বাংলা নিউজ > ভোটযুদ্ধ > পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচন ২০২১ > দলের তরফে যোগাযোগ রাখা হয় না, ‘মন খারাপ’ হাওড়ার সাংসদ প্রসূনের

দলের তরফে যোগাযোগ রাখা হয় না, ‘মন খারাপ’ হাওড়ার সাংসদ প্রসূনের

প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। ফাইল ছবি

এর পর প্রসূনবাবু বলেন, ‘আমি বলছি না যে দলে রদবদলের আগে আমার মত নিতে হবে। কিন্তু রদবদলের খবরটুকু একটা চিঠিতে বা এসএমএসে জানাবে তো? আমি মমতা দিদির আদর্শে অনুপ্রাণিত।

শতাব্দীর অভিমান মিটতেই তৃণমূলের ঘরে নতুন বিদ্রোহ। এবার দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে যোগাযোগ না রাখার অভিযোগ তুললেন হাওড়ার সাংসদ প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর অভিযোগ, দলের সাংগঠনিক রদবদলের খবর জানানো হয় না তাঁকে। তবে তিনি যে ‘দিদির আদর্শে অনুপ্রাণিত’ তাও জানাতে ভোলেননি প্রাক্তন এই ফুটবলার। 

শুক্রবার রাতে প্রসূন বলেন, ‘আমি ৩ বারের সাংসদ। ৯ বছর হাওড়ায় আছি। আমাকে সাংগঠনিক রদবদলের কোনও খবর জানানো হয় না। কে যুব মোর্চার সভাপতি, কে মহিলা মোর্চার সভানেত্রী, কে ছাত্র পরিষদের সভাপতি কিছুই জানি না। আমার কাছে তারা এসে পরিচয় দেন। সাংসদ তহবিলের টাকায় কাজ করার আবেদন করেন। কিন্তু মানুষগুলোকে তো আমি চিনিই না। সাংসদকে কি এটুকু তথ্য জানানো দলের কর্তব্য নয়?’ 

তাঁর অভিযোগ, গত জুলাইয়ে লক্ষ্মীরতন শুক্লকে হাওড়া শহর তৃণমূলের সভাপতি ঘোষণার পর তাঁকে দলের তরফে জানানো হয়নি। সংবাদমাধ্যম থেকে সেকথা জানতে পেরেছেন তিনি।

এর পর প্রসূনবাবু বলেন, ‘আমি বলছি না যে দলে রদবদলের আগে আমার মত নিতে হবে। কিন্তু রদবদলের খবরটুকু একটা চিঠিতে বা এসএমএসে জানাবে তো? আমি মমতা দিদির আদর্শে অনুপ্রাণিত। দলটাকে নিয়েই পড়ে রয়েছি। এই অভিমান তো আমার হতে পারে।’

প্রতিক্রিয়ায় অরূপ রায় জানিয়েছেন, ‘প্রসূনবাবুর ক্ষোভ থাকলে তিনি দলের ভিতরে জানাতে পারতেন। সংবাদমাধ্যমের সামনে মুখ খোলা ঠিক নয়। লক্ষ্মীরতনকে রাজ্য নেতৃত্ব সভাপতি করেছিল। তাই জেলা নেতৃত্বের এক্ষেত্রে কোনও ভূমিকা নেই।’

 

বন্ধ করুন