেলায় দাদার এক অনুগামীর কথায়, ২ সপ্তাহ ধরে দাদা ফোন ধরেন না। মেসেজ করলে রিপ্লাই করেন না। ওদিকে বহু লোক দল ছেড়ে বসে আছে। বিজেপিতে যোগদানের আগে দাদা বলেছিলেন কয়েকদিন চুপচাপ থাকতে। সেই মতো আমরা তৃণমূলের কর্মসূচি থেকে দূরে থাকা শুরু করি। কথা ছিল বিজেপিতে যোগ দিয়ে মুর্শিদাবাদে এসে আমাদের যোগদান করাবেন। কিন্তু দলবদলের পর থেকে দাদা কলকাতা ও মেদিনীপুর নিয়েই আছেন। আমাদের এদিকে দাদার নজর নেই।
একই দশা মুর্শিদাবাদ জেলা পরিষদের সভাধিপতি মোসারফ হোসেন মধুর। দাদার সঙ্গে তাঁর বিজেপিতে যোগদান প্রায় পাকা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে দলের সঙ্গে রফা করতে হয়েছে তাঁকে। পদ থাকলেও দলের অনুষ্ঠানে এখনো গরহাজির তিনি। যা নিয়ে ইতিমধ্যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে তৃণমূলের মুর্শিদাবাদ জেলা সভাপতি আবু তাহের।
তবে এত তাড়াতাড়ি হাল ছাড়তে নারাজ দাদার অনুগামীরা। তারা এখনও আশায় রয়েছেন। নির্বাচন ঘোষণার পর খেল দেখাবো বলে শুভেন্দু ইতিমধ্যে ঘোষণা করেছেন। তাঁর অনুগামীদের আশা তখনই খেলা হবে মুর্শিদাবাদে। তেমন হলে জুটে যেতে পারে কয়েকটি টিকিটও।